Love Manifestation: তীব্র আকর্ষণে কাছে আসতে বাধ্য হবেন ক্রাশ, জমে উঠবে প্রেমের সম্পর্কও! উপায় বাতলে দিলেন বিশেষজ্ঞ

Last Updated:
তীব্র আকর্ষণে কাছে আসতে বাধ্য হবেন ক্রাশ, জমে উঠবে প্রেমের সম্পর্কও! উপায় বাতলে দিলেন বিশেষজ্ঞ
তীব্র আকর্ষণে কাছে আসতে বাধ্য হবেন ক্রাশ, জমে উঠবে প্রেমের সম্পর্কও! উপায় বাতলে দিলেন বিশেষজ্ঞ
#কলকাতা: হয় তো কোনও মানুষকে কেউ মনে-প্রাণে নিজের করে পেতে চাইছেন। তাঁর সঙ্গে সুখী সম্পর্কেরও স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু এই স্বপ্ন কি পূরণ হওয়া সম্ভব? অবশ্যই তা সম্ভব! তার জন্য অবলম্বন করতে হবে প্রকাশ বা ম্যানিফেস্টেশন (Love Manifestation)। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ‘ল অফ অ্যাট্রাকশন’ (Law of Attraction) কাজ করে। অর্থাৎ যাঁর সঙ্গ পেতে চাইছেন কেউ, এই পন্থা অবলম্বন করে নিজের মনের ইচ্ছে পূরণ করতে পারেন। আর ইচ্ছা শক্তি প্রকাশ বা ম্যানিফেস্টেশন প্রক্রিয়ার নানা দিক রয়েছে। যার হদিশ দিয়েছেন আধ্যাত্মবাদী এবং দ্রষ্টা জেনিফার ম্যাকভে (Jennifer McVey)। এই পন্থার মাধ্যমে নিজের জন্য আদর্শ সঙ্গী খুঁজে পাওয়া তো যাবেই। এমনকী নিজের ক্রাশকেও সঙ্গী বানানো যাবে। দেখে নেওয়া যাক সেই সব উপায়।
মনের মানুষের গুণগান:
আদর্শ মনের মানুষের গুণের কথা তুলে ধরতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সেই মনের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হলে আপনার সঙ্গে তাঁর জুটি কেন দুর্দান্ত হবে, সেই বিষয়টাও লিখতে হবে। অর্থাৎ মনের মানুষের নানা ধরনের গুণাবলী বিশ্লেষণ করতে হবে। আর এটা ল অফ অ্যাট্রাকশন-এর ক্ষেত্রে সাহায্য করে। এবার ব্রহ্মাণ্ডে নিজের মনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার আগে সেই তালিকাটা আরও কয়েক বার পড়ে নিতে হবে।
advertisement
advertisement
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে, নির্দিষ্ট কোনও মানুষকে ম্যানিফেস্ট করা ঠিক কি না। আসলে অনেকেই মনে করেন যে, নির্দিষ্ট কাউকে অনুসরণ করা খুবই খারাপ একটা বিষয়। কারণ উল্টো দিকে থাকা মানুষটা তো সম্পর্ক না-ও চাইতে পারেন। আবার হয় তো সেই মানুষটার সঙ্গে সম্পর্কে গিয়ে দেখা গেল, সেই মানুষটা সঙ্গী হিসেবে ভাল নয়। সম্পর্কটাও তিক্ত হয়ে ওঠে।
advertisement
কিন্তু কীভাবে বোঝা যাবে যে সম্পর্কের জন্য কোন মানুষটা উপযুক্ত? তাই সেই মানুষটার নামের পরিবর্তে তাঁর মধ্যে বিদ্যমান গুণগুলোর কথা লিখতে হবে। সেই মানুষ যদি উপযুক্ত হয়, সেক্ষেত্রে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের ইচ্ছে রাখা যেতে পারে। সেই মানুষটা যদি আদর্শ না-হয়, তাহলে এই পদ্ধতির মাধ্যমে আরও ভাল কোনও সঙ্গীর মনোযোগ আকর্ষণ করা যাবে।
advertisement
ইচ্ছেপ্রকাশের ক্ষেত্রে মন সাফ থাকা জরুরি:
নিজের লক্ষ্য কিংবা উদ্দেশ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। কারণ এটাই নিজের শক্তির উপর মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে। যা বাসনা, তা স্পষ্ট ভাবে ছোট একটা-দুটো বাক্যে সহজ ভাবে লিখতে হবে। এমনকী ইচ্ছা শক্তির জোর বাড়াতে নিজের সেই উদ্দেশ্যের কথা রোজ লেখা উচিত। শুধু তা-ই নয়, এই মনের ইচ্ছাশক্তি আরও বাড়াতে রাতে ঘুমোনোর সময় বালিশের তলায় ইচ্ছে সম্পর্কে লেখা চিঠিটি রেখে দিতে হবে। চিঠিতে এই ভাবে লেখা যেতে পারে:
advertisement
ও (মনের মানুষের নাম) এবং আমি দু’জন দু’জনকে ভালবাসি। আমরা একে অপরের আত্মার সঙ্গী।
ও (মনের মানুষের নাম) এবং আমি একসঙ্গে আনন্দে রয়েছি।
ও (মনের মানুষের নাম) এবং আমি বেশির ভাগ সময়টাই একসঙ্গে কাটাতে ভালবাসি।
