Metabolism: কয়েকটা বদ অভ্যেস কমিয়ে দিচ্ছে শরীরে মেটাবলিজমের হার, সময় থাকতে সচেতন হন
- Published by:Suman Majumder
Last Updated:
আমাদের রোজকার কিছু সাধারণ অভ্যেস মেটাবলিজমের হার কমিয়ে দেয়।
#কলকাতা: আমরা কম-বেশি প্রায় সকলেই জানি, ওজন কমাতে মেটাবলিজম (Metabolism)-এর অবদান রয়েছে। স্পষ্ট করে বলতে গেলে মেটাবলিজমই শরীরের ক্যালোরি পুড়িয়ে ওজন কমাতে (Weight loss) সাহায্য করে। আমাদের শরীরের কতটা ক্যালোরি (Calorie) পুড়েছে, তা নির্ভর করবে মেটাবলিজমের হারের উপর। শুধু তা-ই নয়, রক্তচাপ, কোলস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের ভারসাম্যও বজায় রাখে মেটাবলিজম। আর মেটাবলিজম যত বাড়বে, শরীর তত বেশি ক্যালোরি ঝরাবে। মেটাবলিজম বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে বেশির ভাগ মানুষই ওয়াকিবহাল। কিন্তু আমরা অনেকেই হয় তো জানি না, আমাদের রোজকার কিছু সাধারণ অভ্যেস মেটাবলিজমের হার কমিয়ে দেয়। তাই চট করে জেনে নিই, কোন কোন বিষয়গুলি মেটাবলিজম নষ্ট করে দেয়।
খুবই অল্প খাওয়াদাওয়া:
বেশির ভাগ মানুষেরই ভুল ধারণা থাকে যে, কম কম খেলেই তাড়াতাড়ি ওজন কমানো যাবে। কিন্তু এটা অত্যন্ত ভুল। আসলে আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের কম খাওয়াদাওয়া করলে কম ক্যালোরি শরীরে পৌঁছবে। যা মেটাবলিজমও কমিয়ে দেবে। যদিও ওজন কমানোর জন্য ক্যালোরি ঘাটতি (যে পরিমাণ ক্যালোরি ঝরানো যাবে, তার থেকে কম ক্যালোরি খাওয়া) তৈরি করতে হয়। কিন্তু সেই পরিমাণের থেকে নিচে নামলে মুশকিল! এই ক্ষেত্রে শরীর বুঝতে পারবে যে, খাদ্যের অভাব হচ্ছে। আর তখনই শরীর নিজে থেকেই ক্যালোরি ঝরানোর হারও কমিয়ে দেবে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন- doctor-pbd-662068.html" target="_blank">কীভাবে বাসা বাঁধে এই দুরুহ ব্যাধি? মুক্তির পথ কী? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
এক জায়গায় বসে বসে কাজ:
আজকাল ছুটে বা দৌড়ে কাজ আর সে ভাবে কাউকে করতে হয় না। বেশির ভাগই ডেস্ক জব। আর কোভিড পরিস্থিতিতে তো কথাই নেই! এই ধরনের জীবনযাপনের জেরে প্রতিদিনের ক্যালোরি ঝরার পরিমাণ কমে যায়। আর ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্য মেটাবলিজম এবং শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। প্রতি দিনের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অর্থাৎ দাঁড়িয়ে থাকা, ঘর-দোর সাফাই করা, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামা, রান্নাবান্না প্রভৃতি শরীরের ক্যালোরি পুড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্রিয়াকলাপকে নন-এক্সারসাইজ অ্যাক্টিভিটি থার্মোজেনেসিস (NEAT) বলা হয়।
advertisement
প্রোটিন না-খাওয়া:
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অথবা ওজন কমানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খেতে হবে। প্রোটিন এমন একটা উপাদান, যা অনেকটা সময় পেট ভর্তি রাখে এবং ক্যালোরি ঝরানোর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। খাবার হজম হওয়ার সময় মেটাবলিজম বেড়ে যায়। যাকে খাবারের থার্মিক এফেক্ট (TEF) বলা হয়। আর প্রোটিনের থার্মিক এফেক্ট ফ্যাট অথবা কার্বোহাইড্রেটের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়। শুধুমাত্রা প্রোটিন খেলেই মেটাবলিজম অন্তত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়।
advertisement
না-ঘুমোনো বা অনিদ্রা:
শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। গোটা দিনে অল্প পরিমাণ ঘুম কিন্তু বিপদ ডেকে আনতে পারে। সেই সঙ্গে অনিদ্রার কারণে কমবে মেটাবলিক হার এবং বাড়বে ওজন। তাই সময়ে ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন।
রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট খাওয়া:
রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট কিন্তু জটিল কার্বোহাইড্রেটের থেকে একেবারেই আলাদা। রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট খুব সহজেই হজম হয়ে যায়, কিন্তু সেই সঙ্গে রক্তে শর্করার পরিমাণও বেড়ে যায়। আর শরীরও ওই উপাদান ভাঙতে কম শক্তি খরচ করে। তাই প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট খেলে মেটাবলিজম কমে যায়।
advertisement
কড়া ডায়েট মেনে চলা:
যখন কেউ নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন, তখন কড়া ডায়েট মেনে চললে কিন্তু মুশকিল। হিতে বিপরীত হতে পারে। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রেও কমতে পারে মেটাবলিজম।
Location :
First Published :
September 21, 2021 1:49 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Metabolism: কয়েকটা বদ অভ্যেস কমিয়ে দিচ্ছে শরীরে মেটাবলিজমের হার, সময় থাকতে সচেতন হন