#মুর্শিদাবাদ: গঙ্গা পদ্মার ভাঙন মুর্শিদাবাদ ও মালদার এক জ্বলন্ত সমস্যা। গঙ্গায় জল না বাড়লেও ভাঙন অব্যাহত থাকে প্রায় সারাবছর। জল বাড়লেও ভাঙন শুরু হয় তেমনি জল কমলেও ভাঙন শুরু হয়। গণতান্ত্রিক দেশে ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু এই ভাঙনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় না কোন দিনও। গত বছর ভাঙনের জেরে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের কুলিদিয়ার চর এলাকায় গঙ্গার ধারের বেশ কিছু গাছ সহ জমি তলিয়ে গেছে নদীগর্ভে। এ মূহুর্তে ওই এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের ভিটে মাটি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন। টানা ভাঙনের ফলে ফসলের জমি ও আমবাগান তলিয়ে গেছে গঙ্গার গর্ভে। গোটা এলাকা জুড়ে রয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ।
মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ, ফরাক্কা, সুতি, সামশেরগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকা ভাঙন কবলিত এলাকা বলে পরিচিত। প্রতিবছর বর্ষার সময় ভাঙনের কবলে পড়তে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের। তবুও টনক নেন প্রশাসনের। ভাঙন ঠেকাতে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না বলে অভিযোগ। বর্ষার পর নদীর জলস্তর কমতেই এই ভাঙন আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। ভাঙনের করাল গ্রাসে চোখের সামনে নিমেষের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় সাজানো গোছানো সংসার। বছরের পর বছর একই ঘটনার পুণরাবৃত্তি। ভাঙন বিধ্বস্তদের প্রশ্ন, এ ভাবে আর কতদিন?
আবারও আসছে বর্ষা। ফের ভাঙনের আশঙ্কা সামশেরগঞ্জের চাচন্ড গ্ৰামের বাসিন্দাদের। যদিও গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। নদী পারে বালির বস্তা দিয়ে ও সমায়িক বাঁধ দিয়ে ও কাজ চলছে। কিন্তু স্থানীয় মানুষজন এই কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত কাজ শেষ হোক। নাহলে আবারও ভাঙনের কবলে পড়বে চাচন্ড সহ একাধিক গ্ৰাম। ভিটে মাটি হারিয়ে আবার খোলা আকাশের নিচেই ঠাঁই নিতে হবে গ্ৰামবাসীদের।
ভাঙন প্রতিরোধে বর্ষার আগে দ্রুত কাজ শেষ হয় কিনা সেই দিকে তাকিয়ে চাচন্ড সহ ভাঙন কবলিত গ্ৰামের বাসিন্দারা। প্রশাসন সূত্রে খবর, গঙ্গা পদ্মা ভাঙ্গন রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক প্রকল্পে প্রায় ২৬ কোটি টাকার স্কিম করা হয়েছে যার কাজও চলছে। কিন্তু সেই কাজে সন্তুষ্ট নয় ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, বর্ষার আগে দ্রুত কাজ শেষ হোক। নাহলে আবার ও চোখের সামনে তলিয়ে যাবে সব কিছু।
কৌশিক অধিকারী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murshidabad