Malda Municipal Elections 2022: মালদার ইংরেজবাজার পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অসুস্থ শাশুড়ি ভোট দিলেন বৌমা
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
হুইল চেয়ারে বসে সকাল ৯ টার মধ্যে বুথে পৌঁছালেন জ্যোৎস্নাময়ী দেবি।
মালদা: শেষ কবে নিজে ভোটের বোতাম টিপেছেন মনে নেয়। তবে এখনো প্রতিটি ভোটে ছেলের হাত ধরে এসে নিজের অধিকার প্রয়োগ করে গিয়েছেন ৯৬ বছরের জ্যোৎস্নাময়ী দেবী। ব্যতিক্রম ঘটল আসন্ন পুরভোটে। এবার আর ছেলের হাত ধরে হেঁটে বুথে পৌঁছানো হলনা। হুইল চেয়ারে বসে সকাল ৯ টার মধ্যে বুথে পৌঁছালেন জ্যোৎস্নাময়ী দেবি। ছেলে ও বৌমা হুইল চেয়ার ঠেলে নিয়ে আসলেন। ভোটদান কক্ষে গিয়ে ভাঙা ভাঙা স্বরে জ্যোৎস্নাময়ী দেবী পোলিং অফিসারকে জানালেন, আমার ভোট বৌমা দিবে। কারণ আমি হুইল চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতে পারিনা। ভোটদান কক্ষে ইভিএম মেশিন অনেকটায় উঁচুতে রয়েছে। বসে থেকে বোতাম টেপা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনেই পোলিং অফিসার বৃদ্ধার বৌমাকে ভোট দানের অনুমতি দিতেন। সরকারি যে সমস্ত নিয়ম রয়েছে সেগুলি পালন করলেন পোলিং অফিসার। ভোট দানের অনুমতি নিয়ে বৌমা শম্পা চৌহান শ্বাশুড়ি মায়ের ভোট দিলেন। বৌমা শম্পা চৌহান বলেন, আমরা চাইনি ভোট নষ্ট হোক। তাই অসুস্থ অবস্থা তেই শাশুড়ি মা কে ভোট দিতে নিয়ে এসেছি। শাশুড়ি মার কোমর ভাঙ্গা উঠে দাঁড়াতে পারেন না। তাই শাশুড়ি মার হয়ে আমি ভোট দিলাম। মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ১৮৫ নম্বর বুথের ঘটনা। আট নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ অঞ্চলের বাসিন্দা জ্যোৎস্নাময়ী দেবী(৯৬)। বয়সের ভারে দীর্ঘদিন ধরেই ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না তিনি। এমনকি চোখেও কম দেখেন। তবে এতদিন পর্যন্ত তিনি বাড়ি থেকে ছেলের হাত ধরেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের আসতেন। ছেলে বা বৌমা বোতাম দেখিয়ে দিতেন নিজের ভোট নিজেই প্রয়োগ করতেন। ৯৬ বছর বয়সে ভোটকক্ষে পৌঁছালেও নিজের ভোট নিজের হাতে দিতে পারলেন না জ্যোৎস্নাময়ী দেবী। কারণ, গত দুই বছর আগে শৌচাগারে পড়ে গিয়ে কোমর ভেঙে গিয়েছে তাঁর। তাই এখন বাইরে কোথাও গেলে হুইল চেয়ার ভরসা। পরিবারের লোকেরাও চাননি জ্যোৎস্নাময়ী দেবীর ভোট নষ্ট হোক। তাই বৌমা শম্পা চৌহান শাশুড়ি কে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ভোটদান কক্ষে। নিজের হাতে বোতাম টিপতে না পারলেও ভোট দিতে পেরে বেজায় জ্যোৎস্নাময়ী দেবী। তিনি বলেন, ভোট দিতে আসতে পেরে আমার খুব ভালো লাগলো। আমি নিজের হাতে কবে ভোট দিয়েছিলাম মনে নেই। এখন আমার কোমর ভাঙ্গা। উঠে দাঁড়াতে পারি না। তাই আমার ভোট আমার বউমা দিল।