advertisement
ইচ্ছের কথা লেখার সময় ইতিবাচক শব্দের ব্যবহার:
নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করা হলে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। আসলে চিঠি লেখার ক্ষেত্রে ‘না’ জাতীয় শব্দের প্রয়োগ না-করাই ভাল। ‘আমি এটা চাই না’ কিংবা ‘ওটা করব না’- এই জাতীয় কথাবার্তা লিখলে ব্রহ্মাণ্ডে তা ভুল সঙ্কেত পৌঁছতে পারে। তাই এই ধরনের নেতিবাচক শব্দ কিংবা বাক্য এড়িয়ে চলাই ভালো। কয়েকটা বাক্য উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যেগুলো এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। যেমন- আমি এমন কাউকে চাই, যে মিথ্যাবাদী নয়। এর পরিবর্তে লেখা যেতে পারে - আমি এমন কাউকে চাই, যে মানুষটা সৎ।
advertisement
মনের ইচ্ছের সঙ্গে আবেগ:
অনুভূতি বা আবেগ ইচ্ছের উপর দারুণ প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আর এতে ইতিবাচক ফলও পাওয়া যায়। ফলে মনের ইচ্ছেও শীঘ্রই পূরণ হয়। তাই এক বার চোখ বুজে ভাবতে হবে, নিজের মনের মানুষের সঙ্গে থাকলে মনে কেমন অনুভূতি জাগছে। এই ধরনের আবেগ বা অনুভূতি মনের ইচ্ছা শক্তিকে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এই ধরনের অনুভূতি হতে পারে:
সুখী বা আনন্দিত
চঞ্চল
উত্তেজিত
প্রেম-প্রেম ভাব
উচ্ছ্বসিত
সন্তুষ্টি
কল্পনায় থাকুক ক্রাশের সঙ্গে সম্পর্ক:
মনের ইচ্ছেশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা পালন করে কল্পনা। এর জন্য একেবারে নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে বসতে হবে। চোখ বুজে বড়-বড় শ্বাস নিয়ে নিজেকে চিন্তা বা চাপমুক্ত করে দিতে হবে। এবার নিজের মনের মানুষের সঙ্গে কেমন হবে সব কিছু, সেটা কল্পনা করতে হবে। কল্পনায় দেখার সময় দু’জনে মিলে কী কী করা হবে, তার সঙ্গে থাকলে মনে কেমন অনুভূতি জাগবে এই সব বিষয়ে ভাবতে হবে। কল্পনার দুনিয়ায় সঙ্গীর সঙ্গে ডেটে যাওয়া এবং তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলার মুহূর্তগুলিতে জাগিয়ে তুলতে হবে। কল্পনার মাধ্যমে দেখার শক্তি যত বেশি হবে, তাতে মনের ইচ্ছে শক্তিও বেড়ে যাবে। যদি এই সব বিষয়গুলো কল্পনা করতে অসুবিধা হয়, তাহলে আদর্শ সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, সেইটা কল্পনা করে দেখা উচিত।
আদর্শ সম্পর্ক কেমন হবে, চিঠিতে তার বর্ণনা:
হাতে লেখা চিঠি ইচ্ছের শক্তিকে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে। জীবনে মনের মানুষের প্রবেশের দিনটা লিখতে হবে প্রথমে। এর পর সেই আদর্শ সঙ্গীর সঙ্গে ভবিষ্যতে কেমন সম্পর্ক হবে, সেই বিশ্লেষণ করে চিঠিটি লিখতে হবে। আর এই চিঠি লেখার বিষয়ে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- চিঠি লেখার সময় বর্তমান কালের ব্যবহার। অর্থাৎ এমন ভাবে লিখতে হবে, যেন দেখে মনে হয় যে, স্বপ্ন আদতেই সত্যি হয়েছে। আসলে এতে ইচ্ছে শক্তির জোর আরও বেড়়ে যাবে। এর সঙ্গে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুভূতির বর্ণনা দিতে হবে। লেখার উপায় কয়েকটা উদাহরণ স্বরূপ বলা যাক। যেমন- “ও (প্রেমিক বা প্রেমিকার নাম) আর আমি রোজ কথা বলি। রোম্যান্টিক ডেটে যাই। আমরা একসঙ্গে মুভিও দেখি। ও আমাকে খুব ভালো ভাবে বোঝে এবং আমরা একসঙ্গে খুবই সুখী।”
আবার এ-রকমও লেখা যেতে পারে। “ওর আর আমার সম্পর্কটা একদম আদর্শ। ও আজ খাবার বানিয়ে আমার জন্য নিয়ে এসেছে। আবার কবে দেখা হবে, সেই জন্য আমি অপেক্ষা করে থাকি। ওর মতো সঙ্গীই তো আমি চেয়েছিলাম।”
এমন ভান করতে হবে যেন মনের মানুষকে পেয়ে গিয়েছেন কেউ:
