# নয়াদিল্লি: ঘরে, বাইরে ক্রমশ চাপ বেড়ে চলেছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এসে দাঁড়াচ্ছেন কৃষকদের পাশে। অভিনেতা থেকে ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, কেউ বাদ নেই। প্রতিদিনই জোর পাচ্ছে কৃষক আন্দোলন। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে গিয়ে পৌঁছেছে এই আন্দোলনের ঢেউ। এসপার নয় ওসপারের লড়াইয়ে মুখরক্ষা করতে মরিয়া সরকারও। আইন প্রত্যাহার ছাড়া সব কিছুতেই রাজি তাঁরা । এমনকি আইন সংস্কার করতেও অসুবিধা নেই তাঁদের। কিন্তু কৃষকরা মানলে তো! নিজেদের দাবি থেকে এক ইঞ্চি সরতে নারাজ তাঁরাও।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এ দিন বিজেপি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, "আমরা কৃষকদের সম্মান করি। তাঁরা এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকার তলায় আশ্রয় না নিয়ে যেভাবে নিজেরা প্রতিবাদ করছেন তা তারিফ করার মত। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল যে ভাবে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে, তা নিন্দনীয়। এঁদের মানুষ বারবার ফিরিয়ে দিয়েছেন। লোকসভা, বিধানসভা, পুরোনিগমের ভোটেও এঁরা জেতে না। আজ নরেন্দ্র মোদির সরকার কৃষি আইন নিয়ে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইউপিএ জমানায় ২০১৩ সালে রাহুল গান্ধির কংগ্রেসের ম্যানিফেস্টো একই কথা বলেছিল। এনসিপির শরদ পাওয়ার যখন কৃষি মন্ত্রী ছিলেন তখন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়ে তিনি কৃষিক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আজ তাঁরা পাল্টি খেয়েছেন। আসলে যে কোনওভাবে এই সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলা এঁদের লক্ষ্য। কৃষকদের ভাল এঁরা কেউই চান না। যে যাঁর রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই মাঠে নেমেছে।’’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল নিজের জায়গায় নতুন কৃষি আইন এনেছে, বিজ্ঞাপন দিয়ে সেটা জানানো হয়েছে বিভিন্ন কাগজে। আর এখানে এসে বিরোধিতা করছেন। এঁদের দু'মুখো নীতি। আমরা দেশের উন্নতি চাই। কৃষকদের উন্নতি ছাড়া সেটা সম্ভব নয়।"
Written by- Rohan Roy Chowdhury
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।