#পূর্ব বর্ধমান : এবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে স্কুলের মিড-ডে মিলে। মিড-ডে মিল চালাতে কার্যত হিমশিম অবস্থা পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধিক স্কুলের (East Bardhaman News)। অগ্নিমূল্য বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরকার নির্ধারিত বরাদ্দের মধ্যে স্কুলের মিড-ডে-মিল চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে, এমনটাই বলছেন বর্ধমান শহরের একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা (Mid-day Meal)।শিক্ষাখাতে টাকার বরাদ্দ বাড়েনি বর্তমানে। এই পরিস্থিতিতে মিড-ডে মিল চালানোই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষ এর দাবি। পেট্রোল-ডিজেল থেকে রান্নার গ্যাসের দাম যে হারে বেড়েছে তার প্রভাব পড়েছে সবজির বাজার থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায়। ফলে বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে বেশীরভাগ স্কুল কর্তৃপক্ষের অবস্থা খারাপ। অন্যদিকে, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম হাজার টাকা ছুঁয়েছে। কিন্তু এরপরেও বাড়েনি ছাত্র প্রতি সরকারি বরাদ্দের অনুদান বলে দাবি স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষের।
মিড-ডে-মিল নিয়ে এই ছবিটা সমস্ত স্কুলের ক্ষেত্রে প্রায় একই। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মিড-ডে-মিল বন্ধ করে দেওয়ারও কোনও অবস্থা নেই। এ নিয়ে বর্ধমান শহরের একাধিক স্কুল, কৃষ্ণপুর হাইস্কুল, রথতলা মনোহর দাস বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের এক মত। তাঁরা বলেন, স্কুলের মিড ডে মিল চালাতে রীতিমত হিমশিম অবস্থা তাঁদের। সরকারি যে বরাদ্দ পাওয়া যায় তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছাত্র ছাত্রী প্রতি মিড ডে মিলের আয়োজন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁরা আরও জানান, প্রতি মাসে প্রায় ১০ টা সিলিন্ডার লাগে সারা মাসের মিড ডে মিলের জন্য। এছাড়াও রয়েছে বাকি জিনিসপত্র। পড়ুয়াদের পুষ্টির যোগান দিতে কোন সবজি কিনবেন ভেবে কুল পাচ্ছেন না তাঁরা।
Malobika Biswas
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Bardhaman, Midday Meal