West Medinipur News: বেঁচে থাকার লড়াই, সঙ্গী ভাস্কর্য, শিল্পীর কীভাবে চলে প্রতিটি দিন? জানুন এক অন্যরকম গল্প

Last Updated:

West Medinipur News: শারীরিক অসুস্থতা দমাতে পারেনি। চিকিৎসকেরা যে ছেলেটিকে বলেছিল ভারী কাজ পারবে না, সেই ছেলেটি প্রতিদিন নিখুঁত হাতে গড়ে একাধিক জিনিস। যে ধারণা নিয়ে সেই ছোটবেলায় শুরু এখনও নিয়মিত জীবনযুদ্ধে লড়াই করে করে চালিয়ে রেখেছেন তার শৈল্পিক কাজ।

+
শিল্পী

শিল্পী মনোজ সামন্ত 

পশ্চিম মেদিনীপুর: শারীরিকভাবে জটিল রোগে আক্রান্ত হলেও, তিনি হেরে যাননি। জীবন যুদ্ধে ক্রমশ লড়ে যাচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর গ্রামীণের সাঁকোয়া এলাকার বাসিন্দা ভাস্কর মনোজ সামন্ত। ছোট থেকেই তিনি শারীরিকভাবে জটিল রোগে আক্রান্ত। ছেলেবেলা থেকেই তাঁর শিল্প কর্মের জন্য নিরন্তর লড়াই। শিল্পকর্ম এবং ভাস্কর্যের সঙ্গে নিজের জীবন কাটাতে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্ত লড়াই করেছেন রোগের সঙ্গে। সম্প্রতি তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছে। তবুও সারাটা দিন কাটে স্টুডিওতে।
ছেনি হাতুড়ি কাঠ পাথর নিয়েই চর্চা মনোজের। চিকিৎসকেরা যে ছেলেটিকে বলেছিল ভারী কাজ করা যাবে না, বিছানায় শুয়ে থাকতে হবে, আজ কাঠ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ভাস্কর্য, বিভিন্ন থিম ফুটিয়ে তুলে নিজেকে দশের সামনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনিই। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে তাঁর হাতে তৈরি একাধিক ভাস্কর্য। স্বাভাবিকভাবে শিল্পীর শিল্প নিপুনতা অবাক করবে সকলকে।
advertisement
advertisement
নিজের বাড়িতেই করেছেন স্টুডিও। মনোজের হাতে তৈরি একাধিক প্রতিকৃতি, বিভিন্ন বিষয়ের উপর কাঠ কিংবা পাথরের তৈরি নানা জিনিস পাড়ি দিচ্ছে জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, তার হাতে গড়া বিভিন্ন মনীষীদের প্রতিকৃতি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
advertisement
মাত্র ছয় সাত বছর বয়স থেকেই তাঁর এই ভাস্কর্যে হাতেখড়ি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুরারোগ্য হৃদরোগ তাঁকে আরও বেশি করে আক্রান্ত করে। তবে সেই রোগকে পরোয়া না করে বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি বিভিন্ন জিনিস দিয়ে মূর্তি গড়ছেন। শিল্প নিপুনতায় ফুটিয়ে তুলছেন বিভিন্ন মনীষী, মানুষের প্রতিকৃতি। কাঠ দিয়ে তৈরি করছেন থিমের নানা জিনিস। কোথাও দল বেঁধে চলেছে হাতির পাল, কোথাও আবার মা সন্তানের ভালবাসা। কাঠের তার হাতের তৈরি বিভিন্ন জিনিস বেশিরভাগই মা কেন্দ্রিক। মা সন্তানের ভালোবাসা ফুটে ওঠে তাঁর শিল্পকর্মে।
advertisement
যৌথ পরিবারে থাকেন তিনি। বাড়িতেই করেছেন ছোট্ট স্টুডিও। সেখানেই প্রতিদিন চলে এই শিল্পের কাজ। কখনও ছেনি হাতুড়ি ঠুকে পাথরের কিংবা কাঠের বিভিন্ন প্রতিকৃতি, থিম এর কাজ ফুটিয়ে তোলেন তিনি। আবার কখনও ফাইবার কিংবা পাথরের বিভিন্ন মানুষ ও মনীষীর প্রতিকৃতি তৈরি করেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য স্তরের একাধিক প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। মিলেছে পুরস্কার। সম্প্রতি একাধিক সৃষ্টি মূলক কাজের অর্ডারও পারছেন তিনি।
advertisement
শারীরিক অসুস্থতা দমাতে পারেনি। চিকিৎসকেরা যে ছেলেটিকে বলেছিল ভারী কাজ পারবে না, সেই ছেলেটি প্রতিদিন নিখুঁত হাতে গড়ে একাধিক জিনিস। যে ধারণা নিয়ে সেই ছোটবেলায় শুরু এখনও নিয়মিত জীবনযুদ্ধে লড়াই করে করে চালিয়ে রেখেছেন তার শৈল্পিক কাজ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মিলেছে সম্মান। তবে প্রচার বিমুখ, অত্যন্ত মিষ্টিভাষী এই ভাস্করের হাতের কাজ ও শিল্প নিপুনতা মুগ্ধ করবে আপনাকে।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
West Medinipur News: বেঁচে থাকার লড়াই, সঙ্গী ভাস্কর্য, শিল্পীর কীভাবে চলে প্রতিটি দিন? জানুন এক অন্যরকম গল্প
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement