পূর্ব বর্ধমান: মৃত হনুমানের অন্তিম সংস্কার করলেন গ্রামবাসীরা। ধার্মিক ক্রিয়াকর্মের মাধ্যমেই অন্ত্যেষ্টি হল হনুমানটির। কালী মন্দিরের পাশেই মাটি চাপা দেওয়া হল তার মৃতদেহ। হিন্দুধর্ম মেনেই মৃত হনুমানটিকে জয় বজরংবলী ধ্বনি দিতে দিতে সৎকার করা হয়। গ্রামের বহু মানুষ এবং মহিলারা উপস্থিত ছিলেন। শঙ্খধ্বনি এবং উলুধ্বনি দেন তাঁরা। রায়না এক ব্লকের সেহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোগলমারি গ্রামের মানুষদের এই কাজ দেখে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। মোগলমারি গ্রাম এলাকায় চাষের জমিতে যেতে গিয়ে হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় হনুমানটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। গ্রামবাসীদের চোখে পড়তেই তারা হনুমানটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বামুনপাড়া এলাকার কালীমন্দিরে। তারপর সেখানে এসে উপস্থিত হয় বিহার থেকে আসা কিছু ব্যবসায়ীরা। সকলের উপস্থিতিতে ধার্মিক ক্রিয়াকর্মের মাধ্যমেই অন্ত্যেষ্টি করা হয় হনুমানটির স্থানীয় সূত্রে খবর, এই কালীমন্দিরেই বাস হনুমানটির। প্রায় প্রতিদিনই আসত কালীমন্দিরে ওই হনুমানটি। গ্রামের মানুষরা খেতেও দিত তাকে। গ্রামের কোন মানুষকে কখনই বিরক্ত করতে দেখা যায়নি হনুমানটিকে। তবে হঠাৎ শনিবার সকালে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হওয়ায় বাকহীন গ্রামের মানুষ। স্থানীয় এক বাসিন্দা অরুণ কুমার পণ্ডিত বলেন, "ধর্ম মেনেই মৃত হনুমানটিকে সৎকার করা হল। আমাদের সকলের খুব কষ্ট লাগছে হনুমানটা মারা যাওয়ায়। দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রামে আসছিল। বাচ্চারা দেখে বেশ মজাও পেত। হঠাৎ কি হয়ে গেল খুব কষ্ট হচ্ছে। গ্রামের সকলে মিলে আমরা হনুমানটির সতকার করা হল গ্রামেই।" গ্রামের আর এক বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, "আগামী মঙ্গলবার উদয় অস্ত হরিনাম এবং রামায়ণ পাঠ এর মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের রীতি নীতি মেনে গ্রামের মানুষদের ভোজন করানো হবে। পাশাপাশি একটি মন্দির নির্মাণ করা হবে আগামী দিনে।" এভাবেই হনুমানটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করে একপ্রকার পূণ্য অর্জন করলেন গ্রামের মানুষ। সাধারণত এরকম দৃশ্য দেখা যায় না বললেই চলে। ফলে বামুনপাড়া এলাকার মানুষজন নজর কেড়েছে সকলের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Bardhaman news, Hanuman