# উত্তরাখণ্ড: ফের খুলছে চারধাম যাত্রা। ৮ জুন মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ড সরকার প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩০ জুন পর্যন্ত শুধুমাত্র উত্তরাখণ্ডের তীর্থযাত্রীরাই গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ ও বদ্রিনাথ দর্শনে যেতে পারবেন। করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে জারি হয় একগুচ্ছ সতর্কতামূলক বিধিনিষেধও।
এ বার দেশের অন্যান্য প্রান্তের ভক্ত-দর্শনার্থীদের জন্যও সুখবর। ১ জুলাই থেকে গোটা দেশের তীর্থযাত্রীরাই যেতে পারবেন কেদারনাথ, বদ্রিনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী দর্শনে। করোনা সংক্রমণ রুখতে তৈরি হয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন।
৮ জুনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধুই উত্তরাখণ্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা চারধাম দর্শনে যেতে পারবেন। তবে রেড জোন বা কন্টেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের জন্য বলবৎ রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
বিজ্ঞপত্তিতে বলা হয়, একদিনে সর্বাধিক ১২০০ স্থানীয় যাত্রী বদ্রিনাথে, ৮০০ যাত্রী কেদারনাথে, ৬০০ যাত্রী গঙ্গোত্রী ও ৪০০ যাত্রী যমুনোত্রীতে যেতে পারবেন। কিন্তু এই নিয়ম লাগু থাকবে ৩০ জুন পর্যন্ত। ১ জুলাই থেকে দেশের অন্য প্রান্তের পূণ্যার্থীরাও চারধাম দর্শনে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে চালু হবে নয়া গাইডলাইন ।
চারধাম দেবস্থানম ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সিইও রবিনাথ রমন জানান, “উত্তরাখণ্ডের বাইরের তীর্থযাত্রীদের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত চারধাম বন্ধ থাকবে। ১ জুলাই থেকে তাঁরা আসতে পারবেন।''
রমন জানান, ৩০ জুন পর্যন্ত সেই সমস্ত তীর্থযাত্রীদের চারধামে যাওয়ার অনুমতি মিলেছে, যাঁরা ওই একই জেলার বাসিন্দা। পাশাপাশি যাঁদের ওই এলাকায় হোটেল, গেস্ট হাউস, দোকান রয়েছে, অথবা যে-সমস্ত সরকারি কর্মী ওই অঞ্চলে কর্মরত, তাঁদেরও অনুমতি মিলেছে।
সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকছে চারধাম। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক পরা-সহ অন্যান্য সতর্কতামূলক নিয়ম মানা অত্যাবশ্যক। দর্শণের আগে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। দর্শনের নির্দিষ্ট সময় আর দিন লেখা থাকবে টোকেনে।
কেদারনাথ মন্দিরে ঢোকার লাইন সর্বাধিক ১২০ মিটার লম্বা হতে পারে। এক-একজনের মধ্যে ২ মিটার ব্যবধান থাকতে হবে। বদ্রিনাথে মন্দিরে ঢোকার লাইন সর্বাধিক ২৪০ মিটার লম্বা হতে পারে। কেদারনাথে একঘণ্টায় ৮০ জন দর্শনার্থী ও বদ্রিনাথে এক ঘণ্টায় ১২০ জন দর্শনার্থী মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। কেদারনাথে দর্শনের সময় ১ মিনিট, বদ্রিনাথে ৩০ সেকেন্ড। সূত্রের খবর, ১ জুলাই থেকে কী কী নিয়ম চালু হবে তা শীঘ্রই ঘোষণা করবে উত্তরাখণ্ড সরকার।