#নয়াদিল্লি : নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও'য়ে খরচ করা বেশিরভাগ টাকা গিয়েছে বিজ্ঞাপন ও প্রচারের খাতে। রাজ্যসভায় এক সাংসদের প্রশ্নের জবাবে এমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। কেন্দ্রীয় সরকারের লিখিত জবাব অনুযায়ী বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে মোট খরচের ৫৪ শতাংশ বিজ্ঞাপনের পিছনে গিয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে এই প্রকল্পে মোট খরচে ৫৪% বিজ্ঞাপনে খরচ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্মৃতি ইরানি।
২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২, পর্যন্ত সময়ে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে খরচ করা হয়েছে ৭৪০.১৮ কোটি টাকা। তারমধ্যে বিজ্ঞাপনের খাতে খরচ করা হয়েছে ৪০১.০৪ কোটি টাকা। বেটি বাঁচাও বেটি প়ড়াও প্রকল্পের মাধ্যমে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সচেতনতা প্রচার চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। যদিও বিজেপি সাংসদ হিনা গাভীটের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্টেই বলা হয়েছে, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের বেশিরভাগ অর্থই খরচ করা হয়েছে প্রচার ও বিজ্ঞাপনের খাতে। সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করেছে, যাতে বিজ্ঞাপন ও প্রচার বাদ দিয়ে প্রকল্পের মূল খাতে অর্থ খরচ করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত বাজেট অধিবেশনেও একই পরিসংখ্যান দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: কর্ণাটকে বিজেপির যুবনেতাকে কুপিয়ে খুন, গ্রেফতার ২
গত শীতকালীন অধিবেশনে মহিলাদের স্বশক্তি গঠন সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থই খরচ করা হয়েছে বিজ্ঞাপনের খাতে।লোকসভায় পেশ করা মহিলাদের স্বশক্তিকরণ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ এই তিন বছরে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৪৬ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা। সেই অর্থের ৭৮.৯১ শতাংশ অর্থাৎ ৩৫২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনে।
আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে লিস্ট, পার্থ ঘনিষ্ঠ জেলা নেতাদের ডাকবে ইডি! কাঁপন ধরছে তৃণমূলে
বিজেপি সাংসদ হিনা বিজয়কুমার গাভির নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি রিপোর্টে জানিয়েছে, গত ৬ বছর ধরে এই নিয়ে ব্যাপক প্রচার, রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে এবং জাতীয়স্তরে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এবার শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে প্রকল্পের মূল বিষয়গুলিতে নজর দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। কমিটির বক্তব্য, বিজ্ঞাপনের পিছনে অর্থ ব্যয় করা নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করার সময় এসেছে। বেটি বাঁচাও, বেটি প্রকল্পের ওপর সেভাবে কোনও নজরদারি বা সময়ে সময়ে আপগ্রেড করারও ব্যবস্থা নেই বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সংসদীয় কমিটি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।