#নয়াদিল্লি: ২০০৫ সালের এক সকাল৷ দিল্লির লোধি গার্ডেনে মর্নিং ওয়াক করছিলেন অরুণ জেটলি৷ হঠাত্ বুকে ব্যথা অনুভব করেন৷ স্ট্রোক৷ জেটলির অভিন্ন হৃদয় বন্ধু ও প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুমার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে৷ বন্ধুকে বাঁচাতে সে দিন ট্র্যাফিক আইন ভেঙে ভুল লেন দিয়েই গাড়ি চালিয়েছিলেন রঞ্জিত৷ ঠিক সময়ে চিকিত্সা শুরু হওয়ায় সুস্থ হয়ে যান জেটলি৷
বন্ধুর সেই উপকার, আমৃত্যু ভোলেননি৷ বন্ধু অরুণ জেটলি কেমন ছিলেন, CNN-News18-কে সেই স্মৃতি শেয়ার করলেন রঞ্জিত৷ তাঁর কথায়, 'আমি ওই প্রগাঢ়় বন্ধুত্বটা খুব মিস করব৷ এমন একজন মানুষ ছিল, যে কখনও মাথা গরম করেনি৷ যখনই প্রয়োজন হয়েছে, পাশে দাঁড়িয়েছে৷'
প্রথমবার জেটলির সঙ্গে যখন দেখা হয়েছিল তাঁর, সেই স্মৃতিটা কেমন ছিল? রঞ্জিত কুমারের কথায়, '১৯৭৪ সাল৷ হিন্দু কলেজে আমি স্নাতকের প্রথম বর্ষের ছাত্র৷ জেটলি তখন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন৷ আমিও অরুণ জেটলির জন্য তদ্বির করা শুরু করি৷'
অরুণ জেটলির ব্যক্তিত্ব ছিল চোখে পড়ার মতো৷ রঞ্জিত কুমার বলছেন, 'আপনার সঙ্গে যদি একবার দেখা করতেন, আপনাকে সারাজীবন মনে রাখতেন৷ এমন এক ব্যক্তিত্ব ছিল, একবার দেখা করলে, মনে হত ওর পাশেই ঘোরাঘুরি করি৷ প্রচুর শেখার, জানার জন্য৷ নিজেকে ওই উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন৷'
১৯৯৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত লোধি গার্ডেনে এক সঙ্গে মর্নিংওয়াক করতেন অরুণ জেটলি ও রঞ্জিত কুমার৷ 'দুর্দান্ত কাটত দিনগুলো৷ আমরা সকালে চুটিয়ে আড্ডা মারতাম, ঠাট্টা-ইয়ার্কি করতাম৷ জেটলির স্মৃতি শক্তি ছিল প্রখর৷ ১৯৬০ সালে কোনও সিনেমা হয়ত দেখেছেন, বা গান শুনেছেন, হুবহু বলে দিতে পারতেন৷ কখনও রাগতে দেখিনি৷ জীবনের শেষ দিন পর্যন্তও ঠান্ডা মাথার ব্যক্তিত্ব৷' বলতে বলতে চোখে জল বন্ধুর৷
আরও ভিডিও: 'আপনার ফিটনেসের ১০ শতাংশ পেলেও অনেক দিন কাজ করতে পারতাম'...
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।