#নয়াদিল্লি: এটাই আমাদের দেশ। এমন দেশে হাতিকে দুবৃত্তরা বিস্ফোরক ভর্তি খাবার খাইয়ে মারে। আবার এমন দেশেই হস্তিশাবককে বাঁচাতে জান লড়িয়ে দেন কিছু মানুষ। শেষ পর্যন্ত সকলের মিলিত চেষ্টায় সন্তান ফিরল মায়ের কাছে। আইএফএস অফিসার প্রবীন কাসওয়ান একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। তিনি শেয়ার করেছেন বলেই সাধারণ মানুষ জানতে পারল,বন্যপ্রাণ রক্ষায় বনকর্মীরা কতটা ঝুঁকি নেন। প্রতিটি বন্যপ্রাণ অমূল্য। আর তাদের রক্ষায় জান লড়িয়ে দেন বনকর্মীরা। অনেক সময়ই আমরা শহরে বসে বনকর্মীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলি। কিন্তু কিছু ভিডিয়ো আমাদের চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, সমালোচনা করাটা আসলে সব থেকে সহজ কাজ। আর মাঠে নেমে কিছু করাটা সব থেকে কঠিন। খেলতে গিয়ে জলের ট্যাঙ্কে পড়ে গিয়েছিল হস্তিশাবক। তার পর তাকে নিয়ে যমে-মানুষে টানাটানি। অনেক কষ্টে শেষ পর্যন্ত হস্তিশাবককে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।গোটা গ্রামে জলে আসে সেই রিজার্ভার থেকে। আর সেই রিজার্ভারেই পড়ে গিয়েছিল হস্তিশাবকটি। এর পরই বন দফতরের টেরিটোরিয়াল টিম, ওয়াইল্ডলাইফ স্কোয়াড ও পশু চিকিত্সকদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তার পর শুরু হয় যুদ্ধ। কয়েক ঘণ্টার লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত হস্তিশাবকটিকে উদ্ধার করেন বন দফতরের কর্মীরা। কিন্তু ততক্ষণে হস্তিশাবক ও বন কর্মী, দুপক্ষই হাঁপিয়ে উঠেছিল। হস্তিশাবকটির মা দূর থেকে গোটা ঘটনাটি দেখছিল। শাবকটিকে উদ্ধারের পর মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেন বনকর্মীরা। ইতিমধ্যে বনকর্মীদের হস্তিশাবক উদ্ধারের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দিনের শেষ হস্তিশাবকটি উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়েছেন নেটিজেনরা। সেইসঙ্গে বনকর্মীদের কাজেরও প্রশংসা করেছেন বহু মানুষ। অনেকেই অবশ্য দাবি করেছেন, জঙ্গলের আশেপাশে এই ধরণের জলের রিজার্ভার ঢেকে রাখা উচিত। কারণ প্রায়ই বন্যপ্রাণীরা এই ধরণের ট্যাঙ্কে পড়ে প্রাণ হারায়।
Kiddo fell into reservoir from where water was being supplied to village. Territorial team, wildlife squad II & vet team reached on time. Was rescued & happily united with family. Mother was watching from safe. Our team. pic.twitter.com/NqSnhH94Rs
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) May 23, 2021
সেই আইএফএস অফিসার উদ্ধারকাজের বিবরণও দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, সবার প্রথমে ওয়াচটাওয়ার স্টাফ শাবকটিকে দেখতে পায়। এর পরই কন্ট্রোল রুমে খবর যায়। প্যাট্রলিং পার্টি কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তার পর আসে লোকাল রেঞ্জ স্টাফরা। মোবাইল স্কোয়াডকেও ব্য়াক-আপ হিসাবে ডাকা হয়। শাবকটির জন্য পশুচিকিত্সকদের একটি দলকেও ডাকা হয়। চার ঘণ্টার মধ্যে শাবকটি উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, রিজার্ভারের পাঁচিলের বেশ কিছুটা ভেঙে ফেলতে হয়েছিল বনকর্মীদের। না হলে হয়তো বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা যেত না।
Published by:Suman Majumder
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।