#চেন্নাই:বয়স তার মেরেকেটে পাঁচ হবে। কিন্তু এর মধ্যেই সে চেষ্টা করল গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম তোলার। নাম উঠবে কি না জানার আগে তার কর্মকাণ্ডের দিকে একবার নজর দেওয়া যাক। বছর পাঁচেকের এই খুদে তিরন্দাজ মাত্র ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে ১১৩টি তির চালিয়েছে। যদি এটা অবাক হওয়ার মতো ঘটনা মনে না হয়, তা হলে শুনে রাখুন যে সে এই তীরগুলো চালিয়েছে উল্টো হয়ে ঝুলে!
চেন্নাইয়ের সঞ্জনা এই প্রয়াস নিয়েছিল স্বাধীনতা দিবসের দিন। তার এই তির ছোঁড়ার কাহিনি আপাতত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরূপে ছিলেন আরচারি অ্যাসোশিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (AAI)সেক্রেটারি জেনেরাল প্রমোদ চন্দুরকর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দিল্লি আরচারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব।
Tamil Nadu: Sanjana, a 5-year-old girl from Chennai sets Human Ultimate World Records Inc, for shooting 111 arrows in 13 minutes & 15 seconds while being suspended in air, on #IndependenceDay.
আরচারি অ্যাসোশিয়েশন অব ইন্ডিয়ার বিচারকদের চেয়ারম্যান ডক্টর জোরিস এই অনুষ্ঠান অনলাইনে দেখেন। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানের জন্য একটি বিচারকদের প্যানেল ধার্য করা হয়েছিল। যার নেতৃত্বে ছিলেন সি এস মানিয়াম (কন্টিনেন্টাল জাজ অব ওয়ার্ল্ড আরচারি)। তিনি এই সমগ্র অনুষ্ঠানটি দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন এবং তিনি এই পুরো অনুষ্ঠানটি রেকর্ডও করেন।
Awesome! the girl should be send to Recurve Bow training for the international sports. If she miss out on that, all of us Bhartiya's will miss out.
সঞ্জনার প্রশিক্ষক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে এমনিতে যে কোনও জাতীয় বা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ তিরন্দাজরা চার মিনিটে ছ’টা তির ছুঁড়তে পারে। অর্থাৎ তাঁরা কুড়ি মিনিটে ত্রিশটি তির ছুঁড়তে সক্ষম। বোঝাই যাচ্ছে যে সঞ্জনার প্রশিক্ষক এই হিসেব কেন দিয়েছেন! কারণ সঞ্জনা এই হিসেব পুরো উল্টে দিয়ে তীরন্দাজিতে অনেক বেশি দক্ষতা এই বয়সেই দেখিয়ে ফেলেছে।
সঞ্জনার প্রশিক্ষক এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী যে সঞ্জনা অচিরেই এই কাণ্ডের জন্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তার নাম তুলে ফেলবে। দেখা গেল সঞ্জনার প্রশিক্ষক ছাড়াও তার বাবা প্রেমও রেকর্ড গড়ার বিষয়ে বেশ উৎসাহী। তিনিও জানান যে দশ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত সঞ্জনা প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসের দিন একটি করে রেকর্ড গড়বে।
প্রেম এটাও জানান যে দশ বছর বয়স থেকেই সঞ্জনাকে অলিম্পিক্সের জন্য প্রস্তুত করতে চান তিনি। যাতে ২০৩২ সালের অলিম্পিক্স থেকে অনেকগুলো সোনার মেডেল এনে তাঁর মেয়ে দেশকে গর্বিত করতে পারে। সঞ্জনার এই কাহিনি ট্যুইটারে (Twitter) যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছে।
সবাই এই মেয়েকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন সঞ্জনাকে আন্তর্জাতিক কোনও সংস্থায় প্রশিক্ষণ নিতে।