Air India Plane Crash: বিস্ফোরক তথ্য সামনে! ১২৬৫ জন যাত্রীর মৃ*ত্যু, ১৩টি দুর্ঘটনায় এই একটাই ভুল করেছে এয়ার ইন্ডিয়া! কী ভুল? শুনে আঁতকে উঠবেন

Last Updated:

Air India Plane Crash: বিমানে আকস্মিক ত্রুটি এবং দ্বিতীয়ত পাইলটের ভুল। এখন এই দুর্ঘটনার আসল কারণ কী, তা বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে। পাঁচ দশকে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনা এবং তাদের কারণ সম্পর্কে জানুন।

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।
আহমেদাবাদ: আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়া নতুন করে প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন বেশিরভাগ মানুষ এই দুর্ঘটনার জন্য কেবল দুটি কারণ বিবেচনা করছেন। প্রথমত, বিমানে আকস্মিক ত্রুটি এবং দ্বিতীয়ত পাইলটের ভুল। এখন এই দুর্ঘটনার আসল কারণ কী, তা বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরোর (AAIB) রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে।
কিন্তু, যদি গত পাঁচ দশকের প্রসঙ্গ খতিয়ে দেখা যায়, তাহলে এমন অনেক অন্ধকার ঘটনা নতুন করে মাথাচাড়া দেবে যা বিভিন্ন সময়ে দেশের বিমান নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এই দুর্ঘটনাগুলি কেবল প্রযুক্তিগত বা মানবিক ত্রুটির কথাই প্রকাশ করেনি, বরং সিস্টেমের ত্রুটি এবং উন্নতির প্রয়োজনীয়তার গুরুতর উল্লেখও করেছে। এই দুর্ঘটনা আবারও সিস্টেমে বিদ্যমান ত্রুটিগুলি সামনে এনেছে।
advertisement
গত পাঁচ দশকে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনা এবং তাদের কারণ সম্পর্কে একে একে এবার জেনে নেওয়া যাক!
advertisement
এয়ার ইন্ডিয়া এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলির বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে যা কেবল শত শত প্রাণ কেড়ে নেয়নি, বরং বিমান নিরাপত্তা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এই দুর্ঘটনাগুলি বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো দ্বারা তদন্ত করা হয়েছিল, যা প্রতিবারই প্রযুক্তিগত ত্রুটি, পাইলটের ত্রুটি এবং ব্যবস্থাপনার ত্রুটিগুলি প্রকাশ করেছিল।
advertisement
১২ জুন, ২০২৫: আহমেদাবাদের ভয়াবহ দুর্ঘটনা
ভারতের বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই দিনটি কালো দিন হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়েছে সন্দেহ নেই। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI-171, যা ছিল একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল। বিমানটিতে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। উড়ানের কয়েক মিনিট পরেই বিমানটি আহমেদাবাদের একটি আবাসিক এলাকার একটি ভবনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা ২৪১ জন এবং মাটিতে থাকা ৩৮ জন নিহত হন। অলৌকিকভাবে কেবল একজন যাত্রী বেঁচে যান।
advertisement
কারণঃ AAIB তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত শুরু করে এবং বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে। আমেরিকা ও ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তথ্যে কারিগরি ত্রুটির সন্দেহ তৈরি হয়েছে, তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনও সামনে আসেনি।
advertisement
৭ অগাস্ট, ২০২০ তারিখে, কোঝিকোড়ের কালিকট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট IX-1344, ভারী বৃষ্টিপাত এবং কম দৃশ্যমানতার মধ্যে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি চার টুকরো হয়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় ১৯ জন যাত্রী এবং উভয় পাইলট প্রাণ হারান, ১৬৫ জন বেঁচে যান।
advertisement
কারণঃ AAIB-এর তদন্তে জানা গিয়েছে যে পাইলট দুবার অবতরণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তৃতীয় প্রচেষ্টায়, তিনি রানওয়েতে দেরিতে অবতরণের চেষ্টা করেন, যার কারণে বিমানটি রানওয়ের বাইরে চলে যায়। কোঝিকোড়ের টেবিলটপ রানওয়ে, যা চারদিকে গভীর খাদে ঘেরা, বরাবরই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। খারাপ আবহাওয়া এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। এই দুর্ঘটনা টেবিলটপ রানওয়ের নিরাপত্তা এবং পাইলটদের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
