নয়াদিল্লি : একাধিক রাজ্যের উপনির্বাচনে ভোটবাক্সে ফের সফল বিজেপিই (BJP)। দেশের মোট ১০ আসনের উপনির্বাচনের মধ্যে ৫টিই গেল বিজেপির দখলে। ২টি আসনে জিতল কংগ্রেস। একটি করে আসন জিতল আম আদমি পার্টি, শিরোমণি অকালি দল (অমৃতসর) এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস (By Election Results)। যে দুই রাজ্যে জয় পাওয়াটা বিজেপির জন্য প্রেস্টিজ ইস্যু ছিল, সেই দুটি রাজ্যেই জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
ত্রিপুরার (Tripura By Election) ৪ বিধানসভার মধ্যে ৩টিতেই জিতেছে বিজেপি (BJP)। টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে এই প্রথমবার নির্বাচনে লড়েছেন ত্রিপুরার সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা। কংগ্রেসের (Congress) আশিস সাহাকে ৬ হাজারের বেশি ভোটের ব্যধানে হারিয়েছেন তিনি। ৩০ বছরে প্রথমবার যুবরাজনগরে হারল সিপিএম (CPIM)। এই কেন্দ্রটিতেও জয় পেয়েছে বিজেপি। বামেরা নেমে গিয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
সুরমা (Surma) কেন্দ্রটিতেও বড় ব্যবধানে জিতেছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় হয়েছেন কংগ্রেস এবং তিপ্রা মথা সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। তবে তিন আসনে জিতলেও বিজেপির (BJP) জন্য অস্বস্তির কাঁটা হয়ে থাকল আগরতলা কেন্দ্রটি। ওই কেন্দ্রে বিজেপির হাত থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছেন কংগ্রেসের সুদীপ রায়বর্মণ।
অন্যদিকে সকালে ভোট গণনা (By Election Results) শুরু হতেই উত্তরপ্রদেশের দুই লোকসভা আসনে পিছিয়ে পড়েছিল বিজেপি। রামপুর এবং আজমগড় – সমাজবাদী পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই দুই কেন্দ্রই। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই দুই কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টিই জিতে এসেছে বহু বছর ধরে। তবে পদ্ম ঝরে এবারের উপনির্বাচনে শেষ পর্যন্ত সেই জয়রথ থমকে গেল। আজম খান এবং অখিলেশ যাদব বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ায় খালি হয়েছিল রামপুর এবং আজমগড় কেন্দ্র দুটি। এর জন্য এই আসনে উপনির্বাচন হয়। এবং পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত দু’টি আসনেই বড় ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল বিজেপি। এখানে অবশ্য বিজেপি ‘সাহায্য’ পেয়েছে বহুজন সমাজ পার্টির। বিএসপি সমাজবাদী পার্টির ভোট ‘কেটেছে’ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর ফলে অনায়াসে কেন্দ্র দুটিতে সহজ জয় পায় গেরুয়া শিবির।
সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব রামপুর বা আজমগড়ে প্রচার পর্যন্ত করেননি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আক্রমণাত্মকভাবে প্রচার চালিয়েছিলেন দুই কেন্দ্রেই। নিজেরই খুড়তুতো ভাই ধর্মেন্দ্র যাদব আজমগড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু তা সত্বেও আত্মবিশ্বাসী অখিলেশ তার পক্ষে আজমগড়ে প্রচারও করেননি।
আরও পড়ুন : ৪৫০টি ছুটি? ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিরাট বদল! বড় সিদ্ধান্তের পথে মোদি সরকার
অন্যদিকে রামপুরের শক্তিশালী বিধায়ক আজম খান দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে ছিলেন, কিন্তু ২০১৯ সালে তিনি জিতে যাওয়া রামপুর লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পরিবারের কোনও সদস্যকে তার জায়গায় রাখেননি। রামপুর থেকে তাঁর পরাজয় হল অনেক বড় ব্যবধানে, গত দুই বছর ধরে রাজনৈতিক দৃশ্যে খানের অনুপস্থিতি, সমর্থনের অভাব এবং প্রচারে অখিলেশের অনুপস্থিতিই সম্ভবত উপনির্বাচনের (By Election Results) ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলেছে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।