Murshidabad History: বাংলার এই বিখ্যাত ঘড়ির কথা জানে? অবাক হবেন জানলে, কেমন আছে সেই ঘড়ি?  

Last Updated:

Murshidabad History: জানা যায়, ১৮২৯ সালে নাজিম হুমায়ুন জার আমলে তৈরী করা হয়েছিল। ঘড়ির ভেতরের সমস্ত কিছু সোনার ছিল।

+
মুর্শিদাবাদের

মুর্শিদাবাদের সেই ঘড়ি

মুর্শিদাবাদঃ বাংলা , বিহার ও ওড়িস্যার নবাব নাজিম হুমায়ূন জাঁ এর রাজত্বকালে এই স্তম্ভ ঘড়ি নির্মিত হয়। এটিকে ঘন্টা ঘড়িও বলা চলে কারণ এই ঘড়ির প্রচণ্ড আওয়াজ অনেক দূর থেকে শোনা যেত । তাই এই ঘড়িটিকে মুর্শিদাবাদের বিগ্ বেন্ ও মনে করা হত। এই স্তম্ভ ঘড়িটির নকশা প্রস্তুত করেন জনৈক সাগর মিস্ত্রি , ইনি হলেন বিখ্যাত হাজারদুয়ারি প্রাসাদের স্থপতিকার এর দেশীয় সাহায্যকারী। কিন্তু আজ আর কালের নিয়মে চলে না সেই ঘড়ি।
জানা যায়, ১৮২৯ সালে নাজিম হুমায়ুন জার আমলে তৈরী করা হয়েছিল। ঘড়ির ভেতরের সমস্ত কিছু সোনার ছিল। ব্রিটিশরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময়ে সোনার পাত খুলে নিয়ে যায় বলে কথিত আছে। আজকে হাতঘড়ি ব্যবহার করলেও আগে ছিল পকেট চেন ঘড়ি। সাধারন মানুষের কথা মাথায় রেখে এই ঘড়ি তৈরী করা হয়েছিল। স্তম্ভের চারিদিকে চারটে ঘড়ি লাগানো ছিল। আগে দুইবার করে ঘড়ির দম দেওয়া হলেও আজ সব কিছুই অতিত। আছে শুধু ঘড়ির স্তম্ভ, চলে না ঘড়ি। তবুও ইতিহাসের স্বাক্ষী করে বহন করে চলেছে নবাবী আমলের ঘড়ি ঘর।
advertisement
advertisement
ঐতিহাসিকদের মতে জানা যায়, বাংলার নবাবদের শহর মুর্শিদাবাদেও রয়েছে এক বিখ্যাত ঘড়ি মিনার। এটি পরিচিত ‘ঘড়িঘর’ বা ‘ঘড়ি মহল’ নামে। স্থানীয় মানুষ এই মিনারকে ‘মুর্শিদাবাদের বিগ বেন’ নামেও ডেকে থাকেন। ঘড়িঘর যেখানে অবস্থিত, সেই পুরো চত্বরকে বলা হয় নিজামত কিলা বা কিলা নিজামত। সেখানেই রয়েছে হাজারদুয়ারি, ইমামবাড়া, মদিনা মসজিদ, চক মসজিদের মতো নানা স্থাপত্য।
advertisement
ভাগীরথী নদীর পূর্ব পাড়ে হাজারদুয়ারি প্রাসাদ এবং নিজামত ইমামবাড়ার মাঝখানে প্রাঙ্গণে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঘড়ি ঘর। খুব কাছেই পুরোনো মদিনা মসজিদ এবং বাচ্চাওয়ালি তোপ। সগুর মিস্ত্রির নকশাতে এই সুন্দর ঘড়ি মহল গড়ে উঠেছে। ঐতিহাসিক হাজারদুয়ারি প্রাসাদের রূপকার ছিলেন ডানকান ম্যাকলিওড। তাঁরই বাঙালি সহকারী সগুর মিস্ত্রি। মনে করা হয়, ভাগীরথী নদী দিয়ে যাতায়াত করা নৌকো এবং অন্যান্য জলযানের যাত্রী ও চালকের সুবিধার্থেই এই মিনার তৈরি করা হয়েছিল। সম্ভবত ওই কারণেই ঘড়ির মুখ নদীর দিকে। ভাগীরথীর অন্য পাড় থেকেও দেখা যায় ঘড়ি। মিনারের শীর্ষে রয়েছে এক গম্ভীর শব্দের ঘণ্টা। বহু দূর থেকে ঘণ্টার আওয়াজ শোনা যায়। তবে আজ আর কালের নিয়মে সব কিছুই অতিত। শুধু দাড়িয়ে আছে স্তম্ভ। তবে চলে না ঘড়ি সোনাও যায় না ঘন্টার আওয়াজ।
advertisement
কৌশিক অধিকারী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/মুর্শিদাবাদ/
Murshidabad History: বাংলার এই বিখ্যাত ঘড়ির কথা জানে? অবাক হবেন জানলে, কেমন আছে সেই ঘড়ি?  
Next Article
advertisement
SIR Update: কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও, কীভাবে জানবেন ভোটার? বাড়িতে না থাকলে কি SIR-এ নাম কাটা যাবে? জবাব দিল কমিশ
কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও, কীভাবে জানবেন ভোটার? বাড়িতে না থাকলে কি নাম কাটা যাবে? জেনে নিন
  • এসআইআর নিয়ে আশ্বস্ত করল নির্বাচন কমিশন৷

  • কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও?

  • নাম কাটা যাওয়ার ভয় দূর করলেন রাজ্যের সিইও৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement