Bangla news: মেদিনীপুর মেডিক্যাল ও খড়গপুর আইআইটি'র যৌথ উদ্যোগে শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
Bangla news: গত এক সপ্তাহে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জ্বর-সর্দি-কাশি কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত কারণে প্রতিদিন গড়ে শিশু ভর্তি হয়েছে ২০ জন।
#খড়গপুর: গত এক সপ্তাহে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জ্বর-সর্দি-কাশি কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত কারণে প্রতিদিন গড়ে শিশু ভর্তি হয়েছে ২০ জন। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে চিকিৎসাধীন থাকছে ৮০-৯০ জন শিশু। যাদের বেশিরভাগেরই বয়স ২ বছরের নীচে। মূলত ৬ মাস থেকে ২ বছরের শিশুরাই জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে।
এ জন্য যে ভাইরাসটিকে দায়ী করছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা, সেটি হল- আর.এস ভাইরাস (RCV- Respiratory Syncytial Virus)। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এই ভাইরাস সক্রিয় হয় বলে জানিয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তথা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান ডাঃ তারাপদ ঘোষ।
তবে, যেকোনো কারণেই হোক চলতি বছরে এই ভাইরাস অতিমাত্রায় সক্রিয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও, প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা করার পর প্রায় একশো শতাংশ শিশুই সুস্থ হয়ে উঠছে বলেও জানা গেছে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে। মৃত্যুর হার নগন্য।
advertisement
advertisement
এই আর.এস ভাইরাস ছাড়া ইনফ্লুয়েঞ্জা ও প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দাপটও এবার বেশি বলে জানিয়েছেন ডাঃ ঘোষ। তবে, কোভিড আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা নেহাতই স্বল্প বলে জানা গেছে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে। বেশকিছু সঙ্কটজনক শিশুর ক্ষেত্রে আবার দেখা গেছে- এমআইএস-সি বা Multisystem Inflammatory Syndrome in Children (MIS-C)। তাদের ক্ষেত্রে, আরটি-পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর অ্যান্টিবডি টেস্ট সহ অন্যান্য পরীক্ষা করে দেখা গেছে শিশুটি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল।
advertisement
যদিও, সেই সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, "আরএস ভাইরাস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দাপট এবার বেড়েছে। বেশিরভাগ শিশু এই দুটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হচ্ছে।"
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র ঘোষ কিংবা ডাঃ দিব্যজ্যোতি দে সকলেই একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি, স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়া সহ প্রাকৃতিক কারণেই হোক কিংবা অতিমারীর প্রভাব, এবার শিশুদের মধ্যে জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের হার মাত্রাতিরিক্ত বেশি!
advertisement
এ নিয়ে বিভাগীয় প্রধান ডাঃ তারাপদ ঘোষ জানিয়েছেন, "বেশি যে তা নিয়ে সন্দেহ নেই, তবে কেন বেশি তা গবেষণাযোগ্য বিষয়। বিশেষত, শিশুদের শ্বাসকষ্টের জন্য দায়ী আরএসভি বা Respiratory Syncytial Virus এর দাপট এবার অনেক বেশি।" তিনি এও জানিয়েছেন, "৬ মাস পর্যন্ত বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এবার ইনফ্লুয়েঞ্জার হারও মারাত্মক! মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ ও শিশু বিভাগ খড়্গপুর আইআইটি'র সঙ্গে যৌথভাবে একটি গবেষণা শুরু করতে চলেছে, যেখানে দেখা হবে, গর্ভবতী মায়েদের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের টিকাকরণের মাধ্যমে সদ্যজাত শিশুদের অর্থাৎ ৬ মাস পর্যন্ত বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা'র হার কমানো যাচ্ছে কিনা!"
advertisement
তাঁর মতে, "মায়ের কাছ থেকে শিশুরা ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত হচ্ছে কিনা তা স্টাডি করা হচ্ছে। একইরকমভাবে মায়ের ভ্যাকসিনেশনের কারণে শিশুর শরীরে প্রতিরোধক অ্যান্টিবডিও পৌঁছবে বলে আমরা মনে করছি। সেক্ষেত্রে, ৬ মাস অবধি শিশুর মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।" এনিয়ে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও খড়্গপুর আইআইটি'র যৌথ গবেষণায় যোগ দেবে খড়্গপুরের রেলওয়ে হাসপাতাল এবং খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালও, জানিয়েছেন ডাঃ ঘোষ।
advertisement
Partha Mukherjee
view commentsLocation :
First Published :
October 22, 2021 10:58 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
Bangla news: মেদিনীপুর মেডিক্যাল ও খড়গপুর আইআইটি'র যৌথ উদ্যোগে শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা