Indian Railways | Coromandel Express: মৃতদেহটাও তো মেলেনি! ১৩ বছর ধরে বাবার বুকপকেটে মেয়ের ছবি, কোথাও যদি একবার দেখা মিলে যায়..

Last Updated:

অনেক সময় দেখা গেছে দুর্ঘটনায় পড়ে থাকা মৃতদেহ অন্যেরা নিয়ে চলে গেছে। তারা হয়ত দাহা করে দিয়েছে। এইরকম ঘটনা অনেক ঘটেছে। অনেকে রয়েছেন তাদের পরিবারের মানুষের দেহ আজও পায়নি। কারণ কি?

কলকাতা: ‘দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে, কখনও রেল, কখনও সড়ক, কখনও বা বিমানে। দুর্ঘটনার গাড়ির নম্বর বদলায়। দুর্ঘটনার স্থান বদলায়। আর বদলায় দুর্ঘটনার পরে কাঁদার মানুষ। দুর্ঘটনা ঘটবে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হবে। আর যতগুলোই মৃত্যু হোক। তার জন্য একটা তদন্তের ফাইল তৈরি হবে। এর বাইরে আর কিছু হবে না।’ এই কথা বলতে বলতে চোখ ছল ছল করে উঠল রাজেশ ভার্তার। প্রায় একই কথা অনুরণিত হল সুরিন্দর সিং-এর গলাতেও৷ কারা এই রাজেশ-সুরিন্দর? জানেন? জানেন তাঁদের ইতিহাস?
২০১০ সালের ২৮ মে৷ আরেক অভিশপ্ত রাত৷ মধ্যরাতে ট্রেনের প্রায় সকলেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন৷ ছিল৷ সেই ঘুমের মধ্যেই তাঁদের জীবনে নেমে এল প্রলয়৷ ঘড়িতে তখন ১টা৷ সশব্দে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস রেললাইন থেকে বেরিয়ে গিয়ে ধাক্কা মারল মাল গাড়িতে। সরকারি খাতায় সেই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ১৪১ জন। তার মধ্যে এই ১৩ বছর পরেও খোঁজ মেলেনি ১৭ জনের দেহের। রাজেশ ও সুরিন্দর সিং সেই হতভাগ্যদের দুজন, যাঁরা আজও হাঁতড়ে মরেন নিজেদের প্রিয় মানুষগুলোর জন্য৷ ওঁরা কি বেঁচে আছে? ওঁরা কি বেঁচে? অন্তত একবার যদি চোখের দেখা দেখতে পাওয়া যেত ওদের…
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনাস্থল দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও চলছে না সব ট্রেন, এখনও বাতিল কোন কোন ট্রেন? জেনে নিন এক ঝলকে
ওই দিন জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে রাজেশ ভার্তার, স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে মহারাষ্ট্রের কল্যাণে শশুরবাড়িতে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পরের দিন ভোর ৬টার সময় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পান তিনি। তৎক্ষণাৎই খড়গপুর হাসপাতালে পৌঁছন। সেখানে গুরুতর আহত অবস্থায় ১৩ বছরের ছেলে সৌরভকে দেখতে পান৷ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ছেলে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করান। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি৷ দুদিন বাদেই মারা যায় ছেলে।
advertisement
advertisement
ছেলেকে হারিয়েও খুঁজে বেরাচ্ছিলেন স্ত্রী ও মেয়েকে। না হাসপাতালে, না মর্গে, কোথাও খোঁজ পাননি৷ অবশেষে ওই বছরই ২৬ ডিসেম্বর স্ত্রীর দেহের খোঁজ পান। কিন্তু, ১৩ বছর কেটে গেলেও মেয়ে স্নেহার খোঁজ পাননি রাজেশ। এত বছর ধরে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দরবারে ঘুরেছেন৷ কেউ তাঁকে তাঁর মেয়ের খোঁজ দিতে পারেননি। রাজেশ বাবুর বিশ্বাস, তাঁর মেয়ে এখনও বেঁচে আছে৷ তাই আজও, যেখানেই যান না কেন মেয়ে স্নেহার ছবি সবসময় বুক পকেটে রেখে দেন। তাঁর বিশ্বাস, একদিন না একদিন, ঠিক মেয়েকে দেখতে পাবেন তিনি৷
advertisement
আরও পড়ুন: করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত দেহ! একটি মৃতদেহ নিয়ে টানাপড়েন দুই পরিবারের, ১০০ দেহ শনাক্ত করা যায়নি এখনও
 সুরিন্দর সিংয়ের স্ত্রী নিলম, দুই ছেলে রাহুল, রোহিত ও ভাইঝি খুশবু সিং দুর্গে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিল। ওই রাতের রেল দুর্ঘটনায় পরিবারের চারজনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। রোহিত(১৪) ও খুশবুর (৭)দেহ পেলেও,আজও স্ত্রী ও রাহুলের (১৫) দেহ পাননি সুরিন্দর। তিনবার DNA পরীক্ষা হয়েছে, কিন্তু স্ত্রী-পুত্রের খোঁজ পাননি।
advertisement
রাজেশ-সুরিন্দর, এঁরা দুজনেই দাবি করেন, রেল শুধুমাত্র তাদের পরিষেবা নিয়ে ভাবে। যাঁরা মারা গেল, তাঁদের নিয়ে কোনও চিন্তা করে না। অভিযোগ, এখন রেলের কাছে গেলে,আর সে রকম কোনও সহযোগিতা পাননা তাঁরা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Indian Railways | Coromandel Express: মৃতদেহটাও তো মেলেনি! ১৩ বছর ধরে বাবার বুকপকেটে মেয়ের ছবি, কোথাও যদি একবার দেখা মিলে যায়..
Next Article
advertisement
সকালে মা দরজা খুলতেই...বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
  • সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ

  • দেগঙ্গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘনাচ্ছে রহস‍্য।

  • পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মদ্যপানের আসরেই খুন করা হয়েছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement