কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের চাচন্ড বাসুদেবপুর গ্রামের একই পরিবারের তিন জন প্রতিবন্ধী। বিড়িশ্রমিক এবাদুল মোমিনের ছয় ছেলে ও তিনজন কন্যা। ছয় ছেলে ও তিনজন মেয়েদের মধ্যে তিনজন শারীরিক দিক থেকে বিশেষ ভাবে সক্ষম বর্তমানে। মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমায় মূলত বিড়ি বেঁধে চলে সংসার যাপন অধিকাংশ শ্রমিক পরিবারের।
দিন আনা দিন খাওয়া অসহায় এবাদুল মোমিনের পরিবার সাহায্যের আর্জি করলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে কোনও রকম সহযোগিতা পাননি বলেই অভিযোগ। যদিও সরকারি ভাবে ভাতা পেলেও ওই টাকায় সঠিকভাবে দুবেলা-দুমুঠো খাবার জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন পরিবারের কর্তা এবাদুল মোমিন।
আরও পড়ুন : শিক্ষকের অভাব! মালদহে সরকারি স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন মিড ডে মিলের রাঁধুনি
সম্প্রতি তাঁর এক নাতনিও হয়েছে। তবে তাঁরা কীভাবে সংসার চালাবেন, সেই চিন্তায় রয়েছেন পরিবারের কর্তা এবাদুল মোমিন। অন্যদিকে, এবাদুল মোমিন সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। এলাকার যে সমস্ত সমাজসেবী মানুষ আছেন, তাঁদের দিকেও তাকিয়ে আছেন। কিছু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তার অনুরোধ করেন ।
আরও পড়ুন : সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর অবসরকালীন ভাতায় নিজের গ্রামে বৃদ্ধাশ্রম চালান ৯৪ বছর বয়সি বৃদ্ধ
এবাদুল মোমিন জানান, ছোট থেকেই তিনজনে শারীরিক দিক থেকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন । তাঁর কথায়, " আমি বিড়ি বেঁধে যা টাকা অর্থ রোজগার করি, তাতেই চলে সংসার। তবে প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও তা বেশি কাজে দেয় না। যদিও সাধারণ মানুষ থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে সাহায্যের আর্জি করেছেন তিনি।’’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murshidabad, Poverty