শান্তিপুর: খাঁচার ভিতর নয়, মুক্ত আকাশেও নয়, প্রামাণিক পরিবারের সকলের সঙ্গে ছোট থেকেই মানুষ হয়ে উঠল আদরের পোষ্য টিয়াপাখি মিতুয়া। দেখতে দেখতে ১৪ বছর হয়ে গেল। ধীরে ধীরে পরিবারের সকলের সঙ্গে মিশে ওঠে মিতুয়া। মা-বাবাকে হারিয়ে ঝড় বৃষ্টির রাতে বাসা হারিয়ে প্রামাণিক পরিবারের হাতে এসে পড়ে মিতুয়া। মানুষের মতো কথা বলতে না পারলেও মিতুয়ার ভাষা, আকার, ইঙ্গিত বুঝতে পারেন পরিবারের সকলে।
শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার বাসিন্দা সত্যরঞ্জনের পরিবারে দুই ছেলে ও স্ত্রী এবং মিতুয়া। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ থেকে ১৪ বছর আগে হবিবপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সত্যরঞ্জন বাবু। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। হঠাৎই শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি। রাস্তার পাশে গাছের তলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। হঠাৎই গাছ থেকে পড়ে যায় এই টিয়া পাখির বাচ্চাটি। তখনও ওড়ার মতো শরীরে পালক ওঠেনি বাচ্চাটির। ঝড় জল রাতে কোথায় রাখবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না সত্যবাবু।
আরও পড়ুন: কুকুরকে ধর্ষণ প্রৌঢ়র! দিনের পর দিন সারমেয় হেনস্থার ঘটনা, পদক্ষেপ যুবক দলের
আরও পড়ুন: বহরমপুর হোম থেকে হঠাৎই ১১ ছাত্র নিখোঁজ, স্কুলে পড়াশোনা করতে গিয়ে এ কী কাণ্ড!
এভাবেই নিয়ে চলে আসেন বাড়িতে। তাকে নিজের ছেলেদের মতো স্নেহ মমতা দিয়ে বড় করে তোলেন। ভালোবেসে পরিবারের সকলে মিলে নাম রাখেন 'মিতুয়া'।
মিতুয়া ধীরে ধীরে বড় হল। মুক্ত আকাশে উড়ে যাওয়ার মতো পালক গজালো। কিন্তু পরিবারের ভালবাসা ছেড়ে আজও যেন মুক্ত আকাশে যেতে চাইছে না মিতুয়া। পরিবারের সকলের সঙ্গে খেলাধুলা কখনও সাইকেলে চেপে ঘুরতে যাওয়া। বিকেল হলেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে আড্ডা মারা। তাই আজ মিতুয়াও প্রামাণিক পরিবারের একজন।
Mainak Debnath
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Nadia news, Parrot