৪০,০০০ কোটি টাকার ফান্ড বাঁচাতেই ৮০ ঘণ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ফডনবীশ
৪০,০০০ কোটি টাকার ফান্ড বিরোধীদের হাত থেকে বাঁচাতেই ৮০ ঘণ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ফডনবীশ, বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি সাংসদের
সেই ৮০ ঘণ্টার মুখ্যমন্ত্রীত্ব আসলে ছিল ৪০,০০০ কোটি টাকার একটি কেন্দ্রীয় তহবিল বাঁচানোর নাটক ৷ এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গেল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগডের মুখে ৷
#মুম্বই:রাতারাতি ক্যাবিনেট থেকে রাষ্ট্রপতি, সবারই মিলল অনুমোদন ৷ ভাল করে সকাল হওয়ার আগে শপথ নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীশ ৷ সেই ৮০ ঘণ্টার মুখ্যমন্ত্রীত্ব আসলে ছিল ৪০,০০০ কোটি টাকার একটি কেন্দ্রীয় তহবিল বাঁচানোর নাটক ৷ এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গেল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগডের মুখে ৷সম্প্র্তি সাংসদ অনন্তকুমার হেগডে মহারাষ্ট্রের সদ্য সমাপ্ত রাজনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে মন্তব্য করে বসেন, বিপুল কোটি টাকার কেন্দ্রীয় তহবিল বাঁচাতেই ৮০ ঘণ্টার মুখ্যমন্ত্রীত্বের নাটক করেছিল বিজেপি ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা নিয়ে আত্মবিশ্বাস না হয়েও ৪০ হাজার কোটি টাকার তহবিল বাঁচাতেই রাতারাতি শপথ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় দেবেন্দ্র ফডনবীশকে ৷ ওই ৮০ ঘণ্টার মধ্যেই ওই তহবিল যেখানে পৌঁছনোর পৌঁছে দেন তিনি ৷ দলীয় সাংসদের এমন মন্তব্যে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবিরউত্তরা কন্নড় আসনের ইয়াল্লাপুরে একটি জনসভায় প্রচারে এসে হেগড়ে বলেন, ‘আপনারা সকলেই জানেন যে মহারাষ্ট্রে মাত্র ৮০ ঘণ্টার জন্য আমাদের প্রতিনিধি দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিন্তু তারপরেই তিনি নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন। আমাদের এই নাটকটি কেন করতে হল ? আমরা কী আগে থেকে গোটা পরিস্থিতি জানতাম না ? আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই জানার পরেও কেন এমনটা করা হল? কেন তিনি রাতারাতি মুখ্যমন্ত্রী হলেন? এই প্রশ্নটি আজকাল সবাই জিজ্ঞাসা করে ৷ আসলে ৪০,০০০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক তহবিল মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। যদি এনসিপি, কংগ্রেস এবং শিবসেনা জোট ক্ষমতায় আসে তবে হয়তো ওই ৪০,০০০ কোটি টাকা উন্নয়নের জন্যে ব্যয় নাও হতে পারত এবং ওই টাকার অপব্যবহার হতে পারতো ৷ এটা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল ৷’এখানেই শেষ নয়, অনন্তকুমার হেগডের দাবি, ‘তাই ওই ঘটনা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে করা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে যাই ঘটুক না কেন, একটি বড় নাটক করার দরকার রয়েছে। সেই কারণেই সেখানে রাতারাতি সরকার গড়া হয় এবং তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন। তারপর ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই ফড়নবীশ ওই টাকা যেখানে যাওয়ার কথা ছিল সেখানেই যেন চলে যায় ৷ এই কাজ না করে ওই ৪০ হাজার কোটি টাকা যেখানে ছিল সেখানেই থাকলে আপনারা জানেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী আসার পর এর কী হতে পারত ৷’ এই মন্তব্যের পুরো ভিডিওটি নিজের ফেসবুকেও পোস্ট করেন হেগডে ৷প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ের দাবিতে চাঞ্চল্য গেরুয়া শিবিরে ৷ সরাসরি অনন্তকুমার হেগড়ের দাবি খারিজ করে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেছেন, ‘এমন কিছুই হয়নি ৷ এই দাবি ভ্রান্ত এবং মিথ্যে ৷ আমি ওই স্বল্প সময় দায়িত্বে থাকাকালীন কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিইনি ৷’
ফড়নবীশের দাবির পরেও থামছে না বিতর্ক ৷ হেগড়ের এই মন্তব্যে শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত ট্যুইট করেন, ‘৮০ ঘণ্টার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী যদি রাজ্যের ৪০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রকে ফিরিয়ে দেন, তাহলে এটা মহারাষ্ট্রের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা ৷’
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।