হোম /খবর /দেশ /
করোনাকালে পুষ্প-বিহীন পুষ্পাঞ্জলি হবে রাজধানীর এই পুজোয়

Delhi Kalibari Durga Puja| করোনাকালে পুষ্প-বিহীন পুষ্পাঞ্জলি হবে রাজধানীর এই পুজোয়

ময়ূর বিহার ফেজ ওয়ানে কালীবাড়ি সমিতির দুর্গা পুজো।

ময়ূর বিহার ফেজ ওয়ানে কালীবাড়ি সমিতির দুর্গা পুজো।

Delhi Kalibari Durga Puja|| মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ, মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং সামাজিক দূরত্ববিধি, ইত্যাদি মেনে তবেই মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের।

  • Last Updated :
  • Share this:

#নয়াদিল্লি: ময়ূর বিহার ফেজ ওয়ানে কালীবাড়ি সমিতির দুর্গাপুজোয় প্রতিবছর ভিড় সামলাতে  নাস্তানাবুদ হন উদ্যোক্তারা। শর্তসাপেক্ষে এবার পুজোর অনুমোদন মিলেছে। সতর্ক পুজো কর্তারা আঁটোসাঁটো কোভিড বিধি পালন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন।'কালীবাড়ি ময়ূর বিহার সমিতি'র সম্পাদক অমিতাভ দত্ত নিউজ এইট্টিন বাংলাকে জানিয়েছেন, "এবার মন্দিরের গেটে মোতায়েন থাকছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ, মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং সামাজিক দূরত্ববিধি, ইত্যাদি মেনে তবেই মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীরা  একদিক থেকে একদিক দিয়ে ঢুকবেন, বেরোবেন অন্যদিক দিয়ে। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ফুল বা পুষ্প ছাড়াই হবে পুষ্পাঞ্জলি। দেবী দর্শনের পর্ বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যেক দর্শনার্থীকে দেওয়া হবে মায়ের ভোগের থালি।"এবার এমন করেই পুজোর আয়োজন করেছে ময়ূর বিহার ফেজ ওয়ান কালীবাড়ি।

প্রসঙ্গত, দেশের রাজধানী দিল্লির পূর্ব প্রান্তে যমুনা নদী-সংলগ্ন অঞ্চল ময়ূর বিহার। ১৯৮০ সালে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এখানে পকেট ওয়ান থেকে পকেট ফোর পর্যন্ত আবাসন গড়ে তুলেছিল। সেই সময় থেকেই বহু বাঙালি এখানে বসবাস শুরু করে। বাঙালি বসবাস করবে অথচ ধর্ম ও সংস্কৃতির চর্চা হবে না, তা কি হয় ?এই চর্চার মাধ্যমেই বাঙালিরা একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে থাকতে ভালোবাসে। ১৯৮১ সালে এমনই ৩৭ টি বাঙালি পরিবার পকেট-ওয়ানে একে মুখার্জির বাড়িতে জড়ো হন। আলোচ্য বিষয়, বঙ্গ সংস্কৃতির চর্চা।

পরের বছর ১৯৮২ সালে প্রথম সরস্বতী পুজোর আয়োজন হয়। তারপর একে একে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে দুর্গাপুজো, কালীপুজো-সহ অন্যান্য পুজো শুরু হয়। সেসময় পুজো হত কোন অস্থায়ী জায়গায় অথবা সরকারি পার্ক ভাড়া নিয়ে। পরবর্তী সময়ে তৈরি হয় এই কালীবাড়ি। তারপর থেকে কালীবাড়ি প্রাঙ্গণেই প্রতিবছর দুর্গা পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে।

আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে কৃষককে পিষে মারার অভিযোগ, ৩ দিনের জেল হেফাজত মন্ত্রিপুত্র আশিস মিশ্রর

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এই পুজোর বিশেষ একটি দিক। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য উৎপল ব্যানার্জি জানাচ্ছিলেন, "এই কালীবাড়ি নির্মাণের উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এস এম আলি। পি কে দাসের মতো কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তৎকালীন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এইচকেএল ভগতের কাছে তদ্বির করে দিল্লি উন্নয়ন পর্ষদ এর কাছ থেকে কালি বাড়ি নির্মাণের জন্য জমি আদায় করেছিলেন তিনি।"

১৯৮৪ সালে তৈরি হয়েছিল ময়ূর বিহার ফেজ ওয়ান কালীবাড়ি। ৩৭ টি পরিবারের উদ্যোগে গড়ে ওঠা কালীবাড়ির আজীবন সদস্য সংখ্যা এখন ৪০০ ছাড়িয়েছে।

RAJIB CHAKRABORTY

Published by:Arka Deb
First published:

Tags: Durga Puja 2021