Nadia News: জামাইষষ্ঠীর নয়া আকর্ষণ, খাবারের পসরা সাজিয়ে দিতে 'ফুডসেফ' ডিজাইনার মাটির বাসন

Last Updated:

একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে এই পাত্র গুলি, দামেও কম, রয়েছে অনলাইন ডেলিভারির সুবিধাও

+
ডিজাইনার

ডিজাইনার মাটির পাত্র

নদিয়া: এবারে জামাইষষ্ঠীর নয়া আকর্ষণ, শাশুড়িমা ভালবেসে জামাইকে খাবারের পসরা সাজিয়ে দিতে পারবেন ডিজাইনার মাটির পাত্রে। হাল ফ্যাশনের যুগে বিভিন্ন গতে বাঁধা নিয়মে হয়েছে পরিবর্তন। পুরনো ঘরানাকে নতুন হাল ফ্যাশনের কারুকার্যে রূপান্তরিত করেছেন নদিয়ার শান্তিপুরের গৃহবধূ ইতি সাধুখাঁ। এ’বছর জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে জামাইদের জন্য তিনি তৈরি করছেন ডিজাইনার মাটির পাত্র।
বাজার থেকে মাটির পাত্র কিনে এনে তাতে রং-তুলি দিয়ে গৃহবধূ আঁকছেন সুন্দর নকশা করা কারুকার্য। সদ্য এক বছর বিয়ে হয়েছে। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেন স্বামী বিক্রম মণ্ডলও। দুই ধরনের মাটির পাত্রের সেট বানিয়ে তিনি বিক্রি করছেন। একটি বড় সেটে থাকছে বড় থালা, একটি ছোট থালা, ১০ টি বাটি, একটি গ্লাস। ছোট মাটির পাত্রের সেটে থাকছে একই জিনিস তবে দশটির জায়গায় পাঁচটি বাটি। ২৫০ টাকা থেকে দাম শুরু, রয়েছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমেই ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে। খুবই সুন্দর প্যাকেজিং করে দূরের গ্রাহকদের কাছে পাঠানোর সুব্যবস্থাও রয়েছে।
advertisement
ইতি জানান, ছোটবেলা থেকে তিনি আঁকা বিশেষ শেখেননি। কিন্তু বরাবরই তাঁর এই ধরনের হাতের কাজ করার ইচ্ছে ছিল। এই ব্যবসার পাশাপাশি তিনি বিয়ের তত্ত্ব সাজানো এবং রং-বেরঙের নকশা করা মোমবাতি বানান। ভবিষ্যতে ইচ্ছে রয়েছে ব্যবসাটিকেও বড় করার। স্বামী গৌতম মণ্ডল কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি রয়েছে ক্যাটারিং-এর ব্যবসা। তবে স্ত্রীর এই ব্যবসায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাহায্য করেন তিনিও। স্থানীয় কাস্টমারদের কাছে পাত্রের সেট ডেলিভারি দিয়ে আসেন তিনি নিজেই।
advertisement
advertisement
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে মাটির থালায় রংয়ের কারুকার্য করে সেই পাত্রে খাদ্য পরিবেশন করা আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত কিনা। এই প্রশ্নে ইতি জানান,বাসনের উপর বিশেষ ধরনের একটি সিলিকন লেয়ার দেওয়া রয়েছে যেটি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত। এই কারণে মাটির থালার রং খাদ্যে মিশবে না। তাতেও যদি কোনরকম সন্দেহ থাকে, তবে সে নিঃসন্দেহে পাত্রের উপরে কলাপাতা দিয়ে তার পর পরিবেশন করতে পারেন।
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর করেই এই ব্যবসার প্রচার। ধীরে ধীরে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে  তাঁর মাটির থালা-বাসনের কথা। আগে এই ধরনের থালা অন্নপ্রাশন, জন্মদিন ও বিভিন্ন পুজোতে ব্যবহার করা হত। বর্তমানে জামাইষষ্ঠীতেও বিস্তর অর্ডার পেয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে ইচ্ছে রয়েছে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সঙ্গেও ব্যবসা করার।
Mainak Debnath
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Nadia News: জামাইষষ্ঠীর নয়া আকর্ষণ, খাবারের পসরা সাজিয়ে দিতে 'ফুডসেফ' ডিজাইনার মাটির বাসন
Next Article
advertisement
১ কোটি টাকার মহারানি গাউন ! ২৫ জন কারিগরের শ্রমে চোখ ধাঁধাল সোনা, রুপো এবং মূল্যবান পাথরখচিত জয়পুরের এক মাস্টারপিস
১ কোটি টাকার মহারানি গাউন ! ২৫ জন কারিগরের শ্রমে চোখ ধাঁধাল জয়পুরের এক মাস্টারপিস
  • ১ কোটি টাকার মহারানি গাউন !

  • ২৫ জন কারিগরের শ্রমে চোখ ধাঁধাল সোনা, রুপো এবং মূল্যবান পাথরখচিত

  • জয়পুরের এক মাস্টারপিস

VIEW MORE
advertisement
advertisement