#কলকাতা:কোথায় আর বাড়ির সামনে বাগান? হারিয়ে গিয়েছে বিশাল ছাদে টবের সারিও! গাছের শখ থাকলে এখন ছোট্ট ফ্ল্যাটের কোণা, জানলার তাক বা বারান্দাই ভরসা। কাজেই দিনে দিনে বাড়ছে ইনডোর প্লান্টের চাহিদা।
ইনডোর প্লান্ট ঘরের ভিতর বেড়ে ওঠে, তাই বাগানে বেড়ে ওঠা গাছের পরিচর্যা আর ইনডোর প্লান্টের যত্ন একইভাবে নিলে চলবে না। প্রথমেই প্রয়োজন গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল দেওয়া। তবে, বাড়তি জল দিলে ক্ষতি! গাছের গোড়ায় জল জমে থেকে গাছ পচিয়ে দেয়। কাজেই, জল দেওয়ার আগে মাটি চেপে চেপে দেখে নিন। যদি ভেজাভাব থাকে, তা হলে জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আরও একটি সহজ উপায় আছে। লন্বা একটা লম্বা কাঠি টবের মাটিতে ঢুকিয়ে তুলে আনুন। কাঠির গায়ে যদি ভিজে মাটি লেগে থাকে তা হলে বুঝবেন গাছে জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
যে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করে, সেখানেই গাছ রাখুন। অন্ধকার ঘর বা যেখানে খুব বেশি রোদ আসেনা, সেখানে গাছ রাখবেন না। গাছের চারা রোদে রাখলে গাছ ঠিকঠাক হারে বাড়বে, ফাংগাসও হবে না। যে ঘরে এসি চলে বা ঘরের তাপমাত্রা ঘন ঘন পরিবর্তন হয়, সেখানে গাছ না রাখাই ভাল। পাতা তাড়াতাড়ি ঝরে যায়।
খেয়াল রাখবেন, টবে যেন ঝরা ফুল, শুকনো পাতা না জমে থাকে। গাছের পাতায় ঘরের ধুলোময়লা বা ঝুল জমলে শুকনো সুতির কাপড় বা স্পাঞ্জ দিয়ে হালকা হাতে পাতা মুছে নিন। গাছের পাতা ছোট হলে,স্প্রে বোতলে জল ভরে জল স্প্রে করে পাতা পরিষ্কার করুন। গাছে কুঁড়ি ধরলে, টব এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাবেন না। এতে কুঁড়ি ঝরে যায়।
একসঙ্গে অনেক গাছ পরিষ্কার করতে চাইলে, শাওয়ারের তলায় গাছগুলো রাখুন। তবে, পরিষ্কার করার আগে গাছের গোড়ার অংশ ও তার চারদিক প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে দেবেন। নইলে, গাছের মাটি ধুয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
নাইট্রোজেন, ফসফেট ও পটাশিয়াম রয়েছে, এরকম সার ইনডোর প্লান্টের জন্য আদর্শ। গাছে পোকামাকড়ের অত্যাচার কমাতে, জলে অ্যাসপিরিন জাতীয় ট্যাবলেট গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এটি গাছের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণ স্প্রে- বোতলে ভরে গাছের পাতায় মাঝেমাঝে স্প্রে করুন।
আরও পড়ুন-মেনোপজ হওয়া মানেই যৌন চাহিদা কমে গেল! দূর করুন এই ভ্রান্ত ধারণা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।