হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
কুলার বা এসি নয়, এই ঘাসের ম্যাজিকে গরমে ঘর থাকবে ঠাণ্ডা! সঙ্গে ছড়াবে সুগন্ধ

Air Condition: কুলার বা এসি নয়, এই ঘাসের ম্যাজিকে গরমে ঘর থাকবে ঠাণ্ডা! সঙ্গে ছড়াবে সুগন্ধ

কুলার বা এসি নয়

কুলার বা এসি নয়

মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলায়, উরাইয়ের শিকড় দেয় গরম থেকে মুক্তি দেয়। জানলে অবাক হবেন, কুলার তৈরির কারিগররা প্রাচীনকাল থেকেই এই মূল ব্যবহার করে আসছেন।

  • Share this:

দামোহ: প্রতি বছর গ্রীষ্মের সময় শুরু হলেই শুরু হয়ে যায় প্রবল দাবদাহ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এসি ও কুলারের দোকানে লম্বা লাইন দেখেই বোঝা যাচ্ছে প্রচণ্ড গরমে কতটা নাজেহাল আমজনতা। মে-জুন মাসে এই গরম আরও বাড়বে। সঙ্গে লু বয়ারও সম্ভবনা আছে। কিন্তু আপনি কী জানেন আজও, মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলায়, উরাইয়ের শিকড় দেয় গরম থেকে মুক্তি দেয়। জানলে অবাক হবেন, কুলার তৈরির কারিগররা প্রাচীনকাল থেকেই এই মূল ব্যবহার করে আসছেন।

এখন বহু মানুষের কাছেই এসি কেনা খুব একটা কঠিন কাজ না। কিন্তু একটা সময় বেশি দামের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের এই যন্ত্র ছিল সাধারণ মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এই সময়ই অর্থাৎ ৯০ এর দশকে, ডেজার্ট কুলার ভারতীয় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। পোস্তর ঘাস দিয়ে বানানো হত এই কুলার। লোহা দিয়ে তৈরি, এই কুলারটিতে থাকত একটি জল উত্তোলনকারি মোটর, একটি পাখা এবং এটি পোস্তর ঘাস দিয়ে সজ্জিত থাকত। কুলার চলার সঙ্গে সঙ্গেই মোটরে জল উঠে আসত এবং পোস্ত ঘাস ভিজে যেত, এরপরই ঠাণ্ডা বাতাস বের হওয়া শুরু হত এবং এসি ছাড়া পুরো ঘর ঠান্ডা হয়ে যেত। এই ভেজা ঘাসের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাস যেমন স্বস্তি দিত, তেমনি সুগন্ধেও ভরে ওঠে পুরো ঘর।

আরও পড়ুন: এক টুকরো বরফেই হবে ম্যাজিক! এই গরমেও গ্ল্যামার ফেটে পড়বে

এখন অনেকের পক্ষেই এসি বা কুলার কেনা সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই মধ্যপ্রদেশের বহু জায়গায় পোস্তর ঘাসে তৈরি একটি মাদুরের ওপর জল ছিটিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে তা ব্যবহার করে। আজও ভারতের অনেক গ্রামাঞ্চলে গরম বাতাসের দমক থেকে ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য জানালা, দরজায় খুশের পর্দা লাগানো হয়। খড়ের ছাদ তৈরির সময় পোস্ত ঘাসের ব্যবহার করা হয়, যাতে ঘর ঠান্ডা থাকে। এ কারণে গ্রীষ্মের গরম বাতাসও শীতল, সুগন্ধি বাতাসে পরিণত হয়। সম্প্রতি, পোস্তর ঘাস দিয়ে তৈরি হয় স্যান্ডেল, ক্যাপ এবং মুখোশ। যা ভারতীয় বাজারে ভীষণ ভাবে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

আরও পড়ুন: ভারতে জনপ্রিয় এই ৬ খাবার আসলে ভারতের নয়, জানলে অবাক হবেন আপনি

এখন পোস্ত ঘাসের জন্য উরাই শিকড় পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। কিন্তু আজও শাহনগরে ওড়াইয়ের শিকড় পাওয়া যায়। কুলার কর্মী লাছু বনসাল জানান, ওরাইয়ের মূল গ্রীষ্মে শীতলতা দিতে ব্যবহার করা হয়, যা কুলারে লাগানো হয়। উরাই শেকড় শাহনগর থেকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে কেনা হয় এবং এখানে ক্রেতাদের কাছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে ​​এক সেট কুলার বিক্রি করা হয়।

Published by:Sayani Rana
First published:

Tags: Air Conditioner, Air cooler