#আহমেদাবাদ: সদ্য কংগ্রেস যোগদান করেছেন। তারপর থেকেই জল্পনা ছিল তুঙ্গে কিন্তু ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আত্মপ্রকাশ করতে পারবেন না পতিদার নেতা হার্দিক পটেল। ২০১৫ সালে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযগে হার্দিকের বিরুদ্ধে গুজরাত হাইকোর্টে মামলা চলেছে ও সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে লড়তে পারবেন না হার্দিক, আজ রায় দিয়েছে গুজরাত হাইকোর্ট ।
৮ মার্চ হাইকোর্টে এই মামলার বিরুদ্ধে আপিল জানিয়েছিলেন হার্দিক । ২০১৫ সালে মেহসানা জেলায় পতিদার আন্দোলনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা ও হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল ও বিশনগর আদালত তাঁকে দুই বছর কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। রিপ্রেসেন্টেশন অফ পিপলস আইন, ১৯৫১ এর আওতায় মামলা চলাকালীন কোনও নির্বাচনে লড়তে পারবেন না হার্দিক।
গুজরাত হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন হার্দিক কিন্তু একইসঙ্গে তিনি বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধেও অসাংবিধানিক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন তিনি । ট্যুইটারে তিনি জানিয়েছেন অনেক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধেও নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না । আইন বোধহয় কেবলমাত্র তাঁর ক্ষেত্রেই কাজ করে।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন তাঁর একমাত্র ভুল তিনি বিজেপির সামনে নত হননি । শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াই করার মাসুল এইভাবে দিতে হলেও নিজের লড়াই কোনওদিনই বন্ধ করবেন না, জানিয়েছেন হার্দিক।गुजरात हाईकोर्ट के फैसले का स्वागत करता हूं।चुनाव तो आते है जाते हैं लेकिन संविधान के खिलाफ़ भाजपा काम करी हैं। कोंग्रेस पार्टी के पच्चीस साल के कार्यकर्ता को चुनाव लडने से क्यों रोका जा रहा है।भाजपा के बहुत सारे नेताओं पर मुकदमें है, सजा भी हैं। लेकिन कानून सिर्फ हमारे लिए है।
— Hardik Patel (@HardikPatel_) March 29, 2019
हम डरने वाले नहीं हैं। सत्य, अहिंसा और ईमानदारी से आम जनता की आवाज उठाते रहेंगे। जनता की सेवक कोंग्रेस पार्टी की सरकार बनाएंगे। पार्टी के लिए गुजरात समेत पूरे देश में प्रचार करूंगा। मेरा कसूर सिर्फ इतना है कि मैं भाजपा के सामने झुका नहीं। सत्ता के सामने लडने का यह परिणाम हैं। — Hardik Patel (@HardikPatel_) March 29, 2019
এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারেন হার্দিক কিন্তু গুজরাতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৪ এপ্রিল ও রাজ্যে ভোটগ্রহণ ২৩ এপ্রিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি হাইকোর্টে মামলা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন কিন্ত তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট । গুজরাত সরকারের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে এই মামলা প্রক্রিয়া দেরি করার অভিযোগ তুলেছেন হার্দিক ।
রাতের বিমানে আজ নয়াদিল্লি আসছেন হার্দিক, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন সুপ্রিম কোর্টে।