Weekend Trip: আমগাছের সারির মাঝে টলটলে জলে ঘাই দেয় মাছ...চিলতে ছুটিতে মনের মানুষের হাত ধরে আসুন বেড়ানোর এই ঠিকানায়

Last Updated:

Weekend Trip: লাল মোরাম দিয়ে তৈরি উঁচু একটি বাঁধ। যার এক পাশে পশ্চিমবঙ্গের নয়াগ্রাম ব্লক, অন্যপাশে ওড়িশার জলেশ্বর ব্লক। বাংলা এবং ওড়িশা রাজ্যের সংযোগস্থলে অবস্থিত এই বাঁধটি বর্তমানে ওড়িশা সরকারের অধীন। 

+
রাজবাঁধ 

রাজবাঁধ 

রঞ্জন চন্দ,পশ্চিম মেদিনীপুর: এই গরমে, কংক্রিটের শহর ছেড়ে সকলে একটু প্রকৃতির স্বাদ খোঁজে। তবে এমন সময়ে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হতে সকলেই বেশ পছন্দ করেন। তবে ইতিহাস এবং সৌন্দর্যে ঘেরা এমন সুন্দর জায়গা যা আপনি কখনওই দেখেননি। বেশ অনেক বছর আগে, কৃষিকাজের সুবিধার জন্য তৈরি করা এই বাঁধ। পাড়ে সারি দিয়ে লাগানো আমের গাছ, যে গাছ এক রাজকীয়তা বজায় রেখেছে। ভ্রমণপিপাসু মানুষদের কাছে এক দারুণ গন্তব্যের জায়গাই শুধু নয়, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং ভাষা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে বছরের পর বছর তার গুরুত্ব বজায় রেখেছে। বাংলা এবং ওড়িশা সীমানায় রয়েছে এই বাঁধ। বর্তমানে ওড়িশা সরকারের অধীনে হলেও, সকলের কাছে এক অন্যতম ঘোরার জায়গা। তবে জেনে নিন নেপথ্যে থাকা ইতিহাস।
ঘুরতে যাওয়া আপনাদের সকলের কাছে একটি শখ। গরমের ছুটিতে ঘুরে আসা যেতেই পারে বাংলা ওড়িশা সীমানায় থাকা এই সুন্দর মনোরম জায়গা থেকে। নেই কোন যানবাহনের শব্দ, নেই কোনও কোলাহল, যতদূর দুচোখ যায় তত দূরে শুধু সবুজ আর সবুজ। তাই মন ভাল করার শ্রেষ্ঠ ঠিকানা বাংলা ওড়িশা সীমানায় থাকা এই জলা বাঁধ। এখানে এলে দুই রাজ্যের ভাষা এবং দু’ রাজ্যের সংস্কৃতি উপভোগ করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এখানকার ইতিহাস আপনাকে নিয়ে যাবে সুদূর অতীতে। তাই অন্তত একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে।
advertisement
পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা সীমানা এলাকায় রয়েছে প্রায় ৪ কিলোমিটারে বেশি দীর্ঘ এটি বাঁধ। যেখানে সংরক্ষিত রয়েছে জল। মূলত পানীয় জল এবং চাষের জলের সরবরাহের জন্য উনবিংশ শতকে নির্মিত হয়েছিল, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। যদিও সেই প্রাচীনত্বের ধারাকে বজায় রেখেছে বাঁধের পাশে থাকা পুরানো আম গাছগুলি। স্বাভাবিকভাবে তৎকালীন সময়ে রায়বনিয়া দুর্গের অনতি দূরে সেচের কাজ এবং পানীয় জলের জন্য নির্মিত হয়েছিল এই জলা বাঁধটি। এই বাঁধের নাম রাজবাঁধ বা রাজাবাঁধ। বাঁধের পাশে প্রাচীন আম গাছগুলি প্রাচীন রাজকীয়তা বজায় রেখেছে।
advertisement
advertisement
লাল মোরাম দিয়ে তৈরি উঁচু একটি বাঁধ। যার এক পাশে পশ্চিমবঙ্গের নয়াগ্রাম ব্লক, অন্যপাশে ওড়িশার জলেশ্বর ব্লক। বাংলা এবং ওড়িশা রাজ্যের সংযোগস্থলে অবস্থিত এই বাঁধটি বর্তমানে ওড়িশা সরকারের অধীন। বাঁধের একপাশে রয়েছে মোটা মোটা প্রাচীন আম গাছ। যা এই এলাকায় প্রাচীনত্বের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে। অপর পাশে নীল জলরাশি। স্বাভাবিকভাবে পর্যটন মানচিত্রে আর অন্যতম দিশা এই জায়গা। গ্রামের মানুষ জলে জাল পেতে মাছ ধরছে। স্বাভাবিকভাবে শহরের কোলাহল, অফিসের কচকচানি থেকে নিজেকে একটু রেহাই দিতে এই জায়গায় এলে ফুরফুরে বাতাসের সঙ্গে এক আলাদা আমেজ মিলবে। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থেকে মাত্র সামান্য কিলোমিটার দূরে এই বাঁধ।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রাচীন রীতিতে সবুজের কোলে প্রকৃতির উপকরণে পূজিত গ্রামদেবতা
একদিকে যেমন গ্রামীণ পরিবেশ, অন্যদিকে দুই রাজ্যের সংস্কৃতি এবং ভাষার মেলবন্ধনের পাশাপাশি এমন সুন্দর একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার মন ভাল করবে। শুধু তাই নয়, লাল মোরামের রাস্তার উপর দিয়ে আচ্ছাদিত হয়েছে আম গাছের শাখা প্রশাখা, একবার না দেখলে বিশ্বাস হবে না কতটা সুন্দর হতে পারে প্রকৃতি? তাই অন্তত একদিনের ছুটি নেই ঘুরে দেখুন এই জায়গা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Weekend Trip: আমগাছের সারির মাঝে টলটলে জলে ঘাই দেয় মাছ...চিলতে ছুটিতে মনের মানুষের হাত ধরে আসুন বেড়ানোর এই ঠিকানায়
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement