শান্তিপুর: কলেজের গণ্ডি পেরোননি, তবুও ৯০ বছরেও দিনের এক তৃতীয়াংশ সময় ব্যয় করেন বই পড়ে। অন্যান্য কাজকর্মে সহযোগিতা নিলেও বই পড়ার ভাগ ভাগ দেন না কাউকে। বর্তমান ডিজিটাল পড়াশোনা বাড়লেও হাতে নিয়ে বই পড়া তলানিতে ঠেকেছে। কিন্তু গল্প বা অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ক বই ডিজিটালে পড়াশোনা মানে শুধু সারাংশ, তাই বিস্তারিত জানার থেকে বিরত থেকে যাচ্ছেন পাঠকরা এমনই অভিমত বিভিন্ন লাইব্রেরিয়ানদের।
তবে এক প্রবীণ পাঠকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে নদিয়ার শান্তিপুর শহরের আশানন্দ পাড়ায়। যেখানে পূর্ণা মঠ নামের এই বৃদ্ধা যিনি ৯০ বছর বয়সেও দিনের এক-তৃতীয়াংশ সময় বই পড়েই কাটান। বয়সজনিত কারণে অন্যান্য কাজকর্মে পরিবারের সাহায্য নিলেও, বই পড়ে শোনানোর জন্য ডাকেন না কাউকে। তিনি বলেন, 'দিদিমা ঘরকন্যার কাজ ছাড়াও ছবি আঁকা সেলাই, রান্না সবেতেই ছিলেন পারদর্শী, তার মধ্য দিয়েও তিনি নিয়মিত পত্র পত্রিকা এবং বিভিন্ন লেখক লেখিকার নানান ধরনের গল্প উপন্যাস সহ ভ্রমণ কাহিনী পড়তেন'। ছোটবেলা থেকে এই দেখেই আগ্রহ জন্মায় তাঁর মধ্যেও।
আরও পড়ুন: অয়ন শীলের থেকে এবার যা খোঁজ পেল ইডি, মাথায় হাত সকলের! নতুন তলবে ঘুরে যাবে সবকিছু?
বর্তমান ৯০ পেরিয়ে চোখের জ্যোতি কিছুটা কমলেও, রাতে পর্যাপ্ত আলো দিয়ে এখনও বই পড়েন তিনি। এদিন পড়ছিলেন বাগবাজারের কাহিনী। জানালেন ইতিহাস সম্বন্ধীয় বিষয়ে তাঁর বিশেষ আগ্রহ। রাজনীতি এবং অন্যান্য খবর টিভিতে কিছুটা দেখলেও পড়ে জানতেই বেশি ভাল লাগে। স্বামী বেঁচে থাকাকালীন, বিভিন্ন ধরনের পত্র-পত্রিকা এমনকী বিদেশি বই পর্যন্ত বাড়িতে আসত। তাঁর তৈরি লাইব্রেরি এবং পরিবারের অপর এক সদস্যের তৈরি আরেকটি লাইব্রেরির বেশিরভাগ বই তিনি পড়েছেন।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক হলে ছোট্ট এই উপায় অবলম্বনেই বাঁচবে প্রাণ! জানুন বিশেষজ্ঞের টিপস
স্বামীর মৃত্যুর পর দুটি লাইব্রেরি সামলানো পুত্র সুশান্ত মঠের এনে দেওয়া বিভিন্ন বই তিনি পড়েন এখন। মা পূর্ণা দেবী বর্তমানে ডিজিটাল পড়াশোনাকে স্বাভাবিক ভাবে, কালের নিয়ম বলে মেনে নিলেও পুত্র সুশান্ত বাবু,পুরনো বইয়ের গন্ধের এক উপলব্ধি এবং নতুন বই প্রথম উন্মোচিত করার গন্ধের স্বাদ উপভোগ করেন চেটেপুটে।
মৈনাক দেবনাথ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Books, Nadia news