রাজীব চক্রবর্তী, নয়াদিল্লি: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত নন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। দিল্লিতে সাংবাদিকদের সামনে দাবি করলেন এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সন্দেহভাজন গোপাল দলপতি। বুধবার নয়াদিল্লির কনটপ্লেসে হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রাক্তন স্ত্রীয়ের হয়ে রক্ষণাত্মক জবাব দেন গোপাল দলপতি। হৈমন্তীর নেপাল চলে যাওয়ার জল্পনা নস্যাৎ করে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, দেশেই রয়েছে হৈমন্তী এবং কয়েকদিনের মধ্যে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন তিনি।
এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে প্রকৃত দোষীদের নাম যাতে সামনে আসে, তদন্ত যাতে দ্রুত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তারজন্য হনুমান মন্দিরে পুজো দেন তিনি। পুজো দেওয়ার পর হৈমন্তী প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের গোপাল দলপতি জানান, অসুস্থ হৈমন্তী, তাঁর স্নায়ুর সমস্যা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জেলে থেকেও আরও বিপদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আরও এক মামলায় CBI নির্দেশ! মহাবিপদ
গোপালের দাবি, যেভাবে সাংবাদমাধ্যমে দৈনিক নানান প্রশ্ন, জল্পনা এবং অভিযোগ সামনে আসছে, তাতে বিপর্যস্ত হৈমন্তী। প্রাক্তন স্ত্রী হৈমন্তীর সঙ্গে লোক মারফৎ যোগাযোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপাল দলপতি। খুব শীঘ্রই হৈমন্তীকে সাংবাদিক সম্মেলনে দেখা যাবে। তবে স্বামী গোপাল দলপতি এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী হৈমন্তী যৌথ সাংবাদিক সম্মলন করবেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে গোপালের দাবি, তিনি এবং হৈমন্তী দুজনেই নির্দোষ।
আরও পড়ুন: ৪ জনের চাকরি ৬৪ লাখে! পার্থ ঘনিষ্ঠ অতনু গুছাইত কোথায় গেল? পৈতৃক বাড়িতে সমন
সিবিআইকে পাল্টা চ্য়ালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে গোপাল দলপতি জানিয়েছেন, দোষী হলে দিল্লিতে থাকা অবস্থাতেই তাঁকে গ্রেফতার করুক সিবিআই। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও বড়সর তথ্য ফাঁস করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। গোপাল দলপতি আরও জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে বডসর রাঘব বোয়ালদের নাম সামনে আনেন তিনি। সূত্রের খবর, ২০০৮-০৯ নাগাদ ডায়মন্ড হারবারে 'সন্মার্গ' নামে একটি চিটফান্ড সংস্থার মাধ্যমে বিকাশ দলপতির উত্থান। খুব অল্প দিনের মধ্যেই সেই চিটফান্ড সংস্থার এজেন্ট থেকে টিম লিডার হয়ে উঠেছিল সে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে তাঁর অর্থনৈতিক প্রতিপত্তিও বাড়তে থাকে।
২০১৫-১৬ নাগাদ ট্রেড লাইসেন্স বার করে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর এলাকায় 'জি নেট অ্যাডওয়ার্ল্ড প্রাইভেট লিমিটেড 'নামে একটি চিট ফান্ড সংস্থা খোলে গোপাল। এই 'জি নেটে'র মূল কাজ ছিল একজন পাঁচ-হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করালে, তার কোডে প্রতিদিন ১০টি করে বিজ্ঞাপন দেওয়া। গোয়েন্দাদের দাবি, বাজার থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা তুলেছিল গোপাল। ১২ জানুয়ারি ২০১৮সালে ROC রেজিস্ট্রেশন করে। সেখানে বিকাশের স্ত্রী হিসেবে দেখা যায় মধুমিতা দলপতির নাম। অবশেষে কয়েক হাজার কোটি টাকা তছরূপ করার পরে বন্ধ হয় এই 'জি নেট'। সেই সময় বেহালাতেও 'জি নেটে'র একটি অফিস ছিল। সেই সূত্রে তাঁর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয় বলে সূত্রের খবর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Gopal Dalapati Haimanti Ganguly, Haimanti Ganguly, SSC Scam