Malda Tourism: বাংলার প্রাচীন গৌড়ে সুলতানি আমলের সরাইখানার আজ মলিন মিনার, সাক্ষী বহু ইতিহাসের

Last Updated:

Malda Tourism: ইতিহাসবিদদের মতে এই নিমাসরাই মিনার সুলতানি আমলে আফ্রিকা থেকে আসা একজন ফারসি শাসক মোজাফফর শাহ তৈরি করেছিলেন। এই নির্মাণটি আসলে আফ্রিকান নির্মাণ শৈলীর ধাঁচে তৈরি করা হয়েছিল। দেওয়ালে বাইরে থাকা হাতির দাঁতের মত দেখতে অংশটি কোন হাতির তুস্ক নয় এটি হচ্ছে পোড়ামাটি ও পাথর চূর্ণ করে মিশ্রনের তৈরি একটি অলংকার বা বিষয়বস্তু।

+
মালদহের

মালদহের নিমাসরাই এর মিনার

জিএম মোমিন, মালদহ: দেখে মনে হবে যেন ভুতুড়ে ঘর। ভগ্নদশা জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে আজও অনেকে এই নির্মাণকে অবহেলা করে থাকেন। তবে এটি সাধারণ কোন নির্মাণ নয়, এটি হচ্ছে মালদহ জেলার প্রাচীন গৌড় সাম্রাজ্যের অন্যতম স্থাপত্য। যা প্রায় ৫০০ বছর আগে গৌড় সাম্রাজ্যের সুলতানি শাসনকালে নির্মিত হয়। জেলার অন্যান্য ঐতিহাসিক নির্মাণ পর্যটকদের কাছে পর্যটনস্থল হিসেবে চর্চিত থাকলেও। পর্যটকদের আনাগোনা না থাকায় এটি আজও চর্চিত পর্যটন স্থল হিসেবে নাম অর্জন করতে পারেনি। এই পর্যটন স্থলের নাম হচ্ছে নিমাসরাই মিনার যা সাধারণের কাছে নিমাসরাই ওয়াচ টাওয়ার নামেও পরিচিত। এই নিমাসরাই মিনার বা ওয়াচ টাওয়ারের ইতিহাসকে অনেকে বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন। ইতিহাসবিদদের মতে নিম শব্দের অর্থ হচ্ছে অর্ধেক এবং সরাই শব্দের অর্থ হচ্ছে সরাইখানা অর্থাৎ ভ্রমণকারীদের মাঝপথে বিশ্রাম নেওয়ার স্থান। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় এবং পান্ডুয়ার মধ্যবর্তী স্থানে এই নির্মাণটি তৈরি করা হয়েছিল। যা আজও প্রায় ৫০০ বছরের অধিক সময় ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে মালদহের মহানন্দা নদীর তীরে।
মালদহ জেলার ইতিহাস গবেষক এম আতাউল্লাহ জানান, অনেকে ভুল ধারণাগুলো তুলে ধরে ইতিহাসকে বিকৃত করছেন। এই নিমাসরাই মিনার সুলতানি আমলে আফ্রিকা থেকে আসা একজন ফারসি শাসক মোজাফফর শাহ তৈরি করেছিলেন। এই নির্মাণটি আসলে আফ্রিকান নির্মাণ শৈলীর ধাঁচে তৈরি করা হয়েছিল। দেওয়ালে বাইরে থাকা হাতির দাঁতের মতো দেখতে অংশটি কোনও হাতির দাঁত নয়। বরং এটি হচ্ছে পোড়ামাটি ও পাথর চূর্ণ করে মিশ্রণের তৈরি একটি অলংকার বা বিষয়বস্তু। অনেকে মনে করেন এটি নদীর তীরবর্তী এলাকায় থাকায় ওয়াচ টাওয়ার হিসেবে কাজ করত। তবে এটি কোনও সাধারণ ওয়াচ টাওয়ার নয়। গৌড় সাম্রাজ্যে শত্রুদের আক্রমণের প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর জন্য একটি আশ্রয়স্থল। যা প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় ও পান্ডুয়ার মধ্যবর্তী স্থানে তৈরি করা হয়। তবে বর্তমানে এই নির্মাণটির ভগ্নদশা জরাজীর্ণ অবস্থার জন্য পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারেনি।
advertisement
আরও পড়ুন : মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসছে রাশি রাশি মুদ্রা ভর্তি কলস! রহস্যময় কাণ্ড দেখে সকলের চক্ষু চড়কগাছ
আজও মালদহের ঐতিহাসিক গৌড়ের নির্মাণগুলো দেখার জন্য জেলা-সহ ভিন জেলা থেকে পর্যটকরা আসেন গৌড় সাম্রাজ্যের ইতিহাসকে জানতে। তবে এই প্রাচীন মিনার জেলাবাসীর কাছে চর্চিত না থাকায় এর ইতিহাস আজও অজানা জেলার বহু পর্যটকদের কাছে।
advertisement
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Malda Tourism: বাংলার প্রাচীন গৌড়ে সুলতানি আমলের সরাইখানার আজ মলিন মিনার, সাক্ষী বহু ইতিহাসের
Next Article
advertisement
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
  • এসএসকেএমে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগ নাবালিকাকে

  • ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শৌচাগারে!

  • অভিযুক্ত গ্রেফতার

VIEW MORE
advertisement
advertisement