Swasthya Sathi| Bengal News: সার্থক প্রকল্প! দুর্যোগকে সঙ্গী করেই, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের লম্বা লাইন

Last Updated:

প্রবল বৃষ্টি ও দুর্যোগের মধ্যেই ভাঙরে স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড তৈরির লম্বা লাইন (Bengal News)

দুর্যোগ এর মধ্যেই স্বাস্থ্য সাথীর লাইনে সাধারণ মানুষ
দুর্যোগ এর মধ্যেই স্বাস্থ্য সাথীর লাইনে সাধারণ মানুষ
#দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  জেলায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন (Rain)। জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। সমস্যায় বহু মানুষ। কিন্তু এই সবকিছুকে ছাপিয়ে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) জন্য লম্বা লাইন দেখা গেল ভাঙড়ে (Bhangar, South 24 Parganas)। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে, ভাঙড়ের শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতে চলে 'স্বাস্থ্য সাথী' ক্যাম্প। সেখানেই এলাকার প্রায় দেড়শো পরিবারের, এক হাজার সদস্য সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লাইন দিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করান। রাত ভোর বৃষ্টিতে যেখানে বিপর্যস্ত জনজীবন, বন্ধ যান চলাচল সেখানে এ ভাবে কার্ডের জন্য লাইন দেওয়ায় বোঝা যায় কতটা প্রয়োজন এই কার্ডের, মত প্রশাসনের আধিকারিকদের।
advertisement
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বছর ভাঙড় (Bhangar, Bengal) দু নম্বর ব্লক এলাকায় দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪৫ হাজার পরিবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁর মধ্যে ৪১ হাজার কার্ডের ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর বা ইউ আর এন তৈরি হয়েছিল। যার মধ্যে ২৪ হাজার কার্ড এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। এবছর দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের (Duare Sarkar) মাধ্যমে নতুন করে কুড়ি হাজার পরিবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, নতুন ও পুরানো মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে পুজোর আগে সমস্ত কার্ড যাতে তৈরি করা সম্ভব হয়।
advertisement
এই বিপুল সংখ্যক কার্ড তৈরি করার জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিশেষ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শানপুকুর ও বেওতা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়, ক্যাম্প করে কার্ড প্রদান চলছে। শানপুকুরের ক্যাম্পটি চলছে চিনাপুকুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। এদিন সেই ক্যাম্পেই শাতধিক মানুষ ভিড় করেন কার্ড তৈরির জন্য।
advertisement
শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তানিয়া বিবি বলেন, ‘এদিন কর্মীরা এত দুর্যোগের মধ্যে ক্যাম্প করেতে চাননি। বলে এই বৃষ্টিতে কোন মানুষ আসবেন না। আমি বলি শিডিউল অনুযায়ী ক্যাম্প হবে যতজন আসবেন ততজনকে পরিষেবা দিতে হবে। কিন্তু আমাদের অবাক করে দিয়ে প্রায় শাতধিক মানুষ ক্যাম্পে আসেন।
advertisement
কাশীপুরের গৃহবধূ অপর্ণা ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই বলে আমার লক্ষ্মী ভান্ডার কার্ড হয়নি। কার্ড করার জন্য আজকে আমার শিডিউল পড়েছে। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই স্বামী ও মেয়ের সাথে কার্ড করতে চলে এলাম।‘ অপর গৃহবধূ রুবিনা বেগম বলেন, ‘এই কার্ডের জন্য কত মানুষ বিনামূল্যে অপারেশন করাতে পারছেন। তাই দুর্যোগ উপেক্ষা করে চলে এলাম।‘ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প গুলি এভাবেই যে বাস্তব রূপ পাচ্ছে, তা স্পষ্ট।
advertisement
রুদ্র নারায়ন রায়
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
Swasthya Sathi| Bengal News: সার্থক প্রকল্প! দুর্যোগকে সঙ্গী করেই, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের লম্বা লাইন
Next Article
advertisement
Durga Puja 2025: শারদ আনন্দ ছুঁয়ে যাবে ওঁদেরকেও, প্রকাশিত হল পুজো মণ্ডপের ব্রেইল গাইড!
শারদ আনন্দ ছুঁয়ে যাবে ওঁদেরকেও, প্রকাশিত হল পুজো মণ্ডপের ব্রেইল গাইড!
  • চোখের দৃষ্টিতে যাঁদের শুধুই অন্ধকার, তাঁদের জন্য অনুভূতিই সব। শারদোৎসবের আমেজ-উদ্দীপনায় তাঁরা যাতে পিছিয়ে না পড়েন, তার জন্য নেওয়া হল অভিনব উদ্যোগ।

VIEW MORE
advertisement
advertisement