হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় বন্যা মোকাবিলায় একযোগে জেলার তিন বিধায়ক
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
করোনা ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকার কারণে এখনও অনেক জায়গায় শুরুই হয়নি বাঁধ মেরামতির কাজ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও ভরা কোটালের জোড়া ফলায় মাত্র কয়েকদিন আগেই নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে দেউলটি , শ্যামপুর , উলুবেড়িয়া , বাগনানসহ হাওড়া গ্রামীণের অন্তর্গত বিস্তীর্ণ এলাকা। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে ঘর বাড়ি , ভেঙে গেছে নদীবাঁধও। কয়েক জায়গায় শুরু হলেও, করোনা ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকার কারণে এখনও অনেক জায়গায় শুরুই হয়নি বাঁধ মেরামতির কাজ।
নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জেরে ঝাড়খন্ড ও রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে অনেক গুণ জল বেড়েছে দামোদরে। তাই গত কয়েক দিনে প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে DVC র তরফ থেকে। ফলে দামোদর , মুন্ডেস্বরি , রূপনারায়ণের জলস্তর বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। বাঁধ টপকে ইতিমধ্যেই আমতা ও উদয়নারায়ণপুরের অনেক জায়গায় প্রবেশ করেছে নদীর জল। জলতল বাড়ায় আমতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ভাটোরা দ্বীপটি।ফলে আবারও বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটছে হাওড়া গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে হাওড়ায় কোথাও এখনও বন্যার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
advertisement
ইতিমধ্যেই আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল ও উদয় নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজাকে সঙ্গে নিয়ে বিপদজনক নদীবাঁধগুলি পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়। পরে জেলা আধিকারিকদের সাথে একাধিক বৈঠকেও অংশগ্রহন করেছেন হাওড়ার এই তিন বিধায়ক। মানুষকে বন্যা সম্পর্কে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি প্রশাসন প্রতি মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বলেও জানিয়েছেন তারা। যদিও হওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সোমবার বিকেল থেকে কিছুটা স্বাভাবিক হবে দক্ষিণ বঙ্গের আবহাওয়া। আগের থেকে অনেকটাই কমবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে বন্যা বিপদগ্রস্থ এলাকাগুলি থেকে অনেককেই সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে। গ্রামীণ এলাকার অনেক জায়গায় প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার প্রচারও চালানো হচ্ছে ।
advertisement
Location :
First Published :
June 21, 2021 6:18 PM IST