#শান্তিপুরঃ গৃহস্থ বাড়িতে ঢুকে পড়ল ভয়ঙ্কর বিষাক্ত কালাচ সাপ। আতঙ্কে গোটা পরিবার। শনিবার শান্তিপুর সুত্রাগড় চর এলাকার বাসিন্দা বীরেন মজুমদারের বাড়ির উঠোনে গবাদি পশুর খাবার দেওয়ারনাদার মধ্যে বৃষ্টির জল জমে থাকে। সকাল এগারোটা নাগাদ ওই নাদার মধ্যে ভয়ঙ্কর বিষাক্ত কালাচ সাপ টিকে লক্ষ্য করে তার পরিবারের লোকজন। এই ধরনের সাপ আগে কখনো দেখেনি বীরেন মজুমদারের পরিবার। স্বভাবতই সাপটিকে দেখামাত্রই আতঙ্কে জড়োসড়ো হয়ে পড়ে গোটা পরিবার। ফোন করা হয় বনদপ্তরে, বেশ খানিকটা সময় বাদে বনদপ্তরের নির্দেশে শান্তিপুরের বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী অনুপম সাহা ঘটনাস্থলে পৌঁছানএবং ভয়ঙ্কর বিষাক্ত কালাচ সাপ টিকে বেশ খানিকটা সময়ের চেষ্টায় উদ্ধার করেন তিনি।
বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী অনুপম সাহা কালাচ সাপটির বিবরণে জানান, এটি অতি ভয়ঙ্কর বিষাক্ত সাপ, এই বিষাক্ত সাপ দিনের বেলায় সচরাচর দেখা যায় না। এই সাপের প্রিয় জিনিস মানুষের ঘামের গন্ধ। রাতের অন্ধকারে বাড়ির ঘরের মধ্যে ঢুকে পরে বিছানার বালিশ কিংবা চাদরে থাকতে ভালোবাসে। অসাবধানতাবশত যদি কাউকে কামড়ায় তাহলে বিষক্রিয়ার জ্বালা-যন্ত্রণা বোঝা সম্ভব নয়। এই সাপের এক মিলিগ্রাম বিষ একটি মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। একবার দংশনে কুড়ি মিলিগ্রাম পর্যন্ত বিষ ঢালতে পারে এই বিষধর সাপ। সঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা করানো না যায় তাহলে মৃত্যু অনিবার্য। তিনি বলেন,স্বভাবতই এই কারণে রাতের বেলা শোয়ার আগে মশারি টাঙ্গিয়ে শোয়া উচিত। এই সাপ সচরাচর ঘন জঙ্গল এলাকাগুলিতে দেখা যায়। বেশিরভাগ সুন্দরবন এলাকায় এর বসবাস কিন্ত মফসস্বল জনবহুল এলাকায় এই সাপ এর আগে কখনও লক্ষ্য করা যায়নি। গত বছরেও বেশ কয়েকটি কালাচ উদ্ধার হয় শান্তিপুর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে। কিন্তু এ বছর এই প্রথমবার উদ্ধার হল এই সাপ। চর ঘুরতেই ফের এদিনের এইকালাচ সাপ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় আতঙ্কের পাশাপাশি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভয়ঙ্কর বিষাক্ত কালাচ সাপটি উদ্ধার হওয়ার পরে অনেকটাই ভয়মুক্ত পরিবার সহ গোটা এলাকা। সাপটিকে বনদপ্তরের তরফে জঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।