Lalgola: School without any student : পড়ুয়াশূন্য বিদ্যালয়ে ‘পড়ান’ একজন শিক্ষিকা! বিস্মিত হাইকোর্ট

Last Updated:

Lalgola: School without any student : ২ বছর ছাত্র-ছাত্রী তো নেইই, কোনও স্কুল কর্মচারীও নেই। শুধু সাইনবোর্ডে ঝুলছে স্কুলে!  

লালগোলা : রাজারামপুর গার্লস জুনিয়র হাই স্কুল (Rajarampur Girls Junior High School) । মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলায় (Lalgola in Murshidabad) অবস্থিত স্কুল। বিস্ময় জাগানো এই বিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান !  বলা ভাল, গত ২ বছর স্কুলের রোল কল হয় না। স্কুলের কর্মচারী শূন্য। কোথাও কেউই নেই আছেন শুধু একজন শিক্ষিকা। অমিয়া দত্তের স্বপ্ন ছিল সমাজের ভবিষ্যতের কারিগর গড়ার। সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। ২০১৯ থেকে ছাত্র-ছাত্রী নেই।
আরও পড়ুন : করোনার জন্য স্কুলে স্যানিটাইজার টানেল বসানোর উদ্যোগকে ঘিরে তুমুল গোলমাল
২ বছর ছাত্র-ছাত্রী তো নেইই, কোনও স্কুল কর্মচারীও নেই। শুধু সাইনবোর্ডে ঝুলছে স্কুলে!  এমন ঘটনা জেনে বিস্মিত কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতির মন্তব্য, "কোনও স্কুল কর্মচারী নেই, ছাত্র-ছাত্রী নেই। একজন টিচার মাত্র। কীভাবে এমন স্কুল চালু থাকতে পারে! "ছাত্র ছাত্রী ছাড়া স্কুল কীভাবে!  তাও ২ বছর!  শুধু নাম ছাড়া কিছুই নেই, কেন এমন স্কুল অন্য স্কুলের সঙ্গে মিশে যাবে না (মার্জ করা হবে না)?"
advertisement
আরও পড়ুন : গোলাপ ফুল-চকলেটে কলেজের গেটে বরণ ছাত্রছাত্রীদের, স্কুলে ফিরে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারাও
তাঁর আরও প্রশ্ন, "দুই বছর ধরে এমন স্কুল চলল আর কেউ সেটা লক্ষও করল না!" পাশের অন্য স্কুলে ছাত্র ছাত্রী প্রচুর, অথচ এই স্কুলে কেন কোনও ছাত্রছাত্রী নেই? জিজ্ঞাসা বিচারপতির। ছাত্র-ছাত্রী থাকলে তবেই তাকে স্কুল বলা হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : ফুলের তোড়া ও কলম দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের অভ্যর্থনা জানালেন বিডিও
স্কুলের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে,  শূন্য ক্লাসের স্কুলের জন্য কী পদক্ষেপ সরকারি ভাবে নেওয়া হয়েছে? ওই স্কুলের বেতন কীভাবে দেওয়া হচ্ছে? কেন এই ছাত্র-ছাত্রীশূন্য স্কুল পাশের অন্য স্কুলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়নি?
advertisement
স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা অমিয়া দত্ত হাইকোর্টে মামলা করে আবেদন করেন, গত ২ বছর বদলি চেয়েও তিনি পাননি৷ তাঁর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দপ্তর নো অবজেকশন দিচ্ছে না। ছাত্র-ছাত্রী না থাকায় তিনি বদলি চান।
অমিয়া দত্তের আইনজীবী সম্বুদ্ধ দত্ত জানান, "২৫ নভেম্বরের মধ্যে স্কুলের স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আমাদের মামলার প্রেক্ষিতেই আদালত জানতে পারে শূন্য ক্লাসের স্কুলের বিষয়টি। আমরা আদালতের ওপর আশাবাদী।" চাকদহ থেকে যাতায়াত করেন অমিয়া দেবী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর শারীরিক অসুস্থতার জন্য স্কুলে যাওয়া সমস্যাজনক। বদলি না মেলায় তাঁকে বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে৷
বাংলা খবর/ খবর/মুর্শিদাবাদ/
Lalgola: School without any student : পড়ুয়াশূন্য বিদ্যালয়ে ‘পড়ান’ একজন শিক্ষিকা! বিস্মিত হাইকোর্ট
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement