বন্ধ স্কুল, অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি ভার্চুয়াল অ্যাক্টিভিটিতে মেতেছে খুদেরা

Last Updated:

বন্ধ স্কুলের দরজা। নেই বন্ধুদের সঙ্গে হৈহুল্লোর, নেই টিফিন ভাগাভাগির আসর। করোনা জুজু যেন কেড়ে নিয়েছে ওদের সেই স্বাধীনতা।

ভাস্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: বন্ধ স্কুলের দরজা। নেই বন্ধুদের সঙ্গে হৈহুল্লোর, নেই টিফিন ভাগাভাগির আসর। করোনা জুজু যেন কেড়ে নিয়েছে ওদের সেই স্বাধীনতা। শুধুই এখন চলে ঘন্টার পর ঘন্টা দৈনিক অনলাইন ক্লাস! সেখানে দেখা হয় ভার্চুয়ালি সব বন্ধুদের সঙ্গে। এতেই মনোবল ভাঙতে বসেছে ওদের। ওঁরা শিশু। বয়স সকলেরই ২ থেকে ১০ বছর। তাই এবার অনলাইনে অভিনব সব কার্যক্রম নিতে চলেছে শিলিগুড়ির বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন বা প্রি-স্কুল।
এমন এক স্কুল হল শিলিগুড়ির ব্রাইট আকাদেমি। এই প্রি-স্কুলের তরফে কখনও 'সবুজবন্ধু ও সবুজ দিনের' মাধ্যমে গাছ ও সবুজায়ন সম্পর্কে সচেতনতা, কখনও আবার 'রং দিবসের' মাধ্যমে বিভিন্ন রং সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি আবার কখনও 'সাণ্ডউইচ ডে'র মাধ্যমে মজার ছলে নিজের অভিভাবকদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে বাড়িতে অল্প সময় ভাগ করে নিচ্ছে এই খুদেরা।
advertisement
এ দিন ব্রাইট আকাদেমির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষাল বলেন, 'একজন শিক্ষক হিসেবে আমরা সবসময় চাই আমাদের ছাত্রছাত্রীরা সুস্থ সুন্দর সতেজ থাকুক। ওদের প্রতিদিন গতানুগতিক ধারায় পড়াশোনাতে বিতৃষ্ণা চলে এসেছে তা আমরা উপলব্ধি করতে পারছিলাম। তাই আমরা ক্লাসের মাঝে এরম অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে শিশুগুলো মানসিক চাপ ও অবসাদগ্রস্ত যাতে না হয়ে পড়ে তার চেষ্টা করে চলেছি।'
advertisement
advertisement
সন্দীপবাবু আরও বলেন, 'ছোটো শিক্ষার্থীদের জন্য স্যান্ডউইচ তৈরী একটি অন্যতম সেরা রান্নার ক্রিয়াকলাপ। ওঁরা যেমন এটি খেতে পছন্দ করে, তেমনই এটি স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু এবং এটি নিজেই তৈরি করা খুব সহজ। এটি মাথায় রেখে, ব্রাইট আকাদেমির কেজি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা শিক্ষিকাদের সহায়তায় স্যান্ডউইচ তৈরি করার একটি নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এই ক্রিয়াকলাপের মূল  উদ্দেশ্যটি ছিল শিশুদের রান্নার ক্ষেত্রে একটি নতুন আগ্রহ শেখানো এবং তাদের নিজেদের যেকোনও সময় খাওয়ার প্রস্তুত করার আত্মবিশ্বাস তৈরি করা। বাচ্চারা মুখরোচক স্যান্ডউইচ, মেয়োনেজ, শসা, পেঁয়াজ এবং টমেটোর টুকরো দিয়ে অতি উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে এটা প্রস্তুত করে। যা দেখে আমাদেরও খুব ভালো লাগে।'
advertisement
অন্যদিকে, মনোবিদ আভা আগরওয়াল বলেন, 'বর্তমান অতিমারিতে আমরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনওভাবে জর্জরিত। আর সবথেকে বেশি জর্জরিত যদি কেউ হয়ে থাকে তা হল শিশুরা। প্রি-স্কুল বা কিন্ডারগার্টেনে যেসব কচিকাঁচারা পড়াশোনা করত, তাঁরা আজ অনলাইনে ক্লাস করছে। ফলে তাদের মানসিক চাপ যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের অভিভাবকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব। সুতরাং অনেক সময় আমরা যারা অভিভাবক তারা নিজেদের ওপর সংযত থাকতে পারিনা। আমি সকল বাবা-মাকে একটি কথাই বলব আপনারা একটু নিজের সন্তানের ওপর যত্নশীল হন।'
advertisement
আভাদেবী আরও বলেন, 'মা-বাবারা একটু তাদের সন্তানের প্রতি যদি ধৈর্যশীল হয়, তবে শিশুরা অনেকাংশে মানসিক চাঙ্গা থাকবে। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক বাবা-মাকে একটি রুটিন বা টাইমটেবিল তৈরি করতে হবে। যার ফলে তাঁরা যেরকম একটু অবসর সময় পাবেন, বাচ্চারাও তেমন পাবে। তৃতীয়ত, ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি বিষয় মনে রাখতে হবে খেলা বা বিভিন্ন এক্টিভিটির মাধ্যমে যদি পাঠদান করা যেতে পারে। এর ফলে শিশুদের মনে পড়াশুনার প্রতি একটি অতিরিক্ত টান কাজ করবে। পড়াশোনা নিয়ে কোনও চাপ বা পড়াশোনাকে কখনোই ভার মনে হবে না।\'
view comments
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
বন্ধ স্কুল, অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি ভার্চুয়াল অ্যাক্টিভিটিতে মেতেছে খুদেরা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement