হোম /খবর /মালদহ /
মাধ্যমিকে দুরন্ত ফল, মেয়ে হতে চায় ডাক্তার! রাতের ঘুম উড়েছে টোটোচালক বাবার

Malda News: মাধ্যমিকে দুরন্ত ফল, মেয়ে হতে চায় ডাক্তার! রাতের ঘুম উড়েছে টোটোচালক বাবার

X
কৃতী [object Object]

 শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে গ্রামের বাসিন্দারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ছিল। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রীকে সকলেই সামর্থ মত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে। ফলাফলেও নজর কেড়েছে সকলের। প্রতিবেশি থেকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সহযোগিতা বিফলে যায়নি।

  • Share this:

মালদহ: শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে গ্রামের বাসিন্দারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ছিল। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রীকে সকলেই সামর্থ মত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে। ফলাফলেও নজর কেড়েছে সকলের। প্রতিবেশি থেকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সহযোগিতা বিফলে যায়নি। মাধ্যমিকে ৬৭১ নম্বর পেয়ে উত্তর মালদহে সম্ভাব্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তাপসি মন্ডল। বাবা সামান্য টোটো চালক। সংসারের খরচ সামলে মেয়ের পড়াশোনা চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে বাবা কৃষ্ণ মন্ডলকে। মাধ্যমিকে ভাল ফল করেছে মেয়ে। কিন্তু চিন্তা আরও বেড়েছে। কারণ মেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। আগামীতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ।

এমন পরিস্থিতিতে কী করবে ভেবে পাচ্ছে না পরিবারের লোকেরা। কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, টোটো চালিয়ে কোনওক্রমে সংসার চলছে। এই ভাবেই খুব কষ্ট করে মেয়েকে পড়াচ্ছি। আশেপাশের গ্রামবাসি থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা সবসময় সাহায্য করেছে বলেই মেয়েকে পড়াতে পেরেছি। আগামীতে মেয়েকে আরও পড়াতে চাই কিন্তু আর্থিক অনটন কী হবে জানিনা। মালদহ জেলার রতুয়া ১ নং ব্লকের কাহাল পঞ্চায়েতের লক্ষীপুর গ্রামে বাড়ি তাপসী মন্ডলের। স্থানীয় নরত্তমপুর কাহালা বি বি হাই স্কুলের ছাত্রী।

আরও পড়ুন-কালিয়াগঞ্জের ঘটনা থেকে শিক্ষা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য তৈরি হচ্ছে রেট চার্ট

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে তাপসী মন্ডলের বাবা টোটো চালিয়ে যা রোজগার হয় তাতে পরিবারের ,পেট চলে ,নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছেন। দুস্থ পরিবারের মেয়ের এমন সাফল্যে খুশি গোটা এলাকা।

আরও পড়ুন-ঝড়ে লন্ডভন্ড চারিদিক! কেড়ে নিল তরতাজা প্রাণ! ঘটনা শুনলে চোখে জল এসে যাবে

তাপসী মন্ডলের ইচ্ছা আগামীতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে ডক্টর হওয়ার। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ঠিক না থাকায় ভালো ফল করেও আগামীর পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত সেই কৃতি ছাত্রী। এখন কীভাবে মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে, সেটা নিয়েই চিন্তায় পরিবার। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা অভিষেক মিশ্র বলেন, মেয়েটি সম্ভবত আমাদের এই এলাকায় প্রথম হয়েছে। মাধ্যমিকে এমন ফল আমাদের খুব ভাল লাগছে। ওর শিক্ষক-শিক্ষিকা পরিবার ভালো সাহায্য করেছে। দোস্ত পরিবারের মেয়ে আগামীতে ভালো পড়াশোনা করুক এটাই চাই।

হরষিত সিংহ

Published by:Riya Das
First published: