#নদিয়া: সামাজিক বনসৃজন এর উৎসব আয়োজন করা হল নদীয়ার কৃষ্ণনগর সংলগ্ন এলাকায়। ঘরবাড়ি ইমারত রাস্তাঘাট বানানোর জন্য নিত্যদিন একাধিক বৃক্ষ ছেদন করা হচ্ছে। যার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে জীব বৈচিত্রের উপর। সেই কারণে একাধিক জায়গায় আয়োজন করা হয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। তবে সমস্যার সমাধান এতেও খুব একটা যে মেলে তা নয়। তার কারণ যে সমস্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় চারাগাছ লাগানোর পরে তা পরিচর্যা করা হয় না সঠিকভাবে। সেই কারণে বেশিরভাগ চারা গাছই নষ্ট হয়ে যায়। সেই কারণেই কোভিড ১৯ ত্রাণ সমন্বয়ে মঞ্চের অন্তর্গত কৃষ্ণনগর ও সন্নিহিত এলাকার অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সেভ জলঙ্গির উদ্যোগে একটি সুবিশাল সামাজিক বনসৃজন উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এই উৎসবের মাধ্যমে গাছ লাগানোর পরে জোর দেওয়া হবে সারা বছর সেই গাছগুলি প্রতিপালন ও বড় করার দিকে। জানা যায় কৃষ্ণনগর মাজদিয়ার রাজ্য সড়কের সম্প্রসারণের কারণে রাস্তার দু'ধারের অসংখ্য গাছ কাটা পড়েছে। সেই কারণেই কৃষ্ণগঞ্জ মাজদিয়া রাজ্য সড়কে রাস্তার দুই ধারে নেওয়া হল এই কর্মসূচি। গাছ লাগানোর পাশাপাশি এবারের পরিকল্পনা গাছের বৈচিত্র নিয়েও।
আরও পড়ুনঃ স্কুল শিক্ষিকার তৎপরতায় ধরা পড়ল চাল চোর!জানা যায় অন্তত কুড়ি থেকে ২৫ রকমের গাছের সমন্বয় এক বিরাট বৃক্ষ-বৈচিত্র গড়ে তোলা হবে, যার মধ্যে আম, জাম, কাঁঠালের মতো ফলের গাছের পাশাপাশি, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, শিমুল, পলাশ, বকুলের মত ফুলের গাছ এমনকি শিরিষ, চটকা ইত্যাদি রেন- ট্রি র সহাবস্থান থাকবে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সেভ জলঙ্গি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তারা ছাড়াও এলাকার বিশিষ্ট চিকিৎসক ড: যতন রায় চৌধুরী।
আরও পড়ুনঃ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ছেলের কাছে টাকা চাইতে গেলে মারধরের অভিযোগ তুললেন বাবাতিনি নিজের হাতে রাস্তার দুপাশে গাছ লাগান এবং তার পরিচর্যার দায়িত্বও নেন। এর আগেও সমাজের একাধিক দৃষ্টান্তমূলক কাজে উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে তাকে। আশা করা যায় এমন মহান কর্মসূচির ফলে উপকৃত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
Mainak Debnathনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Krishnanagar, Nadia