দুর্গেশ সিং রাজপুত, পাঁচমারি : মধ্যপ্রদেশের নর্মদাপুরমে আছে মা বগলামুখীর প্রাচীন ও জাগ্রত মন্দির। দীর্ঘ দিন ধরে এই ধর্মস্থান তান্ত্রিক ও তন্ত্রচর্চার পীঠ। এই মন্দিরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেবীর বাহনে। আজও তান্ত্রিকরা এসে এই দেবালয়ে তন্ত্রচর্চা করেন। অম্বা মায়ের এই মন্দিরে জগদম্বার স্বরূপে পূজিত হন মা বগলামুখী। ১৭৫ বছর আগে পাঁচমারির সাবেক রানি মহলের সেই সময়কার রানি মা জগদম্বার প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কথিত, চৈত্র নবরাত্রির সময় দেবীর বাহন স্বয়ং বাঘ মন্দির দর্শন করতে আসে। অনেক ভক্ত দেখেছেন সেই দৃশ্য। যেখানে গভীর রাতে মন্দিরের প্রবেশদ্বার থেকে দেবীকে দর্শন করছে বাঘ। এর পর কারওর কোনও ক্ষতি না করে শান্তভাবে জঙ্গলে ফিরে যায় হিংস্র শ্বাপদ।
পুণ্যার্থীদের মতে, মা অম্বা তাঁর সকল ভক্তের প্রার্থনা শোনেন ও মঞ্জুর করেন। নিঃসন্তান দম্পতি সন্তান লাভ করেন। জনশ্রুতি, কেউ এখান থেকে নিরাশ হয়ে ফেরেন না। মন্দিরের বাইরে একটি খোলা চত্বর আছে। নবরাত্রিতে সেখানে গভীর রাতের অন্ধকারে একবার অন্তত বাঘ আসে দেবীদর্শনের জন্য। মায়ের দর্শন করে ফের ফিরে যায়। অনেক বার পুণ্যার্থীদের মুখোমুখিও হয়েছে বাঘ। কিন্তু দেবীর কৃপায় কারওর কোনও ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন : ৯১ দিনের লড়াই শেষে বাড়ি ফিরল সদ্যোজাত শিশুকন্যা, নবজাতককে নতুন জীবন দিলেন চিকিৎসক
মন্দিরের পুজারী প্রশান্ত পটেরিয়াও জানান দেবী অম্বা ভক্তদের সব ইচ্ছে পূর্ণ করেন। জনপ্রিয় পর্যটন ক্ষেত্রে পাঁচমারি যাওয়ার পথে অনেকেই মা জগদম্বার দর্শন করে যান।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Chaitra Navratri 2023, Temple