advertisement
২২ মে, ২০১০: ম্যাঙ্গালোরে পাইলটের ভুল
২২ মে, ২০১০ তারিখে ম্যাঙ্গালোরে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। দুবাই থেকে ম্যাঙ্গালোরে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট IX-812 রানওয়ে থেকে ছিটকে গভীর খাদে পড়ে যায় এবং পুড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় ১৫৮ জন মারা যান এবং মাত্র ৮ জন বেঁচে যান। এই দুর্ঘটনাটি কোঝিকোড়ের টেবিলটপ রানওয়েতেও ঘটেছিল, যেখানে বিমান অবতরণ একটি চ্যালেঞ্জ ছাড়া আর কিছুই নয়।
কারণঃ AAIB-এর তদন্তে জানা গিয়েছে যে ক্যাপ্টেন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সহ-পাইলট তিনবার সতর্ক করেছিলেন যে অবতরণের পরিস্থিতি ঠিক নয় এবং বিমানটিকে আবার উপরে তোলা উচিত, কিন্তু ক্যাপ্টেন তাঁর কথা শোনেননি। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে ক্যাপ্টেন ক্লান্ত ছিলেন, যা তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছিল। এই দুর্ঘটনা পাইলটের ক্লান্তি এবং টেবিলটপ রানওয়ের বিপজ্জনক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।
১৭ জুলাই, ২০০০ তারিখে, অ্যালায়েন্স এয়ারের ফ্লাইট ৭৪১২ পটনায় এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৩৭-২এ৮। অবতরণের সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং বিমানটি থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে, বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় ধাক্কা খায়। এই দুর্ঘটনায় বিমানের ৫৫ জন যাত্রী এবং মাটিতে থাকা ৫ জন প্রাণ হারান।
কারণঃ AAIB আবিষ্কার করেছে যে পাইলট অবতরণের সময় ভুল পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলেন, যার ফলে বিমানটি থেমে গিয়েছিল। দুর্ঘটনাটি বিমানবন্দরের আশেপাশে সুরক্ষা বিধিমালার অভাবকে তুলে ধরে। আবাসিক এলাকার কাছাকাছি বিমানবন্দরের অবস্থান এবং পাইলট প্রশিক্ষণের অভাব দুর্ঘটনাটিকে আরও গুরুতর করে তুলেছিল।
২৬ এপ্রিল, ১৯৯৩: ঔরঙ্গাবাদে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ
১৯৯৩ সালের ২৬ এপ্রিল ঔরঙ্গাবাদে একটি অদ্ভুত দুর্ঘটনা ঘটে। ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৪৯১, যা ছিল একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান, উড়ানের সময় রানওয়ের শেষে একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই দুর্ঘটনায় ৫৫ জন নিহত হন।
কারণঃ AAIB-এর তদন্তে দেখা গিয়েছে যে পাইলটের ত্রুটি এবং বিমানবন্দরের আশেপাশে সড়ক যানজট নিয়ন্ত্রণে অবহেলা এই দুর্ঘটনার কারণ। রানওয়ের এত কাছে ট্রাকটির উপস্থিতি নিরাপত্তা নিয়মের একটি বড় ত্রুটি ছিল। এই দুর্ঘটনা বিমানবন্দরের আশেপাশে আরও কঠোর ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা এবং সুরক্ষা প্রোটোকলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
১৬ অগাস্ট, ১৯৯১: ইম্ফলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
১৯৯১ সালের ১৬ অগাস্ট, ইম্ফলে অবতরণের সময় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ২৫৭ বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় ৬৯ জন যাত্রীর সবাই মারা যান।
কারণঃ AAIB আবিষ্কার করেছে যে পাইলট উচ্চতা ভুল গণনা করেছিলেন এবং কম দৃশ্যমানতার কারণে বিমানটি মাটিতে ধাক্কা খেয়েছিল। দুর্ঘটনাটি পাইলটের ভুলের একটি স্পষ্ট উদাহরণ।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০: বেঙ্গালুরুতে বিমান দুর্ঘটনা
১৯৯০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৬০৫, একটি এয়ারবাস এ৩২০, বেঙ্গালুরুতে এইচএএল বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় ১৪৬ জনের মধ্যে ৯২ জন মারা যান।
কারণঃ AAIB-এর তদন্তে জানা গিয়েছে যে পাইলট সময়ের আগেই অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন, যার কারণে বিমানটি রানওয়ের আগেই মাটিতে আঘাত হানে। এই দুর্ঘটনার একটি কারণ ছিল পাইলটদের নতুন Airbus A320-এর ককপিট ডিজাইনের সঙ্গে পরিচিতির অভাব।
১৯ অক্টোবর, ১৯৮৮: আহমেদাবাদে অবতরণের সময় ভুল
