'জল যন্ত্রণায়' ভুগছে রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ
- Published by:Simli Raha
Last Updated:
'জল যন্ত্রণায়' ভুগছে রাজপুর -সোনারপুর পৌরসভা বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ, বাধ্য হয়ে পথে নেমে প্রতিবাদ
রুদ্র নারায়ন রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজপুর - সোনারপুর পুরসভা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে, অভিজাত পাড়া হিসাবে পরিচিত মিশন পল্লী। বড় ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবিদের মহল্লা বলে পরিচিত। এখানেই এক সময় বাস করতেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মীরা পাণ্ডে। বর্তমানে রাজ্য সরকারের একাধিক আমলা, পুলিশ অফিসার, কলকাতা পুরসভার কর্তা-ব্যক্তিরা এখানে বাস করেন। সোনারপুর কলেজ, বেশ কয়েকটি স্কুল, ব্যাঙ্ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও একাধিক প্রতিষ্ঠান আছে মিশন পল্লীতে। অভিযোগ, রাজপুর- সোনারপুর পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের এই পল্লী প্রতি বছর বর্ষাতে ডুবে যায়। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পর, কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে আবহাওয়ার । হয়নি বৃষ্টিপাত। তা সত্বেও কোথাও হাটুজল, কোথায় কোমর সমান জল রয়েছে মিশন পল্লীতে। এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াত করার জন্য দেড়শো-দুশো টাকা দিয়ে টোটো বা রিক্সা বুকিং করে চলাফেরা করতে হচ্ছে। মিশন পল্লীর ব্যবসায়ী অধীর কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘বাস রাস্তাতেও হাঁটুজল, অটো চলাচল এক প্রকার বন্ধ। কুম্ভকর্ণের ঘুম দিচ্ছে পুরসভা-প্রশাসন। পাম্প চালিয়ে জল বার করার কোন উদ্যোগও নিচ্ছেনা। ফলে আমাদের ভোগ করতে হচ্ছে জল যন্ত্রণা।‘
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর ভর ঠিকমত ড্রেন সাফাই করে না পুরসভা। তাছাড়া নিকাশী নালা, নিকাশী খালের ওপর অবৈধ নির্মানের জেরে এলাকার জল নিকাশি ব্যবস্থা একদম ভেঙে পড়েছে। প্রতি বছর বর্ষায় মিশন পল্লী সহ সোনারপুরের গড়িয়া, বোড়াল, রেনিয়া, সুভাষগ্রাম, কামরাবাদ, গ্রীন পার্ক এলাকার এমন করুন অবস্থা কেন হয়? পুর প্রশাসক পল্লব দাস বলেন, ‘সোনারপুর নিকাষী ব্যবস্থায় জন্য সাড়ে চারশো কোটি টাকার একটি ডিপিআর সরকারের কাছে জমা দেওয়া আছে। ওই কাজ শুরু হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।
advertisement
এদিন জমা জল সরানোর দাবিতে রাস্তায় নামেন এলাকার বাসিন্দারা। প্ল্যাকাড হাতে বাসিন্দাদের দাবি, জমা জল থেকে আমাদের মুক্তি দিন। আর কতদিন এ ভাবে নোংরা জল কাদায় আমাদের বাস করতে হবে? বাসিন্দাদের অভিযোগের তীর রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার দিকে। পুরসভার অব্যবস্থার কারণেই, এমন দুরবস্থা পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। জমা জল কবে সরবে সে ব্যাপারে এখন কোন আশ্বাস বানী শোনাতে পারেনি পুরসভা। পুরসভার প্রশাসক পল্লব দাস আরো জানান, ‘জমা জল বার করার জন্য ছয় টি পাম্প চলছে। কিন্তু যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে জমা জল বার করার কিছুক্ষণ পরই আবার জল জমে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে ভারী বৃষ্টি হলে আবারও জল জমবে।‘ কবে এই জল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে রাজপুর - সোনারপুর এলাকার মানুষ, এখন সেটাই দেখার।
advertisement
Location :
First Published :
August 07, 2021 1:13 PM IST

