Malda News- পা কেটে বাদ গেছে স্বর্ণশিল্পীর! কঠিন সময় পাশে দাঁড়ালেন অন্যান্য স্বর্ণশিল্পী ও ব্যবসায়ী সমিতি
- Published by:Samarpita Banerjee
Last Updated:
পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন স্বর্ণশিল্পী তাপস পাল। অসুস্থতার কারণে পা বাদ যায়। বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী ও কিছু নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করা হল তাঁর স্ত্রী অর্চনা পালকে
#মালদহ- স্বামীর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে জমানো টাকা সহ অন্যান্য সমস্ত কিছুই শেষ হয়ে গিয়েছে। বাড়ি বন্দক রেখে ঋণ করে টাকা নিতে হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে নার্সিংহোমের বকেয়া টাকা জমা দিয়ে স্বামীর ছুটি করিয়েছেন পুরাতন মালদহের মহানন্দা কলোনির বাসিন্দা অর্চনা পাল। তারপরও স্বামী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেননি। টাকা পয়সার অভাবে নার্সিংহোম থেকে ছাড়িয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বামীকে ভর্তি করিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর স্বামী।
স্বামী তাপস পালের একটি পা কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারপরও সমস্যার সমাধান হয়নি। কেটে দেওয়া পায়ের আরো একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করার কথা জানিয়েছেন। একদিকে স্বামীর চিকিৎসা, অপরদিকে সংসারের খরচ জোগাড় করতে চরম সমস্যায় পড়েছেন অর্চনাদেবী।
advertisement
advertisement
মালদহ শহরের ঝলঝলিয়া এলাকায় একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন শিল্পী তাপস পাল (৫০)। বাড়ি পুরাতন মালদহর মহানন্দা কলোনি এলাকায়। গত দুই মাস ধরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তাঁর ডান পায়ের কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে।চিকিৎসকেরা আরও একবার অস্ত্রোপচারের কথাও বলেছেন। তাপস পালের পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী অর্চনা পাল ও দুই মেয়ে। এক মেয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তাপস পাল। তিনি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই চরম কষ্টে দিন কাটছে পরিবারের। নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচারের পরেও সুস্থ হয়ে ওঠেননি তিনি। এখন আরো একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তার ওপর সংসারের নিয়মিত খরচ। এমন অবস্থায় অর্চনা দেবী, স্বামীর চিকিৎসা ও সংসার খরচের টাকা জোগাড় করতে সাহায্যের আশায় বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন।
advertisement
অসহায় স্বর্ণ শিল্পীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বঙ্গীয় স্বর্ণ শিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী ও কিছু নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। রবিবার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ওই পরিবারটির হাতে তুলে দেওয়া হয় অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী। সংগঠনের অফিসে ডেকে অর্চনা দেবীর হাতে তুলে দেওয়া হয় সমস্ত কিছু।
advertisement
বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উজ্জ্বল সরকার বলেন, একজন স্বর্ণশিল্পী মালদহ শহরের ঝলঝলিয়া এলাকায় একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন। এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। অসহায় অবস্থায় রয়েছে পরিবার। এই অবস্থায় সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ওই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় অসুস্থ স্বর্ণশিল্পীর স্ত্রীর হাতে। আগামী দিনে ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।"
advertisement
Harashit Singha
view commentsLocation :
First Published :
May 17, 2022 7:21 PM IST