#তমলুক: করোনা পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নদী ফেরিঘাট গুলির চুক্তির মেয়াদ বাড়ালো জেলা পরিষদ। করোনা পরিস্থিতিতে জেলার অনেক ফেরিঘাটে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল, ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে ফেরিঘাট লিজ পাওয়া সংস্থা বা ব্যক্তি। তাই এইসব সংস্থা বা ব্যক্তির কথা মাথায় রেখে ফেরীঘাট লিজ যুক্তির সময়সীমা বাড়ানো হয়।
ফেরি ঘাটগুলিতে যাত্রী পরিবহনের জন্য বার্ষিক চুক্তিতে লিজ দেয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। করােনা কালে এবার সেই বার্ষিক চুক্তির সময়সীমা তিন মাস বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পরিষদ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ওপর দিয়ে রূপনারায়ণ, হুগলি, হলদি, কাঁসাই ও রসুলপুরের মতাে একাধিক বড় নদ-নদী বয়ে গিয়েছে। জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রনে ওইসব নদীতে বিভিন্ন ব্লকে ৩৭ টি ফেরিঘাট রয়েছে। এরমধ্যে ২২ টি ফেরিঘাট প্রতিবছর লিজে দেওয়া হয় বিভিন্ন সংস্থা বা ব্যক্তিকে। এবছর জেলা পরিষদ ফেরিঘাট লিজ দেওয়ার জন্য নিলাম শুরু করেছে।সাম্প্রতি জেলা পরিষদে ছ\'টি ফেরিঘাটের নিলাম হয়ে গিয়েছে। আগামী ২৭ আগস্ট শুক্রবার আরও ১৫ টি খেয়াঘাটের নিলাম হওয়ার কথা জেলা পরিষদ অফিসে। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, সাধারনত প্রতিবছর ফেরিঘাট লিজে চুক্তির সময়সীমা থাকে এক বছরের। করােনা পরিস্থিতি এবং সেই সংক্রান্ত বিধি নিষেধ মাথায় রেখে চলতি বছর লিজের মেয়াদ নির্দিষ্ট সময়ের থেকে অতিরিক্ত তিন মাস বাড়ানাে হয়েছে।এ বিষয়ে জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মৃনালকান্তি দাস জানান, "লকডাউন এবং কড়া নিয়ম বিধিতে ফেরিঘাটের নিলামের সময়সীমা এবার অতিরিক্ত তিনমাস বৃদ্ধি করা হয়েছে।" অবশ্য করােনা পরিস্থিতি চললেও ফেরিঘাটগুলি নিলামে লিজের দর কমেনি। বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, সাধারনত প্রতি বছর ফেরিঘাট নিলামে লিজের অর্থের ন্যূনতম দর আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত যে ক'টি ঘাটের নিলাম হয়েছে, তার অর্থমূল্য ১৭ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। যা গত বছরের লিজ ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, বাকি ঘাটগুলির থেকেও গত বছরের চেয়ে বেশি অর্থ মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।