যা চাইছেন, সেটা পেয়ে গিয়েছেন- কেউ এমন ভান করলে ইচ্ছা শক্তি এবং ম্যানিফেস্টেশনের জোর অনেকটাই বেড়ে যায়। মনে করতে হবে যে, একটা দারুণ প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন কেউ। আর এর জন্য এই সব উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে:
বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে হবে এবং তার সঙ্গে নিজের লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
মনের মতো কাউকে পেলে তাঁর সঙ্গে হেসে বাক্য বিনিময় করতে হবে।এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেও তাঁর ছবিতে লাইক এবং কমেন্ট করতে হবে।
সিঙ্গেল থাকা নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা বন্ধ করতে হবে এবং অন্যদের সঙ্গে ফ্লার্ট করার অভ্যেসও ত্যাগ করতে হবে। ফ্লার্ট করতে হলে যাঁকে পছন্দ করেন, শুধুমাত্র তাঁর সঙ্গেই করা যেতে পারে।
পছন্দের মানুষের ফোন নম্বর থাকলে, তাঁকে বন্ধুত্বপূর্ণ টেক্সট করা যেতে পারে।
নিজের ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী:
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী আসলে নিজের ভাবনার ধরন বদলে দিতে পারে। এর ফলে ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা সম্ভব। এর জন্য ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর একটা তালিকা বানিয়ে ফেলতে হবে। এভাবে লেখা যেতে পারে:
‘আমিই আমার ভাগ্য তৈরি করব।’
‘আনন্দে থাকা আমার অধিকার।’
‘আমি আকর্ষণীয় এবং ভালবাসা পাওয়ার যোগ্য।’
‘আমি একাই একশো।’
নিজের প্রতি ভালোবাসা:
নিজেকে না-ভালবাসলে কিন্তু মুশকিল। নিজেকে ভালবাসলে ব্রহ্মাণ্ডে ভালো বার্তা পৌঁছয়। আসলে নিজেকে প্রকৃত ভাবে ভালবাসলে মন এবং কর্মশক্তি এতটাই বেড়ে যাবে যে, তাতে এমন কেউ আকৃষ্ট হবেন, যিনি সত্যিই ভালবাসবেন। নিজেকে ভালবাসার পাশাপাশি ইতিবাচক দিকগুলোর উপর মনোনিবেশ করতে হবে। নিজেকে আনন্দে রাখার জন্য যা যা প্রয়োজন, সব করতে হবে। নিজেকেই নিজের প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠতে হবে।
ইচ্ছে শক্তি পূরণের জন্য যা যা করণীয়:
যা পেতে চাইছেন কেউ, সেটা পাওয়ার জন্য নিজেকেই উঠে-পড়ে লাগতে হবে। ভালবাসা প্রকাশ করার অর্থ হল- ফ্লার্ট করা, মনের মানুষের সঙ্গে কথা বলা ইত্যাদি। তবে পছন্দের মানুষ ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে ডেটে যাওয়া কিংবা ফ্লার্ট করা চলবে না। নিজের লক্ষ্যেই স্থির থাকতে হবে। আবার অনেক সময় ক্রাশের গুণ আছে এমন মানুষের সঙ্গেও আলাপ হতে পারে। সেক্ষেত্রে কী করণীয়? এই ধরনের মানুষ প্রেমের প্রস্তাব রাখলে হ্যাঁ বলাই যায়।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারেই ইতিবাচক প্রভাব:
জীবনে ভাল যা কিছু হয়েছে, সেই দিকে নজর দিতে হবে। কৃতজ্ঞবোধের খাতিরে একটা তালিকা বানাতে হবে। সেই তালিকায় রাখা যেতে পারে:
দারুণ সুন্দর বাড়ি
ভাল বন্ধুভাগ্য
পরিবারের সমর্থন
দারুণ সুস্বাদু খাবার
আদরের পোষ্য
গল্পের বই
চকোলেট
সব কিছুর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে:
মন থেকে যা চাওয়া হচ্ছে, তা অবশ্যই পাওয়া যাবে- সব সময় এই বিশ্বাস রাখতে হবে। আর এতেই বোঝা যাবে, ইচ্ছে শক্তি প্রকাশের জোর কতটা। বিশ্বাস হারালে চলবে না। যদি মনে হওয়া ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে যে, এই ম্যানিফেস্টেশন প্রক্রিয়ায় পুরোপুরি বিশ্বাস নেই!
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Love Manifestation: তীব্র আকর্ষণে কাছে আসতে বাধ্য হবেন ক্রাশ, জমে উঠবে প্রেমের সম্পর্কও! উপায় বাতলে দিলেন বিশেষজ্ঞ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement