#পাটনা:
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল অবস্থা গোটা দেশের। এমন পরিস্থিতিতে আবার তৃতীয় ঢেউয়ের ভয় ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞাদের অনেকেই বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ অনেক বেশি মারাত্মক হবে বাচ্চাদের জন্য। প্রায় ১০০ দিন ধরে সংক্রমণ ছড়াবে তৃতীয় ঢেউয়ে। ফলে বিপদ যে এখনও কাটেনি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ তৈরি ছিল না। তা এখন তেতো সত্যি। তৈরি থাকলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপে এত মানুষ অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ হারাতেন না। তবে তৃতীয় ঢেউ দেসে আছড়ে পড়ার আগে তৈরি থাকতে চাইছে স্বাস্থ্য বিভাগগুলি। কারণ এবার বাচ্চাদের বিপদ বেশি। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন সব থেকে বড় অস্ত্র হতে পারে। তা বুঝতে পেরেছে কেন্দ্র। আর তাই যতটা বেশি সম্ভব মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের উপর কোভ্যাক্সিন (Covaxin) ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছিল ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। এবার ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার অনুমতি নিয়ে বাচ্চাদের উপর কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হল। পাটনার এইমস-এ চিকিত্সকদের একটি দলের তত্ত্বাবধানে বাচ্চাদের উপর এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। পাটনা ছাড়াও দিল্লি ও নাগপুরে বাচ্চাদের উপর কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা। দিল্লি ও পটনার এইমস ও নাগপুরের মেডিট্রিনা ইনস্টিটিউটে মোট ৫২৫টি বাচ্চার উপর চলবে এই ট্রায়াল। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তাঁদের স্বাস্থ্যের প্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখা হবে। তা ছাড়া বাচ্চাদের উপর এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কেমন , তাও পরীক্ষী করে দেখা হবে।
করোনা জয় বাচ্চাদের উপর ট্রায়াল শুরু গেমচেঞ্জার হতে পারে। তবে এই মুহুর্তে সারা দেশে ভ্যাকসিনের জোগানে টান পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সফল হলে চাহিদা আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে সরবরাহ সময়মতো হবে তো! এই নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তবে ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতি মাসে অন্তত ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ডাজ উত্পাদন করা হবে। যাতে চাহিদার সঙ্গে জোগানের সামঞ্জস্য থাকে। জুলাই-অগাস্ট থেকেই প্রতি মাসে ৬ থেকে ৭ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ উত্পাদন হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ভারত বায়োটেক।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: AIIMS, Bharat Biotech, Corona Vaccine, Covaxin