Traditional Durga Puja: সপ্তমী থেকে নবমী, টানা তিন দিন যোগ্যকুণ্ড জলে এই রাজবাড়ির মণ্ডপে 

Last Updated:

Traditional Durga Puja: প্রাচীন সময়ে অষ্টমীর দিন মন্দিরে একটি আবিরের থালা রাখা থাকত। সেখানে একটি সাদা পায়রা উড়ে এসে বসত এবং সেই আবিরের পায়ের ছাপ দিত মন্দিরে, তারপরই গুলি চলত। গুলি চলার পর তোপধ্বনীর শব্দে অষ্টমী পালিত হত। এই রাজবাড়ির তোপের শব্দে পার্শ্ববর্তী এলাকার মণ্ডপে অষ্টমী পালিত হত

+
রাজবাড়ির

রাজবাড়ির গেট

বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, অনিকেত বাউরি: মুঘলদের পাঞ্জা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের অর্ঘ্যালাক্ষ গ্রাম থেকে বাঁকুড়ায় এসছিলেন দেও অধৈর্য। মা সিংহ বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ঘোড়ায় চেপে তিনি মুঘলদের থেকে ১৫৭ টি মৌজা দখল করেন। সেই বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে শুরু হয় তাঁর রাজত্ব। তার পর তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে নিয়ে এলেন মিশ্র, আগস্তি, বাজপাই, দুবে, তেওয়ারি, পণ্ডিত, পাণ্ডা, ত্রিবেদী, চতুর্বেদীদের। তাদের সবাইকে নিয়েই বসতি স্থাপন করেন বাঁকুড়ার এই মালিয়াড়া গ্রামে।
এই রাজত্ব স্থাপন করার পর দেউ অধৈর্যের রাজবাড়িতে শুরু হয় মা দুর্গার আরাধনা। তখনকার আমলে অষ্টমীর দিন মন্দিরে একটি আবিরের থালা রাখা থাকত। সেখানে একটি সাদা পায়রা উড়ে এসে বসত এবং সেই আবিরের পায়ের ছাপ দিত মন্দিরে, তারপরই গুলি চলত। গুলি চলার পর তোপধ্বনীর শব্দে অষ্টমী পালিত হত। এই রাজবাড়ির তোপের শব্দে পার্শ্ববর্তী এলাকার মণ্ডপে অষ্টমী পালিত হত।
advertisement
রাজবাড়ির এই পুজোয় সপ্তমীর দিন থেকে মহাযোগ্যকুণ্ড জ্বলতে থাকে নবমী পর্যন্ত। পুজোর টানা তিন দিন অগ্নিকুণ্ড জ্বলতে থাকে। এই রাজবাড়িতে এখনও রয়েছে সেগুলি। রীতিনীতি মেনে এখনও অষ্টমীতে চালানো হয় গুলি এবং তোপ।
advertisement
মালিয়াড়া রাজবাড়ির দুর্গাপুজো সাড়ে প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন। দেউ অধুর্যের রাজত্ব চলে গেলেও এখনও দাঁড়িয়ে আছে রাজবাড়ি ও দুর্গা মণ্ডপ। দেও আধুর্যের বংশধর হিমাদ্রি নারায়ণ চন্দ্রধূর্জ ও মেঘাদ্রি নারায়ণ চন্দ্রধূর্জ এই দুই ভাই রীতিনীতি মেনে এখনও দুর্গাপুজো চালিয়ে আসছেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Traditional Durga Puja: সপ্তমী থেকে নবমী, টানা তিন দিন যোগ্যকুণ্ড জলে এই রাজবাড়ির মণ্ডপে 
Next Article
advertisement
Purba Bardhaman News: 'ছায়াশত্রু' কারা? বিতর্কিত মন্তব্যের পর তৃণমূলে ঝড়, ব্যাখ্যা দিলেন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ
'ছায়াশত্রু' কারা? বিতর্কিত মন্তব্যে তৃণমূলে ঝড়, ব্যাখ্যা দিলেন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ
  • এবার 'ছায়া' শত্রুর নাম সামনে আনলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূলে কংগ্রেসের  সভাপতি  রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বর্ধমানে দলের বিজয়া সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, 'এখন লড়াই বাম আমলের থেকেও কঠিন। এখন ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে।'

VIEW MORE
advertisement
advertisement