১৯ অক্টোবর, ১৯৮৮ তারিখে, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১১৩, একটি বোয়িং ৭৩৭-২০০, আহমেদাবাদে অবতরণের সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই দুর্ঘটনায় ১৩৫ জনের মধ্যে ১৩৩ জন মারা যান।
কারণঃ AAIB দেখেছে যে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দুর্বল দৃশ্যমানতা এবং পাইলটের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে। বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং সঠিক আবহাওয়ার তথ্যের অভাবও এর নেপথ্য কারণ হিসেবে কাজ করেছে।
২১ জুন, ১৯৮২: মুম্বইতে বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
১৯৮২ সালের ২১ জুন, মুম্বইয়ের সাহার বিমানবন্দরে ভারী বৃষ্টিপাতের সময় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ৪০৩ অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় ১১১ জনের মধ্যে ১৭ জন মারা যান এবং ৯৪ জন বেঁচে যান।
কারণঃ AAIB আবিষ্কার করেছে যে খারাপ আবহাওয়া এবং কম দৃশ্যমানতার কারণে পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
১ জানুয়ারি ১৯৭৮: মুম্বইয়ে সমুদ্রে বিমান বিধ্বস্ত
১ জানুয়ারি ১৯৭৮ তারিখে, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ৮৫৫, একটি বোয়িং ৭৪৭, মুম্বই থেকে উড়ানের কিছুক্ষণ পরেই বান্দ্রার উপকূলে আরব সাগরে গিয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ২১৩ জন নিহত হন।
কারণঃ AAIB-এর তদন্তে দেখা গিয়েছে যে ককপিটে একটি যন্ত্রের ত্রুটির কারণে ক্যাপ্টেন দিশেহারা হয়ে পড়েন, যার ফলে বিমানটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
১২ অক্টোবর, ১৯৭৬: বম্বেতে ইঞ্জিনে আগুন
১৯৭৬ সালের ১২ অক্টোবর, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৭১ বম্বেতে জরুরি অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। উড়ানের সময় ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়, এতে ৯৫ জন আরোহীর সকলেই মারা যান।
কারণঃ AAIB আবিষ্কার করেছে যে ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে জ্বালানি লাইন কেটে যায় এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
৩১ মে, ১৯৭৩: দিল্লিতে বিদ্যুৎ লাইনের সঙ্গে সংঘর্ষ
৩১ মে, ১৯৭৩ তারিখে, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৪৪০ দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিদ্যুৎ লাইনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই দুর্ঘটনায় ৬৫ ​​জনের মধ্যে ৪৮ জন মারা যান।
কারণঃ AAIB আবিষ্কার করেছে যে খারাপ আবহাওয়ায় পাইলটের ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১: মেঘামালাইয়ের জঙ্গলে দুর্ঘটনা
৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি অ্যাভ্রো এইচএস-৭৪৮ বিমান মেঘামালাইয়ের জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়। চেন্নাই থেকে ত্রিবান্দ্রমগামী ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে ৩১ জন নিহত হন।
কারণঃ AAIB আবিষ্কার করেছে যে খারাপ আবহাওয়ায় পাইলট ভুল নেভিগেশন করেছিলেন, যার কারণে বিমানটি পাহাড়ে ধাক্কা খায়।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Air India Plane Crash: বিস্ফোরক তথ্য সামনে! ১২৬৫ জন যাত্রীর মৃ*ত্যু, ১৩টি দুর্ঘটনায় এই একটাই ভুল করেছে এয়ার ইন্ডিয়া! কী ভুল? শুনে আঁতকে উঠবেন
Next Article
advertisement
Taliban Threatens America Pakistan: বাগরাম দখলের চেষ্টা করলেই যুদ্ধ শুরু, আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানকেও হুঁশিয়ারি তালিবানদের!
বাগরাম দখলের চেষ্টা করলেই যুদ্ধ শুরু, আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানকেও হুঁশিয়ারি তালিবানদের!
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি ফের বাগরাম বিমান ঘাঁটি দখলের চেষ্টা করে, তাহলে নতুন করে যুদ্ধ শুরুর হুঁশিয়ারি দিয়ে দিল আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকা তালিবানদের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ শুধু আমেরিকা নয়, প্রতিবেশী পাকিস্তানকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তালিবানরা৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement