#নয়াদিল্লি: কী কী ভাবে নিজেকে শেষ করা যায় তার ভিডিও ইউটিউবে বসে দেখতেন মা ও মেয়েরা! বসন্ত বিহারে তিনটি আত্মহত্যার ঘটনায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তে! পুলিশ সূত্রের খবর, তিনজন মহিলাই নিজেকে খুন করার বিভিন্ন উপায় বের করতে নিয়মিত ইউটিউব ভিডিও দেখেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মঞ্জু শ্রীবাস্তবের (৫৫) স্বামী উমেশ শ্রীবাস্তব গত বছর COVID-19-এ মারা যান। তার পর থেকেই মঞ্জু এবং তাঁর কন্যা অঙ্কিতা (৩০) এবং অংশুতা (২৬) বিষণ্ণতায় ভুগতে শুরু করেন। আর্থিক সংকট তাঁদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছিল।
আরও পড়ুন- ক্ষমতার ৮ বছর! ২০১৪ থেকে সুশাসনের লক্ষ্যে কোন কোন প্রকল্প শুরু করল মোদি সরকার?
গত শনিবার রাতে, মঞ্জু এবং তাঁর দুই মেয়েকে নিজেদের বাড়িতে আংশিক খোলা গ্যাস সিলিন্ডার এবং সমস্ত জানালা ফয়েল দিয়ে সিল করা অবস্থায় পাওয়া যায়। যে ঘরে তাঁদের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল সেখানে তিনটি ছোট কয়লাও জ্বালিয়ে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, যেহেতু “কয়েক মাস ধরেই নিজেদের আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিল” এই পরিবার, তাই সম্ভবত তাঁরা নিজেদের হত্যা করার বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করার জন্য এবং যাতে তাঁদের কোনোভাবেই বাঁচানো না যায় তা নিশ্চিত করতে নানান ইউটিউব ভিডিও দেখেছিলেন।
মৃতদের একজনের লেখা একটি সুইসাইড নোট ঘরের দেওয়াল থেকে উদ্ধার হয়, যাতে লেখা ছিল, “ভেতরে কার্বন মনোক্সাইড রয়েছে। আমরা বাঁচতে চাই না বলে আমাদের বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না। বাঁচালে আমাদের মন ও মাথার ক্ষতি হতে পারে। এটা বেঁচে থাকা আর মরার চেয়েও খারাপ। আমরা অনুরোধ করছি আপনারা আমাদের বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না। বরং নিজেকে বাঁচান।”
আরও পড়ুন- ভারতে মাঙ্কিপক্স সতর্কতা: মুম্বই হাসপাতালে বিশেষ ওয়ার্ড, বিমানযাত্রীদের পরীক্ষা!
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া দু’টি মোবাইল পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আট নয়টি সুইসাইড নোট ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাব যাতে হাতের লেখার সঙ্গে মেলানো যায় যে তিনজনের মধ্যে কে লিখেছে।”
মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেই পুলিশ জানিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Suicide case, Suicide Note