#নয়াদিল্লি: একটা সময় ছিল যখন প্লাস্টিক বা থার্মোকলের প্লেট এভাবে বাজার দখল করেনি। অনুষ্ঠান বাড়ি মানেই ছিল কলাপাতায় খাওয়াদাওয়া। এখনও সাবেকি কোনও পদ রান্না হলে কলাপাতায় পরিবেশনের চল আছে। আসলে আমাদের দেশে কলাপাতা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং শুভ বলে বিবেচিত হয়। তাই অনুষ্ঠান বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার চল উঠে গেলেও ঈশ্বরের কাছে নৈবেদ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আজও কলাপাতা ব্যবহার করা হয়। প্রসাদও দেওয়া হয় কলাপাতাতেই। তবে দক্ষিণ ভারতের অনেক জায়গাতেই এখনও কলা পাতায় খাওয়ার চল রয়েছে।
কলাপাতায় পলিফেনল নামে এক রকমের পদার্থ থাকে। গ্রিন টি এবং কিছু শাক-সবজিতেও এই পদার্থটি পাওয়া যায়। এই পলিফেনল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া কলকাতা ব্যবহারের আরও একটি প্রধান কারন হল, এগুলি আকারে বড়। বিভিন্ন সাইজে কেটে যে কোনও আকারের থালায় রাখা যায়। আরও একটি বিস্ময়কর তথ্য হল, কলকাতায় মোমের মতো একধরনের আবরণ রয়েছে। যা খাবারের স্বাদ বাড়ায়।
আরও পড়ুন - Numerology Suggestions: সংখ্যাতত্ত্বে ২০ এপ্রিল: জন্মসংখ্যা মিলিয়ে দেখুন কেমন কাটবে আজকের দিন
দামে সস্তা মানে ভালো: অন্যান্য যে কোনও প্লেটের চেয়ে কলাপাতার দাম কম। তবে কোথা থেকে কেনা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে। গ্রামের দিকে কলাপাতা অত্যন্ত সস্তা। কিন্তু শহরে কিনতে গেলে একটু বেশি দাম দিতে হয়। ভারতের মতো দেশে কলাপাতা খুব সহজে পাওয়াও যায়। বেশিরভাগ সময় পাইকারি হারে বিক্রি হয়। তবে খুচরোও কেনা যায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর: কলাপাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি এর জনপ্রিয়তার মূল কারণ। এতে উদ্ভিদ-ভিত্তিক যৌগ যেমন এপিগ্যালোটেকটিন গ্যালেট ছাড়াও অন্যান্য শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কলাপাতা সরাসরি খাওয়া যায় না ঠিকই কিন্তু এতে খাবার রেখে খেলেও তা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এতে রাখা খাবার পাতা থেকে পুষ্টিগুণ শোষণ করে। ফলে খাবার অতিরিক্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে বলেই বিশ্বাস করেন বহুজন।
আরও পড়ুন - Panchang 20 April: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন
ওয়াটারপ্রুফ: গ্রামেগঞ্জে প্রায়ই বৃষ্টির মধ্যে কলাপাতায় মাথায় হেঁটে যাচ্ছে মানুষ জন। কীভাবে? হ্যাঁ, কলাপাতা আসলে ওয়াটারপ্রুফ। ডাল, চাটনি এমনকী মিষ্টির রসও কলাপাতায় রেখে তাই অনায়াসে খাওয়া যায়।
অন্যান্য প্লেটের চেয়ে স্বাস্থ্যকর: কলাপাতায় মোমের একটা আবরণ থাকে। তাই ধুলোবালি লেগে থাকতে পারে না। খাবার পরিবেশনের আগে শুধু ধুয়ে নিলেই হল। এই কারণেই দক্ষিণ ভারতের অনেক জায়গায় এমনকী বেশ কিছু রেস্তোরাঁতে এখনও কলাপাতায় খাবার দেওয়ার চল রয়েছে।
পরিবেশবান্ধব: ইদানীং অনুষ্ঠান বাড়িতে প্লাস্টিক বা থার্মোকলের প্লেট ব্যবহার হয়। খাওয়াদাওয়ার পর ফেলে দিলেও সেগুলি মাটির সঙ্গে মিশতে সময় নেয়। কারণ এগুলো নন-বায়োডিগ্রেডেবল। ফলে দূষণ ছড়ায়। এ থেকে বাঁচাতে পারে কলাপাতা। সহজেই মাটির সঙ্গে মিশে সারে পরিণত হয়।
পুরো ভোজ: এই পাতাগুলি অন্য যে কোনও গাছের পাতার চেয়ে বড়। এতটাই যে অনুষ্ঠানবাড়ির সমস্ত পদ একটা কলাপাতাতেই ধরে যায়। তাছাড়া বিভিন্ন আকারে কেটে যে কোনও আকারের থালায় রাখা যেতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Banana Leaf, Lifestyle