Jagadhatri Puja 2022: সন্ধে থেকেই কাতারে কাতারে লোক কৃষ্ণনগরের বুড়িমাকে দেখার জন্য

Last Updated:

সন্ধ্যে থেকেই অগণিত মানুষের ভিড় কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় বুড়িমার পুজো মণ্ডপের সামনে

+
কৃষ্ণনগর

কৃষ্ণনগর চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমার মন্দিরের প্রবেশপথ

#নদিয়া: কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ঐতিহ্য ও আবেগের একটি নাম চাষাপাড়া 'বুড়িমা'। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজোর প্রচলনের পর থেকেই চাষাপাড়া বারোয়ারি অর্থাৎ বুড়িমার পুজোর প্রচলন হয়ে আসছে। কথিত আছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কোনও এক সময় এই পুজোর খরচ ও ব্যয়ভার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। কীভাবে বহন করবেন এত খরচ? মা জগদ্ধাত্রী দেবী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে স্বপ্নাদেশ দেন। চাষাপাড়ার যে সমস্ত লেঠেলরা আছেন তারাই দেবীর জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করবেন। রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই এখানকার পুজো শুরু হয়েছিল বলে দাবি উদ্যোক্তাদের তবে বুড়িমা নামটা সত্তর পঁচাত্তর বছর আগে দেওয়া হয়েছিল বলে প্রবীণদের অভিমত।
আরও পড়ুন Hooghly News: ব্রিটিশ আমলের তৈরি কুন্তীঘাটের ঝুলন্ত ব্রিজ বর্তমানে বেহাল অবস্থায়, আশঙ্কায় স্থানীয়রা
জাগ্রত দেবী বুড়িমার ভিড় সামলাতে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুজোর দিন দান স্বরূপ নগদ অর্থ শাড়ি এবং স্বর্ণ অলংকার নিয়ে মানুষ মনের কামনা বাসনা পূরণ করতে আসে। অনেকের মনস্কামনা পূর্ণ হয় বলেই এখনও পর্যন্ত জাগ্রত দেবীকে সকলে মেনে চলে। কৃষ্ণনগরে বুড়িমাকে নিয়ে রয়েছে অনেক অলৌকিক কাহিনি। দেবীর আগমন থেকে বিসর্জন সবেতেই রয়েছে এক অনন্য সৃষ্টি। দেবী বিসর্জন কৃষ্ণনগরের সমস্ত প্রতিমা আগে বিসর্জন হবে সবার শেষে বুড়িমা। বুড়িমা যতক্ষণ না পর্যন্ত বিসর্জন হয় রাস্তার দুই ধারে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে ভক্তকুল। কড়া পুলিশ প্রহরায় নিরাপত্তারক্ষীরা দেবী জগদ্ধাত্রীকে নিয়ে যান জলঙ্গীর ঘাটে।
advertisement
আরও পড়ুন তিন মারণ রোগকে জয় বৃদ্ধের! কামাল এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের
পুজোর আগের দিন সন্ধ্যেবেলাতেই দর্শনার্থীদের ঢল চোখে পড়ার মতো। বুড়িমার গেটের বাইরে থেকেই অগণিত মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই। এবছর প্রায় থেকে সাত থেকে আট কেজি সোনার অলংকার প্রতিমাকে পড়ানো হয়েছে বলে জানা যায় পুজো কমিটির পক্ষ থেকে। এছাড়াও ভক্তদের বেশ কিছু মানসিক অলংকার ও পড়ানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। বুধবার নবমীর পুজো দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীরা একে একে লাইন দিয়ে কুপন কেটে পুজো দেওয়ার টোকেন সংগ্রহ করছেন।
advertisement
advertisement
পুলিশ প্রশাসনও অতি তৎপরতার সাথে ভিড় সামাল দিচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণনগরের রাজপথে গাড়ি, টোটো ইত্যাদির প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বলা যেতে পারে দীর্ঘ দুই বছর পর আবারও পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্য।
Mainak Debnath
বাংলা খবর/ খবর/নদিয়া/
Jagadhatri Puja 2022: সন্ধে থেকেই কাতারে কাতারে লোক কৃষ্ণনগরের বুড়িমাকে দেখার জন্য
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement