Malda: হারিয়ে যাচ্ছে মালদহের প্রথম নীলকুঠি! সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবি
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
নেই কোন রকম রক্ষণাবেক্ষণ। জীর্ণ দশায় পড়ে রয়েছে মালদহের গুয়ামালতী বা ঝাঁঝরা নীলকুঠি। ইংরেজ শাসনের এটি একটি অন্যতম নিদর্শন।
#মালদহ : নেই কোন রকম রক্ষণাবেক্ষণ। জীর্ণ দশায় পড়ে রয়েছে মালদহের গুয়ামালতী বা ঝাঁঝরা নীলকুঠি। ইংরেজ শাসনের এটি একটি অন্যতম নিদর্শন। দিনের পর দিন সংরক্ষণ ও দেখভালের অভাবে ভেঙে পড়েছেন নীলকুঠিটির ভবন। আগাছায় ভরে রয়েছে চারিদিক। মালদহের ইংরেজবাজার থানার কাটাগড় এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে বর্তমান অবস্থান। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নাই এটি একটি মালদহের প্রাচীন নিদর্শন। দিনের পর দিন অযত্নে থেকে ভেঙে পড়েছে নীলকুঠির চারিদিকের দেওয়াল। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে জেলার ইতিহাস প্রেমীরা চাইছেন এই নীলকুঠির সংরক্ষণ। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। মালদহ জেলার ঐতিহাসিকবিদ্যার মতে ইংরেজদের তৈরি মালদহের প্রথম নীলকুঠি এটি। মালদহে ইংরেজরা মোট তিনটি নীলকুঠি তৈরি করেছিল। প্রথমটি গুয়ামালতী বা ঝাঁঝরা নীলকুঠি, দ্বিতীয়টি মথুরাপুর নীলকুঠি ও তৃতীয়টি মদনাবতী নীলকুঠি ঝাঁঝরা নীলকুঠি শুধু নীল চাষের কেন্দ্র করেই নয় ব্রিটিশ শাসকরা এই কুঠি থেকে রেশন চাষ নিয়ন্ত্রণ করতেন।
advertisement
এই নীলকুঠি র দায়িত্বে ছিলেন হেনরি সাহেব। মালদহের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ গোপাল লাহা, বলেন নীল ও রেশমের বিপণন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য গুয়ামালতী নীলকুঠি সহ পুরাতন কালেক্টরেট বিল্ডিং এর কমার্শিয়াল রেসিডেন্ট কমপ্লেক্স তৈরি হয় ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে। এই নীলকুঠি থেকেই বাকি দুইটি নীলকুঠি পরিচালনা করা হতো।
advertisement
গুয়ামালতী কনসার্নের প্রধান কুঠির নাম ছিল ঝাঁঝরা কুঠি। এই কুটির সংরক্ষণ ও সংস্কার অন্তত জরুরী। ইংরেজ শাসনের সময় কালের নানান ইতিহাসের সাক্ষী রয়েছে মালদহের এই ঝাঁঝরা নীলকুঠি। তবে সময়ের সাথে সঠিক সংস্কার ও দেখ-ভালের অভাবে আজ হারিয়ে যাচ্ছে আরও একটি জ্বলন্ত ইতিহাস।
advertisement
গৌড়ের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এই নীলকুঠি। জেলার একাধিক ইতিহাসবিদ থেকে সাধারণ মানুষ বারবার দাবি তুলেছেন এই ঝাঁঝরা কুটির সংস্কারের। তবে এগিয়ে আসেনি প্রশাসন। ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আরও একটি ইতিহাস।
advertisement
Harashit Singha
Location :
First Published :
August 06, 2022 7:54 PM IST