#AyodhyaVerdict: সুপ্রিম রায়ে নিষ্পত্তি হল ৭০ বছরের পুরনো জমি বিবাদের
Last Updated:
যাকে ঘিরে এত কান্ড, সেই জমি বিবাদ ৭০ বছরের পুরনো।
#অযোধ্যা: ২৫ বছরের পুরনো মামলায় চূড়ান্ত আইনি নিষ্পত্তি। গত ৬ মাসে নজিরবিহীন তৎপরতায় শুনানি করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সাত দশকের পুরনো বিতর্কের পাকাপাকি সমাধান৷ অযোধ্যায় বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণ ঘিরে মামলায় ঐতিহাসিক রায়। সেটা ১৯৯৪ সাল। নরসিমা সিং সরকারের আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে রাম জন্ম ভূমি ন্যাস। গত ২৫ বছরের নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট পেরিয়ে মামলা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার রায়দান হল শনিবার৷
যাকে ঘিরে এত কান্ড, সেই জমি বিবাদ ৭০ বছরের পুরনো। বাবরি মসজিদ ছিল ০.৩১৩ একর জমিতে৷ ১৯৪৯-এর ২২শে ডিসেম্বর মধ্যরাতে মসজিদের প্রধান গম্বুজের নিচে রামলালার মূর্তি বসানো হয়৷ দাবি, ওখানেই রামের জন্ম হয়েছিল৷ ১৯৯১-এ কল্যাণ সিং সরকার বিতর্কিত এলাকা ঘিরে মোট ২.৭৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে৷ লক্ষ্য পূণ্যার্থীদের সুবিধাদান ও পর্যটনের উন্নয়ন৷ ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়৷ ১৯৯৩-এ উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের মধ্যেই কেন্দ্রের নরসিমা রাও সরকার ওই ২.৭৭ একর জমিকে ঘিরে মোট ৬৭.৭০৩ একর অধিগ্রহণ করে৷ আশেপাশের এলাকা ছিল মূলত হিন্দুদের৷ ন্যাসের কাছে ছিল ৪২ একর৷ প্রথমে অর্ডিন্যান্স জারি হয়ে পরে সংসদে আইন পাস হয়৷ ১৯৯৪-এ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা৷ সুপ্রিম কোর্টে রায়, বাবরি মসজিদের ০.৩১৩ একর জমির অধিকার দাবি মুসলিমদের৷ মামলায় জিতে মুসলিমদের অধিকার কায়েম করতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য আশেপাশের জমি সরকারের হাতে থাকে৷ ২০০৩-এ ঘেরা জমিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ শিলা পুজোর প্রস্তুতি নিলে মামলা হয়৷ উচ্চ আদালতে রায় ঘেরা জমিতে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে না৷
advertisement
আপাতত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের ঐতিহাসিক রায়ে এই বিতর্কের নিষ্পত্তি হল৷ শর্তসাপেক্ষে ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি পাবেন হিন্দুরা ৷শীর্ষ আদালত রায়ে জানিয়েছে, ওই জমি রামলালারই ৷ একইসঙ্গে কেন্দ্রকে তিন মাসের মধ্যে ওই জমিতে মন্দির তৈরির জন্য ট্রাস্ট গঠনের সময়সীমা বেঁধে দিল আদালত৷ট্রাস্টের নজরদারিতেই তৈরি হবে রামমন্দির ৷ তবে ট্রাস্টে রাখতে হবে নিমোর্হী আখড়ার প্রতিনিধিদের৷
advertisement
Location :
First Published :
November 09, 2019 12:45 PM IST