#লখনউ: তিল তিল করে টাকা জমিয়েছিলেন। সুখের আশ্রয়ে থাকবেন বলে বানিয়েছিলেন বাড়ি। কিন্তু কপালে না থাকলে কী আর সুখ সয়! নতুন বাড়িতে এক রাতের বেশি থাকা হল না দম্পতির। নিজেরাই নিজেদের জীবন শেষ করলেন তাঁরা। গৃহপ্রবেশের দিনই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন লখনউয়ের দম্পতি।
ঘটনার আকস্মিকতায় অবাক আত্মীয়-পরিজনরা। একদিন আগেও সব কিছু ঠিকঠাক ছিল সেই দম্পতির মধ্যে। তা হলে এক রাতের মধ্যে এমন কী হল! ৩২ বছর বয়সী সাধনা মিশ্র প্রথমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর পর তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখে আত্মহত্যা করেন স্বামী শ্যাম কিশোর মিশ্র (৩৮)। আজ, বুধবার গৃহপ্রবেশের দিন সকালে দম্পতির ঝুলন্ত দেহ ঘর থেকে উদ্ধার করেন আত্মীয়রা।
সাধনা ও শ্যামের একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। গোমতীনগরের পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, এই দম্পতি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। একটু একটু করে টাকা জমিয়ে গঙ্গোত্রীবিহারে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন শ্যাম কিশোর মিশ্র। গৃহপ্রবেশ উপলক্ষে নতুন বাড়িতে আত্মীয়ের আগমন হয়েছিল। সবাই মিলে গৃহপ্রবেশের আগেরদিন থেকেই আনন্দে মেতে ওঠেন। তবে সেই আনন্দ যে এভাবে বিষাদে পরিণত হবে তা কেউই আন্দাজ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন- পিছোবে না ত্রিপুরার পুরভোট, জানিয়ে দিল সু্প্রিম কোর্ট! নিরাপত্তা নিয়ে নির্দেশ
আসলে নতুন বাড়ি করার আনন্দে অর্কেস্ট্রা পার্টি ডেকেছিলেন শ্যাম। মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকে সেই অর্কেস্ট্রা পার্টির গান-বাজনায় জমে উঠেছিল আসর। সন্ধ্যে থেকেই মদ্যপান করেছিলেন বাড়ির অনেকে। সেই আসরে ছিলেন শ্যাম। এর পরই অর্কেস্ট্রা পার্টির সঙ্গে আসা নর্তকীদের সঙ্গে নাচ-গানে মেতে ওঠেন শ্যাম কিশোর। এই ব্যাপরাটাই মেনে নিতে পারেননি তাঁর স্ত্রী সাধনা। তিনি স্বামীকে ঘরে চলে যেতে বলেন। কিন্তু শ্যাম রাজি হননি।
শেষ পর্যন্ত স্বামীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান সাধনা। কিন্তু শ্যাম এর পরও বাইরে এসে নর্তকীদের সঙ্গে নাচথে থাকেন। রাতে সব মিটে গেলে দুজনে একসঙ্গে ঘরে যান। আত্মীয়রা বলছিলেন, গভীর রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হয়েছিল। এর পর ঘরে ছেলে-মেয়ে ও স্বামী থাকা সত্ত্বেও গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়েন সাধনা। স্ত্রীকে ঝুলতে দেখে মাথার ঠিক রাখতে পারেননি শ্যাম কিশোর। তিনও গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Lucknow, Suicide, Suicide case