#পানজি: গোয়ার রাজনীতিতে ফের ডামাডোলের ইঙ্গিত। বিধানসভা নির্বাচনে কোনও দলই একক ভাবে ক্ষমতা দখলের অঙ্কে পৌঁছতে পারছে না বলেই ইঙ্গিত মিলছে। ক্রমে চমকে দিচ্ছে গোয়ার রাজনীতি। গণনা যখন একের পর এক রাউন্ড গড়িয়েছে, কখনও দেখা গিয়েছে ২০-২১-এর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস, কখনও আবার কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। তবে শেষ পর্যন্ত এক বৃহত্তম দল হিসাবে ১৮-১৯ আসনে এসে আটকে গিয়েছে গেরুয়া শিবির, কমে কখনও হয়েছে ১৭ আসনও। আবার কংগ্রেস কংগ্রেস ঘুরে বেড়িয়েছে ১৩-১৪-১৫ আসনের কাছাকাছি। তবে গোয়ায় তিনটি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল জোট।
ফলে দেখা গিয়েছে, আপ এগিয়ে রয়েছে দুটি আসনে। একটি আসনে প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিল আপ, পরে বেলা বাড়তেই দেখা যায়,আরও একটি আসনে এগিয়ে গিয়েছে আপ। পাশাপাশি অন্যরা এগিয়ে আছে আরও চারটি আসনে। খবর মিলেছে, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পার্রিকরের ছেলে পিছিয়ে আসনে একটি আসনে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ করেই সব কংগ্রেস প্রার্থীর রিসর্টে 'আত্মগোপন'! ফলপ্রকাশের আগেই গোয়ায় হলটা কী?
গোয়া নিয়ে প্রথম থেকেই বিপুল উৎসাহ নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল তৃণমূল। বারবার সেখানে গিয়েছিলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক সভাও হয়েছিল। সেই তুলনায়, মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে অনেকটাই দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ক্ষেত্রেও মূলত বিজেপি ও কংগ্রেস বৃত্তের বাইরের দলগুলিই বড় ভূমিকা নিতে চলেছে বলে মনে করা যায়।
আরও পড়ুন: মাদককাণ্ডে নাম জড়ানো পামেলাকে বড় দায়িত্ব বিজেপি-র! দিলীপ ঘোষ যা বললেন...
গোয়ায় সরকার গড়তে দরকার মোট ২১ আসন। ৪০ আসনের গোয়ায় এই সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এখনও পৌঁছতে পারেনি কোনওদলই। শেষ কারণেই মনে করা হচ্ছে, ছোট দল, আঞ্চলিক দল, যে তালিকায় রয়েছে তৃণমূল ও আপ বা গোমন্তক পার্টির মতো দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে কংগ্রেসের মুখপাত্র সতেজ প্যাটেল দাবি করেছেন, গোয়ায় এক বৃহত্তম দল হতে চলেছে কংগ্রেসই। যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় হাত শিবির, তাহলে সমর্থন নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।